Sunday, August 24, 2014

১। পুরুষাঙ্গের সামনের বা মাথার দিকে যে অতিরিক্ত স্কিন পুরুষাঙ্গের
সংবেদনশীল মাথাকে ঢেকে রাখে, তা কর্তন করাকে খতনা বা মুসলমানি করা
বোঝায়।

২। খতনা বা মুসলমানি করার প্রয়োজনীয়তা :
(ক) ধর্মীয় কারণে মুসলমান ও খ্রিষ্টানেরা খতনা করান।
(খ) ফাইমোসিস বা প্যারাফাইমোসিস রোগ হলে খতনা বা মুসলমানি করাতে হয়।
ফাইমোসিস হলো পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া যদি এমনভাবে মূত্রনালীকে
ঢেকে রাখে যে শিশু বা রোগীর প্রস্রাব ঠিকমতো বের হতে পারে না। এর ফলে
প্রস্রাবের সময় কান্নাকাটি করে এবং প্রস্রাবের সময় মাথাটা ফুলে ওঠে।
এভাবে বেশি দিন চলতে থাকলে প্রস্রাবে ইনফেকশন ও কিডনি ফেইলিউর হতে পারে।
প্যারাফাইমোসিস : পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া উল্টে টাইট হয়ে যায়।
এর ফলে চামড়াকে আর সামনে ও পেছনের দিকে নাড়াচাড়া করা যায় না। এ
ক্ষেত্রে মাথার দিকে ফুলে যায় এবং রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এই উভয়
ক্ষেত্রেই জরুরি ভিত্তিতে খতনা করা প্রয়োজন। আরো নানাবিধ কারণে খতনা
দরকার হয়, যেমনÑ পুরুষাঙ্গের চামড়া অনেক সময় প্যান্টের চেইনের সাথে
আটকে গেলে। রোগী চাইলেও যেকোনো ধর্মাবলম্বী লোকের খতনা করা হয়।

৩। খতনা বা মুসলমানি করালে কী উপকারিতা :
পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার মুসলমান ও খ্রিষ্টানদের মধ্যে নেই বললেই চলে। তার
প্রধান কারণ খতনা। পুরুষাঙ্গের মাথার বাড়তি চামড়ার নিচে সাদা এক ধরনের
পদার্থ (স্মেগমা) জমে এবং এই স্মেগমাই পুরুষাঙ্গের ক্যান্সারের জন্য
দায়ী।

৪। কখন খতনা করা যাবে না : হাইপোসপেভিয়াসিন রোগ। হাইপোসপেভিয়াসিস এটি
পুরুষাঙ্গের জন্মগত ত্রুটি। এখানে মনে হবে শিশু জন্মগতভাবে খতনা হয়ে
এসেছে। এ ক্ষেতে পুুরুষাঙ্গের বাড়তি চামড়া এই জন্মগত ত্রুটি মেরামতের
সময় প্রয়োজন হয়। তাই খতনা করানো নিষেধ।

৫। খতনা করার আগে রক্ত পরীক্ষা করার প্রয়োজন আছে কি? অবশ্যই আছে। খতনার
পর কিছু খতনার রোগীর ব্লিডিং বন্ধ হয় না এবং মরণাপন্ন অবস্থায় আমাদের
কাছে হাজামরা পাঠায়। তাই খতনার আগে শিশুর অবশ্যই রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা
(জন্মগত) আছে কি না, তা দেখে নিতে হবে।

৬। খতনা করার পর কী কী জটিলতা দেখা দিতে পারে : Ñ রক্তক্ষরণ বন্ধ না
হওয়া। Ñ হাজাম বা অনভিজ্ঞতার কারণে অতিরিক্ত বা কম চামড়া কেটে ফেলা। Ñ
পুরুষাঙ্গের সংবেদনশীল মাথা কেটে ফেলা। হাজামরা খতনা করে ব্লাইন্ডলি
অর্থাৎ মাথার অগ্রভাগে চামড়া মাথা থেকে সঠিকমতো না ছাড়িয়ে না দেখে
কেটে ফেলতে গিয়ে এ ধরনের মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। ইংল্যান্ডসহ
পৃথিবীর সব দেশে এই খতনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখা হয়

Tuesday, August 19, 2014

আনারসের উপকারিতা
*************
এসময়ের ফলগুলোর মধ্যে আনারস অন্যতম। আনারসের স্বাদটি একটু ভিন্ন ধরণের
হওয়াতে অনেকেরই এটি একটি পছন্দের ফল। আর গ্রীষ্মের অন্যান্য ফলের মত
আনারসেরও আছে বেশ কিছু পুষ্টিগুণ। গুণগুলো জানা থাকলে আনারস খাওয়াতে আপনি
আরো আগ্রহী হয়ে উঠবেন, এতে কোন সন্দেহ নেই।

১) দাঁতের মাড়ি ভাল রেখে নিঃশ্বাস সতেজ রাখেঃ
আনারসে ভিটামিন সি ও ম্যাংগানিজ রয়েছে। যা দাঁতের মাড়ির জন্যে খুবই
উপকারী। দাঁতের মাড়ির যে টিস্যুগুলো রয়েছে আনারস খাওয়ার কারণে তা ভাল
থাকে। ফলে দাঁত এবং মাড়ির বিভিন্ন রোগ থেকে বেঁচে থাকা যায়, সাথে
নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ কমে আসে। তাই দাঁত নিয়ে যারা বেশি মাত্রায় সচেতন
আনারস তাদের জন্যে অনেক উপকারী।

২) চোখের যত্নেঃ
আনারসে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন 'এ' এবং বিটা ক্যারোটিন। যা Macular
Degeneration নামে চোখের রেটিনার একটি রোগ থেকে চোখকে রক্ষা করে। এই
রোগের কারণে চোখের দৃষ্টি সীমায় নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। আর এই রোগ
প্রতিরোধে আনারস কার্যকর ভুমিকা পালন করে। তাই চোখের রেটিনা সুস্থ রাখতে
আমাদের সকলেরই আনারস খাওয়া দরকার।

৩) হজমে সহায়তাঃ
আনারসে ভিটামিন বি-৬ ছাড়াও রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। এসব
কিছুই হজম শক্তি বাড়াতে দারুণ সাহায্য করে। হজমের নানা সমস্যায় যারা
ভুগছেন তাদের জন্য আনারস বা আনারসের জুস খুবই দরকারি।

৪) কণ্ঠনালির সংক্রমণ রোধঃ
আনারসে রয়েছে Bromelain নামের একটি উপাদান। যা আমাদের কণ্ঠনালীর নানা
সমস্যা থেকে রক্ষা করে। এটির দ্বারা সর্দি, কাশি, কফ ইত্যাদি সমস্যা
থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। চিকিৎসকদের মতে, কণ্ঠনালীর সমস্যায় দ্রুত উপকার
পেতে আনারসের জুস খাওয়াটা অধিক কার্যকর।

৫) হাড় গঠনে ও হাড়ের নানা রোগ প্রতিরোধেঃ
আনারসের এই গুণটিই কিন্তু সবচেয়ে কার্যকরী। আনারস হাড় মজবুত করতে সাহায্য
করে। এর কারণ আনারসে থাকা ম্যাংগানিজ। যা হাড় গঠনে দরকারি। আমাদের শরীরে
যতটুকু ম্যাংগানিজ দরকার এক কাপ আনারসে তার ৭৩% পাওয়া যায়। হাড় মজবুত
করার পাশাপাশি এটি আর্থ্রাইটিস গেঁটে বাত, কব্জির হাড়ের নানা রোগ উপশমে
সাহায্য করে।

ষুত্র- পরামর্শ

পেয়ারা
*****
পেয়ারাকে (guava) ভিটামিনের গুপ্তধন বলা যায়। এতে রয়েছে Anti-oxidant সহ
নানা ধরণের ভিটামিন, যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকার করে থাকে। এজন্যেই
তো পেয়ারাকে 'super food' বলে ডাকা হয়। এই super food-টি কেন আপনাকে
খেতেই হবে জেনে নিন তা।
১) ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে খান পেয়ারা (Guava against diabetes)

পেয়ারাতে পেকটিন নামের দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে যা রক্তে চিনির মাত্রা সঠিক
পর্যায়ে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে
পেয়ারা টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কার্যকর ভুমিকা পালন করে। তাই
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি প্রতিরোধে প্রতিদিন খান একটি করে পেয়ারা।
২) থাইরয়েড কার্যক্ষম রাখুন (Guava keeps your thyroid gland active)

থাইরয়েড আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রন্থি, যা হরমোন
উৎপন্ন করে এবং শরীরের নানা কার্যপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে। পেয়ারা কপারের
একটি অন্যতম উৎস যা থাইরয়েডের মেটাবোলিজম (metabolism) প্রক্রিয়ার জন্যে
জরুরি। এজন্যেই থাইরয়েডকে কার্যক্ষম করে তুলতে আপনার খাদ্যতালিকায় পেয়ারা
রাখতেই হবে।
৩) মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে নিন (Guava can boost your brain activity)

পেয়ারার দুটি অসাধারণ উপাদান হচ্ছে ভিটামিন বি-৩ (niacin) এবং ভিটামিন
বি-৬। এ দুইটি ভিটামিন স্নায়ুতন্ত্রে (nervous system) এবং মস্তিষ্কে
প্রয়োজনীয় পুষ্টি (nutrients) সরবরাহ করে এসবের কার্যক্ষমতা বাড়াতে
সাহায্য করে। তাই খাবারের তালিকায় অবশ্যই রাখুন পেয়ারা।
৪) স্কার্ভি নামক রোগ থেকে বেঁচে থাকুন (Avoid scarvy by eating guava)

পেয়ারাতে কমলার চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি ভিটামিন 'সি' থাকে। আর ভিটামিন 'সি'
স্কার্ভি নামক ভয়াবহ রোগ থেকে রক্ষা করে। এখন পর্যন্ত জানা উপায়গুলোর
মধ্যে স্কার্ভি (scarvy) প্রতিরোধে একমাত্র উপায় ভিটামিন 'সি' আর ভিটামিন
'সি' এর অন্যতম উৎস পেয়ারা। তাই স্কার্ভির মত রোগ থেকে বেঁচে থাকতে
সাহায্য নিন পেয়ারার।
৫) চোখের দৃষ্টি স্বাভাবিক রাখুন (Eat guava for clear eyesight)

চোখের সুস্বাস্থ্যের জন্যে ভিটামিন 'এ' খুবই উপকারী। আর পেয়ারাতে এই
ভিটামিনটি প্রচুর পরিমাণে থাকার কারণে পেয়ারা চোখ ভাল রাখতে এবং চোখের
ছানি, Macular degeneration মত রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।

এছাড়াও পেয়ারার নানা গুণ (health benefits) রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে
না। ত্বক ভাল রাখতে, ঠাণ্ডা সর্দি উপশমে, কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে পেয়ারা
অসাধারণ ভুমিকা পালন করে। তাই আজই এই উপকারী দেশীয় ফলটি যোগ করে নিন
আপনার খাদ্যতালিকায়।



সুত্র:poramorsho.

কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। এটি আমরা সবাই জানি। যেটি জানি না সেটা হচ্ছে
কাঁঠালের আছে বেশ কিছু অসাধারণ উপকার। যা জানলে কাঁঠাল খাওয়াটা আপনার
কাছে আরো বেশি উপভোগ্য হয়ে উঠবে। তবে আসুন একবার চোখ বুলিয়ে ফেলি
কাঁঠালের পুষ্টিগুণের উপর।

১) কর্মশক্তি বাড়ায়ঃ
কাঁঠালে আছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরি। এছাড়াও এতে আছে
সুক্রোজ, ফ্রুক্টজ, যা শরীরে খুব দ্রুত শক্তি যোগায়। কাঁঠালে কোলেস্টেরল
নেই। তাই এটি একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর ফল।

২) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ
কাঁঠালে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়াম সোডিয়াম লেবেল, ফ্লুয়িড লেবেল
নিয়ন্ত্রণ করে থাকে যার মাধ্যমে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের (electrolyte)
ভারসাম্য রক্ষা হয়। যার ফলে এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং স্ট্রোক ও
হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমায়। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা কাঁঠাল খেয়ে
দেখতে পারেন।

৩) চোখ ভাল রাখেঃ
ভিটামিন 'এ' চোখের জন্যে খুবই উপকারী একটি ভিটামিন। আর কাঁঠালে এই
ভিটামিনটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এছাড়া যেহেতু কাঁঠালে প্রচুর
পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তাই এর ফলে চোখের রেটিনাও সুস্থ থাকে।
যারা চোখ সুস্থ রাখতে চান তারা অনায়াসে কাঁঠাল খেতে পারেন।

৪) রক্তস্বল্পতা রোধেঃ
কাঁঠালে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, কে, নিয়াচিন, ফলেট, ভিটামিন বি-৬।
এছাড়াও আছে বিভিন্ন ধরণের মিনারেল যেমনঃ কপার, ম্যাংগানিজ, ম্যাগনেসিয়াম
যা রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। তাই এটি রক্তস্বল্পতা রোধে দারুণ ভুমিকা
রাখে। যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন তাদের জন্যে কাঁঠাল উপকারি হবে এতে কোন
সন্দেহ নেই।

৫) হাড় গঠনেঃ
কাঁঠালে ক্যালসিয়ামের আধিক্যের জন্যে এটি হাড়ের গঠন সুদৃঢ় করে। এটি
অস্টেওপরোসিস (osteoporosis) নামে হাড়ের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
তাই যে কেউ হাড় মজবুত করার জন্যে নিতে পারেন জাতীয় ফলের সাহায্য।

৬) ক্যান্সার রোধে অনন্যঃ
কাঁঠালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সাথে রয়েছে phytonutrients এবং flavonoid
যা ক্যান্সার রোধে কার্যকর ভুমিকা পালন করে। কোলন, ফুসফুস এবং মুখগহ্বরের
ক্যান্সার থেকে রক্ষা করার দারুণ গুণ আছে কাঁঠালের। তাই ক্যান্সার থেকে
যারা বেঁচে থাকতে চান তারা কাঁঠাল খেতে মিস করবেন না।

(৭) গর্ভবতী কিংবা সদ্য মা হওয়া নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায়
চিকিৎৎসা শাস্ত্রমতে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী
মহিলা ও তার গর্ভধারণকৃত শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়। গর্ভবতী
মহিলারা কাঁঠাল খেলে তার স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে এবং গর্ভস্থ সন্তানের
বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়। দুগ্ধদানকারী মা তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের
পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

ষুত্র- poramorsho

Wednesday, August 13, 2014

Papilloma Virus এ আক্রান্ত হবার কারনে এর এমন শরীরে অবস্থা। আসুন আমরা
সচেতন হয় এবং কমেন্ট , লাইক দিয়ে অন্যকে সচেতন করি।
মনে রাখবেন এই ভাইরাসটির নাম হচ্ছে Papilloma Virus।

আরো জানতে ভিজিট করুন
http://raselpharmacy.blogspot.com

Papilloma Virus এ আক্রান্ত হবার কারনে এর এমন শরীরে অবস্থা। আসুন আমরা
সচেতন হয় এবং কমেন্ট , লাইক দিয়ে অন্যকে সচেতন করি।
মনে রাখবেন এই ভাইরাসটির নাম হচ্ছে Papilloma Virus।

আরো জানতে ভিজিট করুন
http://raselpharmacy.blogspot.com

Monday, August 11, 2014

কমলার উপকারিতা
***********

প্রতিদিন একটি করে কমলা খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে রাখবে সুস্থ-সবল ও
প্রাণবন্ত। প্রতিদিন এক গ্লাস করে কমলার জ্যুস বা একটি কমলা খাওয়ার
অভ্যাস করা বেশ কঠিন কাজ নয়। তবে জ্যুসের চেয়ে ফলটিই খাওয়া ভাল। কারণ,
কমলায় রয়েছে আঁশ, যা আমাদের বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে। কমলা কেন
খাবেন, তার ৪টি কারণ এখানে উপস্থাপন করা হলো:


* রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে :
কমলা আপনার প্রতিদিনের ভিটামিন সি'র চাহিদা পূরণ করে। একই সঙ্গে এ ফলটিতে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান। এ পুষ্টি
উপাদানসমূহ রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ছোটবড় নানা ব্যাধি ও সংক্রমণ
থেকে সুরক্ষা দেয়।


* সুন্দর ত্বকের জন্য :
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বকও দ্রুত বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। ভিটামিন
সি ছাড়াও কমলায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমূহ ত্বককে সতেজ ও সজীব রাখতে
সাহায্য করে। বার্ধক্যেও ত্বককে অনেকটাই মসৃণ রাখে, সহজে বলিরেখা পড়ে না।
কারণ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিস সি ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখে বহু বছর।
ফলে, বয়স বাড়লেও, আপনাকে দেখাবে চিরতরুণের ন্যায়।


* চোখের জন্য :
প্রতিদিন একটি করে কমলা খাওয়ার অভ্যাস আপনার দৃষ্টিশক্তিকে ভাল রাখে।
কারণ, কমলায় রয়েছে ভিটামিন এ, সি ও পটাসিয়াম। এ ভিটামিনগুলো আপনার
দৃষ্টিশক্তির জন্য বেশ উপকারী।


* পাকস্থলীর আলসার থেকে সুরক্ষায় :
আঁশের অন্যতম উৎস কমলা পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে। নিয়মিত কমলা খাওয়ার অভ্যাস
পাকস্থলীর আলসার ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সুরক্ষা দেবে। পাকস্থলীকে রাখবে
সবল।


সূত্র_ ইন্টারনেট

গনোরিয়া রোগ
**********

স্বাস্থ্য ডেস্ক: গনোরিয়া এমন একটি রোগ যা কেবল যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে
এক পুরুষ থেকে অন্য নারীতে বা এক নারী থেকে অন্য পুরুষে সংক্রমিত হতে
থাকে। এ রোগের রক্তের সঙ্গে জীবাণু সংস্পর্শ খুবই কম। এটি বংশ পরম্পরায়
সংক্রামিত হয় না। সাধারণ পুরুষ বা নারীর যৌনাঙ্গে এ জীবাণু ক্ষত সৃষ্টি
করে থাকে। এ ক্ষতে পুঁজ সৃষ্টি হয়। এ পুঁজ যদি অন্য নারী বা পুরুষের
যৌনাঙ্গে স্পর্শ করে তাহলে এ জীবাণু তাদের যৌনাঙ্গে প্রবেশ করে। সেখানে
বাসা বাঁধে এবং ক্ষতের সৃষ্টি করে।

লক্ষণ : নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলেই বুঝতে হবে পুরুষ বা নারী এ রোগে
আক্রান্ত। প্রস্রাবের জ্বালা অনুভূত হতে থাকে। প্রস্রাবের পরে চাপ দিলে
সামান্য আঠা আঠা মতো পুঁজ দেখা দেয়। চিকিৎসা না করালে ধীরে ধীরে
প্রস্রাবের জ্বালা ও ব্যথা বৃদ্ধি পায়। পুরুষের ইন্দ্রিয় বাইরে ও নারীর
যোনির চারদিকে ঘা হতে দেখা যায়। এসব ঘায়ে জ্বালা ও তাতে পুঁজ হয়ে থাকে।
ক্রমশ ঘা আরও ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ব্যথা বেড়ে যায়। অনেক সময় প্রস্রাব বন্ধ
হওয়ার উপক্রম হয় এবং প্রস্রবা করতে ভীষণ কষ্ট হয়। অল্প অল্প জ্বর দেখা
দেয়। জ্বরের সঙ্গে মাথাধরা, গা-হাত পা ম্যাজ ম্যাজ করা, শরীরের ভুগলে
ঋতুতে গণ্ডগোল হয়। ঋতুস্রাত বেশি হতে থাকে। কখনো মাসে দুবার হয়। আবার
কখনো ঋতুস্রাব শেষে শ্বেতস্রাব হতে থাকে।

য়াবহ ক্ষতিকর দিকগুলো : এ রোগ হলে পুরুষের চেয়ে নারীদেরই বেশি ক্ষতি হয়।
নারীর সঙ্গে তার সন্তানেরও ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। নিচে সেদিকগুলো তুলে
ধরা হলো। নারীর ডিম্ববাহী ও নারীর ডিম্বকোষ আক্রান্ত হলে তার সন্তান জন্ম
চিরদিনের জন্য বন্ধ্য ও নারী বন্ধ্যত্ববরণ করতে পারে। কখনো কখনো গর্ভবতী
হওয়ার প্রথম অবস্থায় ওই রোগ হলে গর্ভস্থ ভ্রূণ গর্ভপাত হয়ে পড়ে যায়, তার
জরায়ু থেকে প্রচুর রক্তপাত হতে থাকে। গর্ভের শেষ অবস্থায় এ রোগ হলে
সন্তান জন্মের সময় তার চোখে রোগের পুঁজ লেগে শিশু অন্ধ হয়ে যেতে পারে।

চিকিৎসা : এ রোগের খুব ভালো ওষুধ হলো সিপ্রোসিন/ এজিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট
খেলে ধীরে ধীরে রোগ কমে আসবে ও রোগী সুস্থ হবে। তবে অভিজ্ঞ ডাক্তারের
কাছে যাবেন এবং ব্যবস্থাপত্র নেবেন।

অন্যান্য ব্যবস্থা : যদি রোগীর জ্বর থাকে তাহলে জ্বরের জন্য হালকা খাবার
যেমন_ পাউরুটি সেঁকে বা হরলিকস প্রভৃতি হালকা ও তরল খাবার দিতে হবে। এ
রোগ হলে সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত যৌন মিলন করা যাবে না।
স্বামী-স্ত্রীকে পূর্ণ চিকিৎসা দ্বারা সুস্থ হতে হবে আগে। না হলে এর ফল
খুবই খারাপ হবে।

সুত্র : নেট

Friday, August 1, 2014

পেটে খুব গ্যাস হয়। ৮০ শতাংশ মানুষ এমন অভিযোগ করে থাকে অনেক সময়।
অধিকাংশ লোকই জানে না এর মানে কী আর কেনই বা এমন হয়।

অনেকের শাক-সবজি বেশি খেলে পেটে গ্যাস হয়। অন্ত্রের মধ্যে কিছু
ব্যাকটেরিয়া ও রাসায়নিক পদার্থ আছে, যা বিভিন্ন খাদ্য উপাদানের সঙ্গে
বিক্রিয়া করে নানা ধরনের গ্যাস উৎপন্ন করে। যেমন কার্বন ডাই-অক্সাইড,
হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, মিথেন ইত্যাদি। আবার কিছু গ্যাস দেহের রক্ত থেকে
উৎপাদিত হয়ে পেটে আসে। ল্যাকটুলোজ-জাতীয় খাবার ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ
পেটের রাসায়নিক বা অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে বেশি গ্যাস তৈরি করে
থাকে।

স্বাভাবিকভাবে আমাদের শরীরে সাধারণত ২০০ মিলিলিটার বা গড়ে ৪৭৬ মিলিলিটার
থেকে ৬০০ মিলিলিটার পর্যন্ত গ্যাস উৎপন্ন হতে পারে, যা ঊর্ধ্বগামী বা
নিম্নগামী হয়ে ১৮ থেকে ২০ বার পর্যন্ত শরীর থেকে বের হতে পারে।

যাদের পেটে বেশি গ্যাস সৃষ্টি হয়, তাদের কিছু নিয়ম পালন করা দরকার।

খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করে না খেয়ে ধীরস্থিরভাবে খাবার চিবিয়ে খেতে
হবে, যাতে খাবারটা ভালোভাবে পরিপাকরসের সঙ্গে মেশে এবং হজম হয়। ধূমপান
বর্জন করুন। কেন ও কোন খাবারে গ্যাস হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন ও তা থেকে
বিরত থাকুন। বারবার ঢেকুর তুলবেন না। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা
থেকে দূরে থাকুন। এই বিষয়টি নিয়ে বেশি চিন্তা না করে নিজের কাজে বেশি
করে মনোনিবেশ করুন।



খ) বুক জ্বালা, বুক পুড়া ও পুড়া ঢেকুর বা অম্লের ব্যাথা হলে:
tab- Antac 150mg, Tab- Neoceptin-R 150mg, Tab- Newtack 150mg, Tab-
Renitid, Tab-Inseac 150mg, Tab- Ranidin 150mg ইত্যাদি
(যে-কোন একটি দেয়া যেতে পারে)

মাত্রা: ১টি ট্যাবলেট দৈনিক সকালে -রাতে খাবারের ১ ঘন্টার পরে বা ১ বা
আধা ঘন্টা আগে খেতে হবে।

ব্যথার জন্য দোকান থেকে ডাইক্লোফেন, ন্যাপরোক্সেন বা আইবুপ্রোফেন-জাতীয়
শক্তিশালী ব্যথানাশক বড়ি দু-একটা খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই।
বিশেষ করে বাত, আথ্রাইটিস বা মাইগ্রেনের রোগীরা এ ধরনের অভ্যাসে
আক্রান্ত।কিন্তু আপনি কি জানেন, না জেনে, না বুঝে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ
ছাড়া ব্যথানাশক বড়ি খেলে কিডনি বিকলের মতো মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে যেতে
পারে যখন-তখন? দীর্ঘদিনের ব্যথার রোগী, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের
রোগী, ধূমপায়ী, যারা ঘুমের বড়ি খেয়ে অভ্যস্ত ও বয়স্ক রোগীদের মধ্যে
এই ঝুঁকি আরও বেশি।বাজারে প্রচলিত ব্যথানাশক বড়িকে চিকিৎসকেরা এনএসএআইডি
বা নন-স্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধ বলে থাকেন। এর সব কটিই
কিডনির রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দিয়ে ক্ষতি করতে পারে। দীর্ঘদিন এসব ওষুধ খেলে
প্রস্রাবের সঙ্গে আমিষ ও রক্ত বের হওয়াসহ ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে
পারে। এ ছাড়া কিডনির কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে, যা বোঝা যাবে
রক্তশূন্যতা, পায়ে-মুখে পানি আসা বা প্রস্রাব কমে যাওয়ার লক্ষণের
মাধ্যমে। অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর ক্ষেত্রে মাত্র কয়েকটি বড়ি খেলেই
কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার মতো বিপদ হতে পারে। এসব সমস্যাকে অ্যানালজেসিক
নেফ্রোপ্যাথি বা ব্যথানাশক বড়িজনিত কিডনি সমস্যা বলে চিহ্নিত করা হয়।
তাই কথায় কথায় বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে কখনো ব্যথার ওষুধ
সেবন করবেন না। ব্যথা সারাতে রোগের কারণ চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী
চিকিৎসা নিন। দিনের পর দিন ব্যথার ওষুধ কোনো সমাধান হতে পারে না। -

দুর্ঘটনাসহ নানান কারণেই অনেকেই দাঁত হারাতে পারেন। কিন্তু দাঁত পড়ে
গেলে শূন্য স্থানটিতে কৃত্রিম দাঁত না লাগালে কিছু সমস্যা হতে পারে।
যেমন:
১. শূন্য স্থানটিতে পরবর্তী দাঁতগুলো হেলে পড়তে পারে। এ ছাড়া ওপরের
পাটির একটি দাঁত অনুপস্থিত থাকলে নিচের পাটির দাঁত বেড়ে ওপরের দিকে চলে
আসতে পারে। একইভাবে নিচের দাঁত না থাকলে ওপরের দাঁতও নেমে আসতে পারে।
২. খেতে অসুবিধা হতে পারে। এতে অপুষ্টিজনিত সমস্যা হতে পারে।
৩. চোয়ালের সন্ধির সমস্যা হতে পারে।
৪. সম্পূর্ণ দাঁতের গঠন বিন্যাস নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৫. শব্দ উচ্চারণে বা কথা বলতে অসুবিধা হতে পারে।
কৃত্রিম দাঁত প্রাথমিক অবস্থায় সাময়িক অসুবিধা সৃষ্টি করলেও ধীরে ধীরে
তা দূর হয়ে যায়। নানা পদ্ধতিতে আজকাল কৃত্রিম দাঁত প্রতিস্থাপন করা
হয়।
খোলার যোগ্য কৃত্রিম দাঁত বা রিমোভেবল ডেনচার রাতে ঘুমানোর আগে খুলে
রাখতে হয়। সকালে আবার ধুয়ে ব্রাশ করে তা মুখে লাগানো হয়। ইদানীং এতে
ফ্লেক্সিবল ডেনচার ব্যবহার করা হয়, যাতে কৃত্রিম তার ব্যবহারের প্রয়োজন
হয় না বা তার দেখাও যায় না।
ফিক্সড পোরসেলিন ক্রাউন পদ্ধতিও ইদানীং জনপ্রিয় হচ্ছে। এটি একটি বা দুটি
দাঁতের সাহায্য নিয়ে স্থায়ীভাবে বসানো হয়। যেমন একটি প্রথম মলার দাঁত
অনুপস্থিত থাকলে তার এক পাশের প্রিমলারের এবং অপর পাশের দ্বিতীয় মলারের
সাহায্য নিতে হয়। অর্থাৎ একটি অনুপস্থিত দাঁতের জন্য দুটি ক্রাউন বা
মুকুট তৈরি করা হয় এবং মাঝখানে কৃত্রিম স্থায়ী দাঁত তা ধরে রাখে।
স্থায়ী দাঁত প্রতিস্থাপনের পদ্ধতিও রয়েছে। এই পদ্ধতিতে অনুপস্থিত
দাঁতের স্থানের মাড়ি সরিয়ে হাড়ের ভেতরে অস্ত্রোপচার করে ইমপ্ল্যান্টের
ওপর একটি কৃত্রিম দাঁত স্থায়ীভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। এটি অনুপস্থিত
দাঁতের জন্য সর্বাধুনিক বিজ্ঞাসম্মত পদ্ধতি।

অধ্যাপক অরূপ রতন চৌধুরী
দন্ত বিভাগ, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ ও বারডেম হাসপাতাল
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ১৮, ২০১৩
- See more at: http://www.ebanglahealth.com/4703#sthash.o7nsN6Wk.dpuf

দাঁতের ফাঁকে বা ওপরে কালো কালো দাগ সুন্দর চেহারার বারোটা বাজিয়ে দেয়
অনেক সময়। অনেকে এই কালো দাগের জন্য প্রাণভরে হাসতেও ভয় পান। দাঁতের
ফাঁকে কালো দাগ নানা কারণে হতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো দন্তমল।
খাওয়ার পর বিভিন্ন খাদ্যকণা দাঁতের ফাঁকে বা মাড়িতে আটকে থাকে। দীর্ঘদিন
আটকে থাকার কারণে এর ওপর শক্ত আবরণ পড়ে, যা দন্তমলে পরিণত হয়। এ ছাড়া
ধূমপান, জর্দা, পান ও তামাক ব্যবহারে দাঁতে দাগ পড়ে।

দন্তমল কেবল দেখতে খারাপ নয়, এর ভেতরে জন্ম নেয় ও বেড়ে ওঠে অসংখ্য
জীবাণু। অনেক সময় এই জীবাণু রক্তে মিশে গিয়ে নানা বিপত্তির সৃষ্টি করতে
পারে, এমনিক গর্ভস্থ শিশুর ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে। এ ছাড়া মুখে
দুর্গন্ধ এবং বারবার মাড়ির প্রদাহের জন্যও এটি দায়ী।

দাঁত সুন্দর ও সাদা রাখতে কিছু বিষয়ে সচেতনতা দরকার।
 দিনে অন্তত দুবার ভালো করে বেশ কিছুক্ষণ ধরে দাঁত ব্রাশ করুন।
 ব্রাশ করার আগে ডেন্টাল ফ্লস বা সুতা দিয়ে দাঁতের ফাঁকগুলো পরিষ্কার ও
জীবাণুমুক্ত করুন।
 জীবাণু দূর করে এমন মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ কুলকুচি করুন রাতে।
 রোজ কোনো শক্ত ফল যেমন পেয়ারা, আমড়া, আপেল ইত্যাদি দাঁত দিয়ে কামড়ে
খান। তাজা শাক-সবজি যেমন গাজর, শসা, টমেটো, লেবু ইত্যাদিও দাঁত সুরক্ষার
জন্য ভালো।
 বছরে অন্তত দুবার দন্তমল দূর করার জন্য ডেন্টাল স্কেলিং করা উচিত।

২৮ অক্টোবর স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস। দিবসটি সামনে রেখে নারীরা তাঁদের
নানা রকম সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সেই সমস্যাগুলোর পরামর্শদিয়েছেন—পারভীন
শাহিদা আখতার, অধ্যাপক, মেডিকেল অনকোলজি, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা
ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মহাখালী, ঢাকা।

সমস্যা: আমার বয়স ৪২ বছর। আমেরিকাপ্রবাসী ছোট বোনের স্তনে টিউমার হয়েছিল।
তাই সব সময় ভয়ে থাকি। আমার নিজের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু শুনেছি,
পরিবারের কারও থাকলে এটি হতে পারে। আমার কি প্রতিবছর ম্যামোগ্রাফি করা
উচিত?
শায়লা, ধানমন্ডি, ঢাকা।
পরামর্শ: আপনার এত আশঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। পরিবারে কারও থাকলে যে স্তন
ক্যানসার হবেই, এমন কোনো কথা নেই। মাত্র ৭ শতাংশ রোগীর পারিবারিক ইতিহাস
থাকে, বাকিদের পরিবারে না থাকলেও হচ্ছে। তবে এটা ঠিক যে স্তন ক্যানসারের
কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর বা ঝুঁকি চিহ্নিত হয়েছে। এতে পরিবারে মা-খালা-বোনদের
ক্যানসারের ইতিহাস ছাড়াও আরও অনেক কিছু রয়েছে। যেমন—অল্প বয়সে মাসিক হওয়া
এবং দেরিতে বন্ধ হওয়া, বন্ধ্যত্ব, স্থূলতা, হরমোন ট্যাবলেট খাবার ইতিহাস
ইত্যাদি। এক বা একাধিক ঝুঁকি থেকে থাকলে একটু বাড়তি সচেতনতা দরকার বৈকি।
তবে আমাদের দেশে পাশ্চাত্যের মতো স্ক্রিনিং সিস্টেম এতটা উন্নত হয়নি।
পশ্চিমা দেশে ৪০ বছরের অধিক নারীদের এবং অস্ট্রেলিয়ায় ৫০ বছরের অধিক
নারীদের বার্ষিক ম্যামোগ্রাফি করার বন্দোবস্ত আছে। আমাদের পরিপ্রেক্ষিতে
বলব, আপনি প্রতি মাসে একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে পরীক্ষা করার
অভ্যাস করুন। বছরে একবার একজন চিকিৎসকের হাতে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা
সম্পন্ন করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনে ম্যামোগ্রাফি বা
অন্য কোনো ইমেজিংয়ের সাহায্য নিন। মনে রাখবেন, ম্যামোগ্রাফি স্তন
ক্যানসারের একমাত্র ও সন্দেহাতীত পরীক্ষা নয়। আর সে জন্যই হাত দিয়ে
পরীক্ষা করার কোনো বিকল্প নেই।

সমস্যা: আমার বয়স ২৪ বছর। আমি অবিবাহিত। মাসিকের আগে-পরে স্তনে ব্যথা
অনুভূত হয় এবং ভার ভার লাগে। এটা কি কোনো খারাপ লক্ষণ?
কুইনি, মুন্সিগঞ্জ।
পরামর্শ: শুধু স্তনে ব্যথা স্তন ক্যানসারের কোনো গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ নয়।
ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রোগ শনাক্তকরণের সময় মাত্র ১ দশমিক
২ থেকে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ রোগীর স্তনে ব্যথা থাকে। অপরদিকে ৫০ থেকে ৭০
শতাংশ নারী জীবনে কোনো না কোনো সময় নানা কারণে স্তনে ব্যথা অনুভব করতে
পারেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এর কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। ঋতুবতী নারীর
সাইক্লিক্যাল ব্যথা হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। হরমোনের প্রভাবে
স্তন এই সময় স্ফীত হয়, দুই স্তনেই ব্যথা করে এবং ব্যথার স্থানটি
নির্দিষ্ট করা যায় না। এইচআরটি বা জন্মনিয়ন্ত্র্রণ বড়ির কারণেও এ রকম
ব্যথা হতে পারে। মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরে হরমোনের তারতম্য হয়
এবং এ ধরনের ব্যথা হয়। কাজেই সাইক্লিক্যাল এই স্তন ব্যথা নিয়ে আদতে খুব
দুশ্চিন্তার কিছু নেই যদি না অন্য কোনো উপসর্গ, যেমন—চাকা, পিণ্ড,
বৃন্তের কোনো অস্বাভাবিকতা, ক্ষত বা তরল নিঃসৃত হওয়া ইত্যাদি সঙ্গে থাকে।

সমস্যা: আমার মেয়ে কলেজে পড়ার সময় তার বাঁ স্তনে একটা ছোট্ট দানা হয়।
চিকিৎসক বলেন, এটি ফাইব্রোএডিনোমা এবং এর চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। এমনিতেই
চলে যাবে। তিন বছর পর বর্তমানে এটি ছাড়াও ডান দিকে আরও দুটি ছোট্ট দানা
হয়েছে। এ নিয়ে আমরা খুবই শঙ্কিত। আমরা কী করতে পারি?
তাহমিনা বেগম, ঝিকাতলা, ঢাকা।
পরামর্শ: ফাইব্রোএডিনোমা দুই দিকেই হতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদিও হতে পারে।
এটি স্তনে এমন একটি সলিড টিউমার, যা থেকে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা প্রায়
নেই বললেই চলে। তা ছাড়া আপনার মেয়ের বয়সটাও তো স্তন ক্যানসারের উপযোগী
নয়, যদিও অল্প বয়সে যে এটি একেবারেই হয় না তা নয়। দানাগুলো যদি অনেক বড়
হয় এবং অসুবিধার সৃষ্টি করে, তবে সার্জারির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
অন্যথায় তিন বছর পর পর আলট্রাসনোগ্রাফি করে বা পরীক্ষা চালিয়ে যেতে হবে।
তবে মনে রাখবেন, ৪০ বছরের আগে অকারণে ম্যামোগ্রাফি করা উচিত নয়।

সমস্যা: স্তনে টিউমার হাতে ধরা পড়ার আগেই নাকি অনেকখানি ছড়িয়ে যায়। আগে
থেকেই বোঝার কি কোনো উপায় নেই যে আমরা সুস্থ আছি এবং ক্যানসারের কোনো
আশঙ্কা নেই?
জিনিয়া, চট্টগ্রাম।
পরামর্শ: ক্যানসার কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে তা নির্ভর করে তার স্বভাবের ওপর।
যেমন, ইনভেসিভ ডাকটাল কারসিনোমা যত দ্রুত ছড়ায়, অন্যরা তত দ্রুত না-ও
ছড়াতে পারে। তবে চাকা হাতে ধরার আগেই শনাক্ত করার জন্য খুব কার্যকর ও
দক্ষ স্ক্রিনিং সিস্টেম দরকার। এ জন্য টেকনোগ্রাফার থেকে শুরু করে
রেডিওলজিস্ট ও ক্লিনিসিয়ান—সবাইকেই যথাযথভাবে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত হতে হবে।
স্ক্রিনিংয়ের জন্য প্রতি মাসে নিজেকে নিজে পরীক্ষা করা, বছরে একবার
চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা করানো এবং প্রয়োজনবোধে ৪০ বছরের ঊর্ধ্ব নারীদের
বছরে একবার ইমেজিং, যেমন—ম্যামোগ্রাফি, আলট্রাসাউন্ড, এমআরআই, এমআর
ম্যামোগ্রাফি ইত্যাদির সাহায্য নেওয়া যায়।

সমস্যা: স্তন ক্যানসারের সম্পূর্ণ চিকিৎসা বাংলাদেশে কি সম্ভব?
সাহানা হক, খিলগাঁও, ঢাকা।
পরামর্শ: স্তন ক্যানসার হচ্ছে সব ক্যানসারের মধ্যে এমন একটি ক্যানসার, যা
সঠিক সময়ে ধরা পড়লে এবং সঠিক চিকিৎসা করলে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা
সম্ভব। সুখের বিষয় যে রোগ শনাক্তকরণ থেকে শুরু করে এর চিকিৎসা ও যথাযথ
মনিটরিং বা ফলোআপ—সবই বাংলাদেশে সম্ভব এবং সুলভ হয়েছে। রোগনির্ণয়ের জন্য
ম্যামোগ্রাফি, এমআর ম্যামোগ্রাফি, বিশেষ আলট্রাসাউন্ড, এমআরআই এমনকি পেট
সিটি স্ক্যান পর্যন্ত—সবই বাংলাদেশে হচ্ছে। শুধু স্তন টিউমার সার্জারি
করেন এমন বিশেষজ্ঞ সার্জনরাও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ শেষে বিভিন্ন হাসপাতালে
সেবা দিচ্ছেন। আর সার্জারি-পরবর্তী চিকিৎসা, যেমন—কেমো ও রেডিওথেরাপিও
সুলভ। দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মহাখালী জাতীয় ক্যানসার
গবেষণা ইনস্টিটিউট সব শ্রেণীর রোগীর জন্য সুলভে এসব চিকিৎসাসেবা দিয়ে
যাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালও এ বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছে।


সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো,

ফোড়া হলো ত্বক এবং এর নিচের অংশে সংক্রমণের কারণে তৈরি জমা পুঁজ। শরীরে
এখানে-ওখানে অনেকের ফোড়া হতে দেখা যায়, বিশেষ করে শিশুদের।

ত্বকের নিচে প্রথমে সংক্রমণ হয়, চারপাশের ত্বক লালচে বা গোলাপি হয়ে
ওঠে, ব্যথা হয় এবং স্পর্শেই ব্যথা বাড়ে। পরে এই ফুলে ওঠা লালচে বা
বাদামি বিষফোড়ার মধ্যে হলদে বা সাদাটে রঙের পুঁজ জমে, তখন একে চিকিৎসার
ভাষায় অ্যাবসেস বলে।

ফোড়া যদি হয়…

১ : জীবাণুনাশক সাবান দিয়ে আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার করুন।
২: একটা পরিষ্কার কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে, চিপে নিয়ে হালকাভাবে ফোড়ার
ওপর চেপে ধরলে ফোড়াটি গলে যেতে পারে।

৩: জীবাণুনাশক মলম ফোড়ার ওপর এবং চারপাশে লাগিয়ে নিন।

৪ : জোর করে নিজেই ফোড়া গলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। কেননা সে
ক্ষেত্রে সংক্রমণ আশপাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। একটা সাধারণ বিষফোড়া
সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিনের মাথায় নিজেই গলে যায়। গলে যাওয়ার পর একটা
উষ্ণ, পরিষ্কার কাপড়ের খণ্ড বা তুলা বা গজ দিয়ে চেপে ধরে পুঁজ বের করে
আনুন। এবার অ্যান্টিবায়োটিক মলম হালকাভাবে লাগিয়ে শিথিল ব্যান্ডেজ
দিয়ে ঢেকে দিন।

৫: ফোড়া ধরার পর হাত ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নেবেন।
ব্যবহার্য টাওয়েল, পোশাক-আশাক, বিছানার চাদর ইত্যাদি গরম পানিতে ধুয়ে
ইস্ত্রি করে নেবেন, যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়।

৬: যদি প্রায়ই মুখে-গালে ফোড়া হয়, তবে দাড়ি কামানোর পর
অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ব্যবহার করুন।

কখন চিকিৎসককে দেখাবেন?

বারবার এবং একসঙ্গে অনেক ফোড়া হলে বা জ্বর থাকলে এবং ডায়াবেটিস বা জটিল
কোনো রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফোড়া হলে অ্যান্টিবায়োটিক
সেবনের আগে পুঁজ বের করে নিতে হয়।

আমাদের দিন শুরু ও শেষ হয় দাঁত ব্রাশ করা দিয়ে। অথচ অনেকেই হয়তো জানেন না
দাঁত ব্রাশ করার সঠিক নিয়মকানুন; বিশেষ করে আপনি নিজেই যদি না জেনে
থাকেন, তবে বাড়ির শিশুটিকে শেখাতেও পারবেন না। আর সঠিক নিয়মে ব্রাশ না
করলে লেগে থাকবে দাঁত ও মুখের নানা সমস্যা। তাই জেনে নিন কীভাবে দাঁত
ব্রাশ করা উচিত।

১: প্রথম কথা হচ্ছে টুথব্রাশ বাছাই করা। ভালো মানের টুথব্রাশ ব্যবহার
করুন, যার শলাকাগুলো বেশি শক্ত বা বেশি নরম নয়। ছোটদের জন্য ছোট আকারের
ব্রাশ দরকার, যা ওদের মুখে সহজে আঁটে।
২: পরিমিত মাত্রায় পেস্ট নিয়ে সকালে নাশতার পরে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে
দাঁত ব্রাশ করুন। সম্ভব হলে ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।
শিশুদের জন্য কম ঝাঁজাল টুথপেস্ট বেছে নিন।
৩: ব্রাশের শলাকাগুলো দাঁতের সঙ্গে ৪৫ ডিগ্রি কোনাকুনিভাবে ধরে ওপর পাটির
দাঁত ওপর থেকে নিচে এবং নিচের পাটির দাঁত নিচ থেকে ওপরে ব্রাশ করুন।
৪: দাঁতের ভেতরে ও বাইরের অংশে সমান সময় নিয়ে ব্রাশ করুন। তাড়াহুড়া করবেন
না। কমপক্ষে দুই মিনিট সময় নিয়ে ব্রাশ করুন।
৫: তিন মাস অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত। দীর্ঘদিন ব্যবহারে ব্রাশের
শলাকাগুলো বাঁকা হয়ে গেলে তা পরিবর্তন করতে হবে।
৬ : দিনে কম পক্ষে দুবার ব্রাশ করার পাশাপাশি অন্য সময় চকলেট কিংবা
মিষ্টিজাতীয় আঠালো খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দাঁত ব্রাশ করুন।
যা করা উচিত নয়
৭: অতিরিক্ত দীর্ঘ সময় নিয়ে দাঁত ব্রাশ করার প্রয়োজন নেই। বেশি জোরে ও
দ্রুত ব্রাশ করা থেকেও বিরত থাকুন। ব্রাশের আঘাতে যেন মুখগহ্বরের ভেতের
ঝিল্লির পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
৮:সামনে-পিছে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের গোড়া ক্ষয়ে যেতে পারে। ওপর-নিচে ব্রাশ করুন।
৯: টকজাতীয় খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাঁত ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকুন।

কীভাবে দাঁত ব্রাশ করবেন?
১: ওপরের পাটি
মাড়ির নিচের অংশ পর্যন্ত পরিষ্কার করতে প্রতিটি দাঁতের আশপাশে ব্রাশ পৌঁছে দিন।
২: নিচের পাটি
মাড়ির নিচের অংশ পর্যন্ত পরিষ্কার করতে প্রতিটি দাঁতের আশপাশে ব্রাশ করুন।
৩: দাঁতের ওপরের অংশ
পেছনের দাঁতের ওপর-নিচ সবখানে ব্রাশ করুন।
৪: দাঁতের বাইরের অংশ
এক প্রান্ত থেকে শুরু করে অপর প্রান্ত পর্যন্ত অথবা ওপর থেকে নিচের দিকে
ব্রাশ করুন।
ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করতে এক থেকে দুই মিনিট সময় নিন।
অল্প পরিমাণে ফ্লুরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করুন এবং একটি ছোট ও নরম ব্রাশ বেছে নিন।

শিশুদের ছোটবেলা থেকেই সঠিক নিয়মে ব্রাশ করা শেখানো অভিভাবকের দায়িত্ব।
দাঁতের সুস্বাস্থ্যের জন্য শিশুদের মাছের কাঁটা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে
তুলুন।

সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো,

অনেক মহিলা গর্ভধারণ এড়াতে অধিকাংশ নারী জন্মবিরতিকরণ পিল ব্যবহার করেন।
কিন্তু কিছু নিয়ম-কানুন সঠিক ভাবে না মানার কারণে গর্ভধারণ করে।
নিম্নে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো তুরে ধরা হলো :

১. নিয়মিত পিল না খাওয়া : নিয়মমতো পিল না খেলে এটি কাজ করবে না। অন্যান্য
হরমোন কন্ট্রাসেপ্টিভের মতোই এসব পিল নারী দেহের সংশ্লিষ্ট হরমোনের
মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অধিকংশ পিল এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টিন হরমোনের সমন্বয়ে
কাজ করে। পিল নিয়মিত না খেলে এসব হরমোনের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে নারীর
ডিম্বাশয় আগের মতোই উর্বর হয়ে ওঠে বলে জানান ইউনিভার্সিটি অব
ক্যালিফোর্নিয়ার গাইনেকোলজির প্রফেসর ফিলিপ ডার্নে।

২. সময়মতো পিল না খাওয়া : বিজ্ঞানীরা ওরাল হরমোন ডোজকে নিরাপদ করতে
গবেষণা চালিয়েছেন। প্রোজেস্টরেন-এস্ট্রোজেন পিলের কার্যকারিতা পেতে হলে ৬
ঘণ্টা থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবহার করতে হবে। প্রোজেস্টরেন পিল ব্যবহার
করতে হবে প্রতিদিনের ভিত্তিতে। একদিন বাদ পড়লে দেহে হরমোনের মাত্রা কমে
যেতে পারে বলে জানান প্ল্যান্ড প্যারেন্টহুড অব আমেরিকার ভাইস
প্রেসিডেন্ট ভেনেসা কুলিনস।

৩. বিশেষ চিকিৎসা অবস্থায় : কিছু বিশেষ চিকিৎসাপদ্ধতির জন্য এসব পিল কাজ করে না।
যেমন- টিউবারকুলোসিসের জন্য রিফাডিন চিকিৎসা, গ্রিসেওফালভিনের জন্য
অ্যান্টি-ফানগাল ড্রাগ ইত্যাদির ক্ষেত্রে পিল কার্যকারিতা দেখাতে পারে
না। তাই চিকিৎসকদের এসব ওষুধ নেওয়ার ক্ষেত্রে পিলের বিষয়ে পরামর্শ দিতে
হবে।

৪. হার্বাল সাপ্লিমেন্ট : যেকোনো হার্বাল সাপ্লিমেন্টের কারণে গর্ভনিরোধক
পিলের কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে। এ জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিশেষ ওষুধ ও হার্বাল সাপ্লিমেন্টের কারণে গর্ভনিরোধনে ব্যাকআপ ব্যবস্থার
কথাও বলেন বিশেষজ্ঞরা।

Unordered List

Flag Counter

Admission Open

Visitor

Online


widgeo.net

ফেসবুকে পেজ

প্রয়োজনিয় ঠিকানা

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Test

NEW LAUNCHED

Powered by Blogger.

Earn

তাপমাত্রা

Followers

About Me

My Photo
রাসেল ফার্মেসী রাণীহাটি বাজার, মন্ত্রী মার্কেট, শিবগঞ্জ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এই www.raselpharmacy.blogspot.com (রাসেল ফার্মেসী ) ব্লগটি স্বাস্থ্য বিষয় সচেতনতা মুলক টিপস নিয়ে সাজানো হয়েছে । যা আসা করি আপনাদের কাজে আসবে । আপানর যে কোন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা আমদের খুলে বলুন। আমরা চেষ্টা করব এর সমাধান দিতে। এছাড়াও ফেসবুকে পেতে ভিজিট করুন https://www.facebook.com/Raselpharmacy

Featured Posts

Popular Posts

Recent Post

Blogger Tips and TricksLatest Tips For BloggersBlogger Tricks

Just Click To Earn Money

Count Posts & Comments

আপনার এই ব্লগটি কেমন লেগেছে ?

Text Widget

এই ব্লগের লেখা নিজের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বিভিন্ন বই,ওয়েবসাইট ও ব্লগ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।

Rolling Pictures

বিজ্ঞাপন

0

Add