আমাদের দেশে সাধারণভাবে ১২
বছরের মধ্যে মেয়েদের পিরিয়ড শুরু
হয়ে যায়। যদি কারো খুব ছোটবেলায়
বা বেশি বড় বয়সে পিরিয়ড শুরু হয়
তা হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের
সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। অতিরিক্ত
আগে (প্রিকয়েশিয়াস পিউবার্টি)
মাসিক হয় ডিম্বাশয়ে (ওভারি)
বিশেষ ধরনের টিউমার থাকলে।
সে ক্ষেত্রে আলট্রাসনোগ্রাফি বা অন্য
কয়েকটি পরীক্ষায় কারণ নির্ণয়
সম্ভব। খুব বেশি দেরিতে মাসিক
হলে (ডিলেট মেনার্কি) অন্য
শারীরিক লক্ষণ যেমন
অ্যাকসিলারি হেয়ার, ব্রেস্ট বাড,
পিউবিক হেয়ার এসব
ঠিকমতো হয়েছে কি না দেখা দরকার।
এ ক্ষেত্রেও
আলট্রাসনোগ্রাফি করে দেখে নেয়া হয়
ইউটেরাস, ওভারি সব ঠিকঠাক
আছে কি না। তাছাড়া রক্তের কিছু
পরীক্ষা করে হরমোন স্টেটাস,
টিউবারকুলোসিস
হয়েছে কি না (এমনকি এলাইজা টেস্ট)
এবং দরকার হলে সেক্স ক্রোমাটিন
স্টাডিও করতে হতে পারে।
সুতরাং খুব
আগে বা পরে হলে নিজে থেকেই
তা একটি স্বাভাবিক
ঘটনা বলে বসে থাকা উচিত হবে না।
এক্ষেত্রে বাবা-মার
সচেতনতা জরুরি।
তাড়াতাড়ি ডাক্তারকে জানানো উচিত।
অনেক মেয়ের মাসিক ঠিকমতো শুরু
হলেও ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত
অনিয়মিত পিরিয়ড হয়।
মাসে হয়তো দুবার কিংবা দু'তিন
মাসে হয়তো হলোই না। এই
সমস্যাটিতে বিশে ষ চিন্তিত হওয়ার
কিছু নেই। ছোট মেয়েদের হরমোনাল
ব্যালান্স আসতে অনেক সময় কয়েক
মাস বা বছর সময় লেগে যায়।
কোনো হরমোন বড়ি দিয়ে চিকিৎসার
দরকার পড়ে না। সুষম পুষ্টিকর আহার,
স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্ন জীবন-
যাপনই এ সমস্যার সমাধান করে।
অনেকের অল্প বয়সে অতিরিক্ত
রক্তস্রাব হয়। এক্ষেত্রেও
কোনো হরমোন দেয়া উচিত নয়।
চিকিৎসকের পরামর্শ
অনুযায়ী নিশ্চিত হওয়ার দরকার
যে জরায়ু বা ডিম্বাশয়ে টিউমার
জাতীয় কিছু আছে কি নেই। অবশ্যই
দরকার রক্ত পরীক্ষা, কারণ অনেক সময়
রক্তাল্পতা বা থাইরয়েড
অথবা হরমোনের সমস্যার জন্যও এই
উপসর্গগুলো হতে পারে।
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম
(স্টেন লিভেনথাল সিনড্রম) এই
অসুখটিতে অল্প
বয়সী মেয়েরা বেশিভাবে আক্রান্ত।
সম্ভবত টেনশন, অত্যধিক মানসিক চাপ,
প্রতিযোগিতা, ওভার মেডিকেশন,
অতিরিক্ত কীটনাশক
ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ-
নানা কারণে অন্য সব রোগের
মতো এই রোগও বেড়ে যাচ্ছে। এই
অসুখে মেয়েরা সাধারণভাবে একটু
মোটা হয়ে যায়, মাসিক অনিয়মিত ও
খুব কম হয়। এই রোগে ইউটেরাসের
পাশে যে দুটি ডিম্বাশয়
বা ওভারি থাকে, তাতে ঘামাচির
মতো ছোট ছোট সিস্ট দেখা দেয়।
ফলে ডিম্বাণু
প্রতিমাসে ওভারি থেকে বের
হতে পারে না অর্থাৎ ওভিউলেশন হয়
না। আগে এর সার্জিক্যাল
চিকিৎসা থাকলেও এখন মেডিকেল
চিকিৎসাই করা হয়।
আলট্রাসনোগ্রাফি ও রক্ত পরীক্ষায়
রোগ নির্ণীত হলে মেটফরজিন
জাতীয় ওষুধ ও প্রয়োজনে হরমোন
দেয়া হয়। চিকিৎসা করতে হয় অন্তত ৬
মাস, হাল
না ছেড়ে দিলে চিকিৎসায় সম্পূর্ণ
সেরে যায় এবং ভবিষ্যৎ
দাম্পত্যজীবন ও সন্তান
ধারণে কোনো বাধা থাকে না।
অল্প বয়সে ওবেসিটি বা হঠাৎ
মোটা হওয়া
আজকাল নিউক্লিয়ার
ফ্যামিলিতে একটি বা দুটি সন্তানের
অতিরিক্ত ভালো খাওয়া-দাওয়া ও
কোনো রকম শরীর চর্চা না করাই এর
কারণ। ডায়েটিশিয়ানের
পরামর্শে সঠিক খাবার ও
ব্যায়ামে সুস্থ শরীর
ফিরিয়ে আনা সম্ভব। অতিরিক্ত
মোটার অন্য কারণ পলিসিস্টিক
ওভারি সিনড্রম,
স্বাগতম :
Saturday, December 20, 2014
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Vary Impormative and helpful. Nice Article.SSC result 2020 Barishal board---ajkerfact-----Diploma result 2020--------Helath tips BD. Download free blogger template click here. Many many thanks. gp bondho sim internet offer
ReplyDelete