১। পুরুষাঙ্গের সামনের বা মাথার দিকে যে অতিরিক্ত স্কিন পুরুষাঙ্গের
সংবেদনশীল মাথাকে ঢেকে রাখে, তা কর্তন করাকে খতনা বা মুসলমানি করা
বোঝায়।
২। খতনা বা মুসলমানি করার প্রয়োজনীয়তা :
(ক) ধর্মীয় কারণে মুসলমান ও খ্রিষ্টানেরা খতনা করান।
(খ) ফাইমোসিস বা প্যারাফাইমোসিস রোগ হলে খতনা বা মুসলমানি করাতে হয়।
ফাইমোসিস হলো পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া যদি এমনভাবে মূত্রনালীকে
ঢেকে রাখে যে শিশু বা রোগীর প্রস্রাব ঠিকমতো বের হতে পারে না। এর ফলে
প্রস্রাবের সময় কান্নাকাটি করে এবং প্রস্রাবের সময় মাথাটা ফুলে ওঠে।
এভাবে বেশি দিন চলতে থাকলে প্রস্রাবে ইনফেকশন ও কিডনি ফেইলিউর হতে পারে।
প্যারাফাইমোসিস : পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া উল্টে টাইট হয়ে যায়।
এর ফলে চামড়াকে আর সামনে ও পেছনের দিকে নাড়াচাড়া করা যায় না। এ
ক্ষেত্রে মাথার দিকে ফুলে যায় এবং রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এই উভয়
ক্ষেত্রেই জরুরি ভিত্তিতে খতনা করা প্রয়োজন। আরো নানাবিধ কারণে খতনা
দরকার হয়, যেমনÑ পুরুষাঙ্গের চামড়া অনেক সময় প্যান্টের চেইনের সাথে
আটকে গেলে। রোগী চাইলেও যেকোনো ধর্মাবলম্বী লোকের খতনা করা হয়।
৩। খতনা বা মুসলমানি করালে কী উপকারিতা :
পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার মুসলমান ও খ্রিষ্টানদের মধ্যে নেই বললেই চলে। তার
প্রধান কারণ খতনা। পুরুষাঙ্গের মাথার বাড়তি চামড়ার নিচে সাদা এক ধরনের
পদার্থ (স্মেগমা) জমে এবং এই স্মেগমাই পুরুষাঙ্গের ক্যান্সারের জন্য
দায়ী।
৪। কখন খতনা করা যাবে না : হাইপোসপেভিয়াসিন রোগ। হাইপোসপেভিয়াসিস এটি
পুরুষাঙ্গের জন্মগত ত্রুটি। এখানে মনে হবে শিশু জন্মগতভাবে খতনা হয়ে
এসেছে। এ ক্ষেতে পুুরুষাঙ্গের বাড়তি চামড়া এই জন্মগত ত্রুটি মেরামতের
সময় প্রয়োজন হয়। তাই খতনা করানো নিষেধ।
৫। খতনা করার আগে রক্ত পরীক্ষা করার প্রয়োজন আছে কি? অবশ্যই আছে। খতনার
পর কিছু খতনার রোগীর ব্লিডিং বন্ধ হয় না এবং মরণাপন্ন অবস্থায় আমাদের
কাছে হাজামরা পাঠায়। তাই খতনার আগে শিশুর অবশ্যই রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা
(জন্মগত) আছে কি না, তা দেখে নিতে হবে।
৬। খতনা করার পর কী কী জটিলতা দেখা দিতে পারে : Ñ রক্তক্ষরণ বন্ধ না
হওয়া। Ñ হাজাম বা অনভিজ্ঞতার কারণে অতিরিক্ত বা কম চামড়া কেটে ফেলা। Ñ
পুরুষাঙ্গের সংবেদনশীল মাথা কেটে ফেলা। হাজামরা খতনা করে ব্লাইন্ডলি
অর্থাৎ মাথার অগ্রভাগে চামড়া মাথা থেকে সঠিকমতো না ছাড়িয়ে না দেখে
কেটে ফেলতে গিয়ে এ ধরনের মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। ইংল্যান্ডসহ
পৃথিবীর সব দেশে এই খতনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখা হয়
সংবেদনশীল মাথাকে ঢেকে রাখে, তা কর্তন করাকে খতনা বা মুসলমানি করা
বোঝায়।
২। খতনা বা মুসলমানি করার প্রয়োজনীয়তা :
(ক) ধর্মীয় কারণে মুসলমান ও খ্রিষ্টানেরা খতনা করান।
(খ) ফাইমোসিস বা প্যারাফাইমোসিস রোগ হলে খতনা বা মুসলমানি করাতে হয়।
ফাইমোসিস হলো পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া যদি এমনভাবে মূত্রনালীকে
ঢেকে রাখে যে শিশু বা রোগীর প্রস্রাব ঠিকমতো বের হতে পারে না। এর ফলে
প্রস্রাবের সময় কান্নাকাটি করে এবং প্রস্রাবের সময় মাথাটা ফুলে ওঠে।
এভাবে বেশি দিন চলতে থাকলে প্রস্রাবে ইনফেকশন ও কিডনি ফেইলিউর হতে পারে।
প্যারাফাইমোসিস : পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া উল্টে টাইট হয়ে যায়।
এর ফলে চামড়াকে আর সামনে ও পেছনের দিকে নাড়াচাড়া করা যায় না। এ
ক্ষেত্রে মাথার দিকে ফুলে যায় এবং রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এই উভয়
ক্ষেত্রেই জরুরি ভিত্তিতে খতনা করা প্রয়োজন। আরো নানাবিধ কারণে খতনা
দরকার হয়, যেমনÑ পুরুষাঙ্গের চামড়া অনেক সময় প্যান্টের চেইনের সাথে
আটকে গেলে। রোগী চাইলেও যেকোনো ধর্মাবলম্বী লোকের খতনা করা হয়।
৩। খতনা বা মুসলমানি করালে কী উপকারিতা :
পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার মুসলমান ও খ্রিষ্টানদের মধ্যে নেই বললেই চলে। তার
প্রধান কারণ খতনা। পুরুষাঙ্গের মাথার বাড়তি চামড়ার নিচে সাদা এক ধরনের
পদার্থ (স্মেগমা) জমে এবং এই স্মেগমাই পুরুষাঙ্গের ক্যান্সারের জন্য
দায়ী।
৪। কখন খতনা করা যাবে না : হাইপোসপেভিয়াসিন রোগ। হাইপোসপেভিয়াসিস এটি
পুরুষাঙ্গের জন্মগত ত্রুটি। এখানে মনে হবে শিশু জন্মগতভাবে খতনা হয়ে
এসেছে। এ ক্ষেতে পুুরুষাঙ্গের বাড়তি চামড়া এই জন্মগত ত্রুটি মেরামতের
সময় প্রয়োজন হয়। তাই খতনা করানো নিষেধ।
৫। খতনা করার আগে রক্ত পরীক্ষা করার প্রয়োজন আছে কি? অবশ্যই আছে। খতনার
পর কিছু খতনার রোগীর ব্লিডিং বন্ধ হয় না এবং মরণাপন্ন অবস্থায় আমাদের
কাছে হাজামরা পাঠায়। তাই খতনার আগে শিশুর অবশ্যই রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা
(জন্মগত) আছে কি না, তা দেখে নিতে হবে।
৬। খতনা করার পর কী কী জটিলতা দেখা দিতে পারে : Ñ রক্তক্ষরণ বন্ধ না
হওয়া। Ñ হাজাম বা অনভিজ্ঞতার কারণে অতিরিক্ত বা কম চামড়া কেটে ফেলা। Ñ
পুরুষাঙ্গের সংবেদনশীল মাথা কেটে ফেলা। হাজামরা খতনা করে ব্লাইন্ডলি
অর্থাৎ মাথার অগ্রভাগে চামড়া মাথা থেকে সঠিকমতো না ছাড়িয়ে না দেখে
কেটে ফেলতে গিয়ে এ ধরনের মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। ইংল্যান্ডসহ
পৃথিবীর সব দেশে এই খতনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখা হয়