Friday, March 2, 2018

ডায়াবেটিসবিজ্ঞানীরা বলছেন ডায়াবেটিস আসলে পাঁচটি ভিন্ন ধরনের রোগ এবং এর প্রত্যেকটির ক্ষেত্রে আলাদা চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে। ডায়াবেটিস মূলত 'রক্তে
অনিয়ন্ত্রিত সুগার লেভেল' হিসেবে চিহ্নিত একটি রোগ এবং এখন পর্যন্ত সাধারণত একে দুটিভাগে ভাগ করা হয় - টাইপ ১ এবং টাইপ ২।
কিন্তু সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের গবেষকরা মনে করছেন, তারা ডায়াবেটিস সম্পর্কিত আরও জটিল একটি চিত্র খুঁজে পেয়েছেন এবং এর ফলে এই রোগ নিরাময়ে প্রত্যেক ব্যক্তিকে আলাদা চিকিৎসা দেয়ার বিষয়টি সামনে চলে আসতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গবেষণা ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা করতে পারে, তবে চলমান চিকিৎসার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে হয়তো আরও সময় লাগবে।
বিশ্বে প্রতি ১১ জনে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন - আর একবার আক্রান্ত হলে রোগীদের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, অন্ধত্ব, কিডনি অচল হয়ে পড়া এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে ফেলার মতো ঝুঁকি বেড়ে যায়। টাইপ ১ ডায়াবেটিস হলো মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কিত রোগ। এটি শরীরের ইনসুলিন তৈরির ক্ষমতা বা বেটা সেলকে আক্রমণ করে, ফলে রক্তে সুগার বা চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয় এই হরমোনটির পর্যাপ্ত উৎপাদন হয় না।
অন্যদিকে টাইপ ২-কে মনে করা হয় অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি রোগ হিসেবে, যেখানে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ইনসুলিনের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে। ডায়াবেটিস নিয়ে সর্বশেষ গবেষণাটি করেছে সুইডেনের লান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ডায়াবেটিস কেন্দ্র এবং ফিনল্যান্ডের ইন্সটিটিউট ফর মলিক্যুলার মেডিসিন। আর এতে ১৪,৭৭৫ রোগীর ওপর নজরদারি করা হয়, বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হয় তাদের রক্তের।
গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে ল্যানসেট ডায়াবেটিস অ্যান্ড এন্ডোক্রিনোলজিতে। এতে দেখানো হয়েছে যে ডায়াবেটিস রোগীদের পাঁচটি সুনির্দিষ্ট ক্লাস্টারে ভাগ করা যায়।
ক্লাস্টার ১- এটা মোটা দাগে টাইপ ১ ধরনের তীব্র মাত্রার অটোইমিউন ডায়াবেটিস, যা মানুষকে তখনই আক্রান্ত করে যখন সে বয়সে তরুণ এবং তাকে দেখতে স্বাস্থ্যবান মনে হয়। এই ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয় না। ক্লাস্টার ২ - এরা ওই ধরণের ইনসুলিন-ঘাটতির ডায়াবেটিস রোগী যাদেরকে শুরুতে ক্লাস্টার ১ এর রোগীদের মতোই মনে হয়। এরা তরুণ, এদের ওজন নিয়ন্ত্রণে, কিন্তু ইনসুলিন উৎপাদনে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে - যদিও এদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থায় কোনো গলদ নেই।
ক্লাস্টার ৩ - এরা তীব্র ইনসুলিন-প্রতিরোধী ডায়াবেটিস রোগী, যারা সাধারণত অতিরিক্ত মোটা। এরা শরীরে ইনসুলিন তৈরি করছে, কিন্তু এদের শরীর সেই ইনসুলিনে সাড়া দেয় না।
ক্লাস্টার ৪ - এটি ওজনের সঙ্গে সম্পর্কিত হালকা-ধরনের ডায়াবেটিস, যা অসম্ভব স্থূলকায় মানুষের মধ্যে দেখা যায়। এ ধরনের মানুষ আবার মেটাবোলিজমের দিক থেকে ক্লাস্টার ৩ ধরনের মানুষদের চেয়ে বরং স্বাভাবিক মানুষের কাছাকাছি।
ক্লাস্টার ৫ - বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত হালকা ধরনের ডায়াবেটিস, যা ওই ধরনের মানুষের হয় যখন তাদের বয়স বেড়ে যায়। অর্থাৎ এই রোগীরা অন্য গ্রুপগুলোর মানুষের তুলনায় বেশি বয়স্ক, তবে এদের ডায়াবেটিসের মাত্রা কম।
গবেষক দলের অন্যতম, অধ্যাপক লিফ গ্রুপ বিবিসিকে বলেন, "এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আমরা রোগীদের একেবারে যথাযথ ওষুধ দেয়ার ক্ষেত্রে এক কদম এগিয়ে যাচ্ছি।"
তিনি বলেন, যে তিন ধরনের ডায়াবেটিস তীব্র মাত্রার, তার চিকিৎসা অন্য দুই ধরনের ডায়াবেটিসের চেয়ে জোরালোভাবে করা যেতে পারে। ক্লাস্টার ২ ধরনের রোগীদের এখনকার টাইপ ২ হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে, কারণ তাদের অটোইমিউন রোগ নেই।


গবেষণায় অবশ্য এই ধারণা পাওয়া যাচ্ছে যে এদের রোগের কারণ সম্ভবত তাদের বেটা-সেলের কোনো খুঁত - এরা যে খুব মোটা সে কারণে নয়। আর তাদের চিকিৎসা ওই ধরনের রোগীদের মতো হওয়া দরকার যারা এখন টাইপ ১ হিসেবে চিহ্নিত।
ক্লাস্টার ২ রোগীদের অন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি, আর ক্লাস্টার ৩ রোগীদের বেশি ঝুঁকি কিডনি সম্পর্কিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে বেশি করে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কয়েকটি ক্লাস্টারের রোগীরা উপকৃত হতে পারেন।
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের কন্সালট্যান্ট ও ক্লিনিক্যাল সায়েন্টিস্ট ড. ভিক্টোরিয়া সালেম বলেন, বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞই জানতেন যে ডায়াবেটিসকে টাইপ ১ এবং টাইপ ২ - এই দুভাগে ভাগ করে যে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়, তা "খুব একটা সঠিক নয়"।
তিনি বিবিসিকে বলেন, "কোন সন্দেহ নেই যে আমরা ডায়াবেটিসকে নিয়ে ভবিষ্যতে কীভাবে চিন্তা করব, তা এই গবেষণা সাহায্য করবে।"
কিন্তু তিনি একই সঙ্গে সতর্ক করে দেন যে ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে আজই কোন পরিবর্তন আসবে না।
এই গবেষণা করা হয়েছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ায়। অন্যদিকে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একেক রকম। যেমন দক্ষিণ এশিয়ায় এই রোগের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি।
ড. সালেম বলেন, "এখনো অনেক কিছুই অজানা। এমনও হতে পারে যে জিন এবং স্থানীয় পরিবেশের কারণে বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিসের ৫০০ ধরণের সাব-গ্রুপ রয়েছে।"
"গবেষকদের বিশ্লেষণে পাঁচটি ক্লাস্টার পাওয়া গেছে, কিন্তু এই সংখ্যা বাড়তেও পারে," বলছেন এই বিজ্ঞানী।
ওয়রউইক মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক সুদেষ কুমার বলেন, নিশ্চিতভাবে এটি কেবলই একটি প্রথম পদক্ষেপ। আমাদের জানতে হবে এদের আলাদা আলাদা চিকিৎসা দিলে আমরা ভালো ফলাফল পাব কিনা।
ডায়াবেটিস ইউকের ড. এমিলি বার্নস বলছেন রোগটি সম্পর্কে ঠিকঠাক মতো বুঝতে পারলে "তা প্রত্যেক ব্যক্তিকে আলাদাভাবে চিকিৎসা দেয়া এবং এটা ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস-সংক্রান্ত জটিলতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য" করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, টাইপ ২ ধরনের ডায়াবেটিস আরও ভালো করে বুঝতে এই গবেষণা বেশ প্রতিশ্রুতির পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষদের কী উপকার হবে তা বোঝার আগে সাব-গ্রুপগুলো সম্পর্কে আমাদের আরও ভালোভাবে জানতে হবে।

**  আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন    Facebook Page   
ছোটদের উপসর্গ বেশি দেখা দিলেও কৃমি ছোট-বড় সকলের হতে পারে। পেটে কৃমি হলে ক্ষুধা মন্দা হয়, বমি বমি লাগে, ওজন কমে যায়, রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। বাচ্চাদের কৃমির অন্যতম কারণ অপরিচ্ছন্ন-অপরিস্কার জীবনযাপন।কৃমি থেকে দূরে থাকতে  বছরে দুইবার ছয় মাস পর পর কৃমি-নাশক ঔষধ খেতে হয়। মেবেন্ডাজল এবং এলবেন্ডাজল বহুল ব্যবহৃত কৃমি-নাশক ঔষধ। এলবেন্ডাজল গ্রুপের ঔষধের মধ্যে রয়েছে Abentel, Alben-DS, Alba, Almex, Alphin, Azole, BEN-A, Sintel, Estazol ইত্যাদি। আর মেবেন্ডাজল গ্রুপের ঔষধের মধ্যে রয়েছে Ermox, Panamox, Solas, Vermizole ইত্যাদি।
মেবেন্ডাজল এবং এলবেন্ডাজল বেনজাইমিডাজল গ্রুপের ঔষধ। উভয়েই প্রায় সব ধরণের কৃমির বিরুদ্ধে কার্যকরী। মেবেন্ডাজল এবং এলবেন্ডাজল কৃমিকে গ্লুকোজ গ্রহনে বাধা দেয়। ফলে শর্করা জাতীয় খাবারের অভাবে কৃমি বেঁচে থাকার রসদ আর পায় না। আর এভাবেই মেবেন্ডাজল এবং এলবেন্ডাজল আমাদের শরীরের ক্ষতিকারক পরজীবি কৃমিদের মেরে ফেলে।
মেবেন্ডাজল কেবল অন্ত্রে থাকা কৃমির উপর কাজ করে এবং পায়খানার সাথে প্রায় ৯৫ ভাগ বের হয়ে আসে।  তাই কেবল অন্ত্রনালীতে থাকা কৃমিসহ যাবতীয় পরজীবির উপর মেবেন্ডাজল দারুণ কাজ করে। কিন্তু টিস্যুতে কিংবা শরীরের অন্যান্য অংশে থাকা পরজীবির উপর মেবেন্ডাজল কার্যকরী নয়। টিস্যুতে বসবাস করা পরজীবি জনিত সংক্রমনের মধ্যে রয়েছে Cysticerosis এবং Hyatid cysts। যেহেতু মেবেন্ডাজল সহজেই অন্ত্রনালী থেকে পুরো শরীরে শোষিত হয় না তাই এটি তুলনামূলক কম টক্সিক। ফলে এটি শরীরের জন্যে নিরাপদও। এজন্যেই প্রেগন্যান্সির সময় এলবেন্ডাজলের পরিবর্তে মেবেন্ডাজল দেয়া হয়। গর্ভবতীর জন্যে মেবেন্ডাজল তুলনামূলক নিরাপদ বলে গন্য করা হয়।
অন্যদিকে, এলবেন্ডাজল অন্ত্র থেকে পুরো শরীরে সহজেই শোষিত হয়ে রক্তে ছড়িয়ে পড়ে। এলবেন্ডাজল সিরামে বেশ ভালো মাত্রায় পৌঁছাতে সক্ষম, ফলে এটি শরীরের প্রায় সব ধরণের পরজীবির বিরুদ্ধে কার্যকরী। এলবেন্ডাজলের একটি সক্রিয় মেটাবলাইটের নাম হল এলবেন্ডাজল সালফোক্সাইড। এই মেটাবোলাইটটি সহজেই টিস্যু ও সিস্টে ছড়াতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, এলবেন্ডাজল মেটাবোলাইট Larval Cestodes এর বিরুদ্ধে কাজ করে। উচ্চ ফ্যাটযুক্ত খাবার যেমন- বাটার, ডিমের কুসুম, ঘিয়ে ভাজা খাবার, চর্বিযুক্ত গরুর মাংস ইত্যাদির সাথে খেলে এলবেন্ডাজলের শোষন প্রায় পাচগুণ বৃদ্ধি পায়। এলবেন্ডাজল অন্ত্রের বাইরে থাকা সব হেলমিন্থ পরজীবি ঘটিত সংক্রমণ যেমন ব্রেইনে ফিতাকৃমির সংকমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
এলবেন্ডাজল নাকি মেবেন্ডাজল কোনটি ড্রাগ অফ চয়েস হবে তা নির্ভর করে সংক্রমণের প্রকার, রোগীর বয়স, রোগী কি ধরণের পরিবেশ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার ভিতর বসবাস করেন, ঔষধের পূর্বের ফলাফল ইত্যাদি বিষয়ের উপর। অনেক সময় একাধিক ধরণের কৃমি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সংক্রমণ করে। এসকল ক্ষেত্রে  চিকিৎসায় কম্বাইন্ড ড্রাগ ব্যবহৃত হয়।

  আরো সাথে থাকতে  আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন    Facebook Page  

Wednesday, June 10, 2015

পৃথিবীতে মা হওয়া একই সাথে বিশাল
একটা সুখের এবং কষ্টের কাজ । আমরা
ছেলেরা এই বিষয়টা বাহির থেকে
দেখি । আনন্দ পাই , কিন্তু মেয়েরা যে
পরিমান কষ্ট সহ্য করে একটা বাচ্চা এই
পৃথিবীতে আনে যা কখনই বুঝতে পারবো
না । আমার বন্ধু তালিকার সবাই প্রায়
তরুণ । অনেকেই নতুন বিয়ে করছে , সামনেই
তাদের ঘর আলো করে বাচ্চা আসবে ।
আমাদের সবার এই কথাটা মনে রাখা
উচিৎ যে আমাদের অর্ধাঙ্গিনীরা এই
৯টা মাস অনেক কষ্ট করে পার করবে ।
আমরা হয়ত শরীরের কষ্ট কমাইতে পারবো
না কিন্তু তাদের মন আনন্দে ভরিয়ে
দিতে পারবো । একই সাথে আমাদের
ভবিষ্যৎকরনীয় বিষয়গুলো নিয়েও সচেতন
থাকতে হবে । বাংলাদেশ যেহেতু , সবার
প্রথম যথেষ্ট পরিমান টাকা জমিয়ে
রাখতে হবে হাতে । নিয়মিত ডাক্তার এর
চেকআপ করাতে হবে । ঠিক মত
খাওয়াদাওয়া করাতে হবে । কোন রকম
ভারী কাজ করতে দেয়া যাবে না ।
কোথায় ডেলিভারি করাবেন, সেখানে
কিভাবে নিয়ে যাবেন সেগুলো আগে
থেকেই ঠিক করিয়ে রাখতে হবে ।
অপদার্থের মত সব কিছু ডাক্তার এর হাতে
ছেড়ে দিবেন না । কি হচ্ছে না হচ্ছে এই
বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে । আমাদের
প্রথম বাচ্চার জন্মের সময় আমরা অনেক
কেয়ারফুল ছিলাম । কিন্তু তারপরও অনেক
ভুল করে ফেলেছিলাম যার জন্য আমরা
তাকে হারিয়েছি । এই কষ্ট
সারাজীবনের । আপনারা ভুল করবেন না ।
বাংলাদেশ অনেক খারাপ একটা জায়গা
। এখানে স্বাস্থ্য সেবা নয় ব্যবসা ।
এখানকার ক্লিনিক + ডাক্তারদের একটা
বড় চেষ্টা থাকে প্রিম্যাচিউর বেবি
জন্ম দেয়ার । এখানকার ডাক্তাররা কখনই
আপনাকে নরমাল ডেলিভারির কথা
বলবে না । নানা রকম ভয় দেখাবে যাতে
সিজার করতে রাজি হন । কারন নরমাল
ডেলিভারিতে তাদের ইনকাম কম ।
সিজার করলে ইনকাম বেশি হওয়ার একটা
বিশাল সুযোগ থাকে ।
আমার টাকার অভাব ছিল না , অভাব
ছিল জ্ঞানের । বাসার কাছেই বলে
নিয়ে গিয়েছিলাম সিদ্ধেশ্বরীর
"মনোয়ারা হাসপাতাল" এ । ওখানকার
ডিউটি ডাক্তার ( যতদূর সম্ভব ইন্টার্ন )
ঠিক ভাবে চেকআপ না করেই বলেছিল
যে আমার স্ত্রীর ডেলিভারি পেইন
উঠেছে । অথচ আমার স্ত্রীর সেই রকম
ব্যাথাও ছিল না , পানিও ভেঙ্গে যায়
নাই । সিজার করার জন্য ডাক্তার শায়লা
শামিম ( MBBS, FCPS (Obs & Gynae) Assitant
Professor, Gynae & Obs. Bangabandhu Sheikh
Mujib Medical University ) যে কোন রাস্তা
দিয়ে অপারেশন থিয়েটার এ গেলো তা
আমি জানিই না । একবার আমার সাথে
কথাও বলে নাই অপারেশন শুরুর আগে ।
অতীতে চেকাপের সময় উনাকে একবার
জিজ্ঞাসা করেছিলাম ম্যাডাম নরমাল
ডেলিভারি ভালো নাকি সি-সেকশন
ভালো । উনার ভদ্রতার মুখোশ খুলে উনি
আমাকে বিশাল একটা ঝাড়ি
দিয়েছিলেন যে আর কিছু বলি নাই ।
যাই হোক আমার অজ্ঞতা আর উনাদের
লোভ একটা বাচ্চার জীবন অনিশ্চিত
করেই এই পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিল ।
ইবাদত ( আমার প্রথম ছেলের নাম ) এর
জন্মের পর যখন আমাকে দেখানো হল তখন
নার্সরা বললো বাচ্চা ভালো আছে , সব
ঠিক আছে । আমিও আনন্দে খুশিতে
উনাদের বখশিশ দিলাম । একটু পড়ে শিশু
ডাক্তার যিনি অপারেশন এর সময়
উপস্থিত ছিলেন , উনি বের হচ্ছিলেন ।
আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে
বাচ্চা আর মাকে কখন বাসায় নিতে
পারবো । উনি অনেক রুডলি আমাকে
বললেন , বাসায় নিবেন ? আপনার বাচ্চা
বাঁচে কিনা সেইটা আগে দেখেন । উনার
কথায় আমি হতভম্ব । মনে হলো সেকেন্ড
এর মধ্যে জান্নাত থেকে জাহান্নামে
এসে পড়লাম । উনি নিজে গজর গজর করতে
করতে বের হয়ে গেলেন । একজন
ডাক্তারকে মনে হয় শিক্ষা দেয়া হয় যে
কিভাবে রোগীর স্বজনদের সাথে কথা
বলা উচিৎ । বাংলাদেশ জন্য উনারা এই
শিক্ষাটা ভুলে গেছেন ।
বাচ্চাকে নিয়ে গেলো এনআইসিইউ তে ।
যেখানে আমাদের যেতে দেয়া হয় না ,
কথা বলার মত , কিছু জিজ্ঞাসা করার
মতও কেউ নাই । আমি একবার এনআইসিইউ
এর সামনে দৌড়াই আরেকবার পোস্ট
অপারেটিভ রুমের সামনে । একই সাথে
কেবিন পাওয়ার জন্য এডমিনিস্ট্রেসন এ ।
বাচ্চার কি সমস্যা হইছে কিছুই জানি না
। পুরো দিনটা এভাবে গেলো । রাতে
শিশু ডাক্তার আবার আসলেন । জানা
গেলো আমার বাচ্চা সময়ের আগেই জন্ম
নেয়ার কারনে তার ফুসফুস কাজ করছে না
। তাকে আপাতত ইনকিউবেটর এ রাখা
হয়েছে অক্সিজেন দিয়ে । তার অবস্থা
ভালো না । কি বলবো মনের ভিতর যে
কি যাচ্ছিল । কেবিন এ ফিরে জেরিনকে
বললাম বাবু ভালো আছে । সব ঠিক আছে ।
এনআইসিইউ এর ঠিক সামনের কেবিনটা
নিয়েছি যাতে বাচ্চার খোজখবর নেয়া
যায় । রাতে চোখটা একটু বন্ধ করেছি ঠিক
এই সময় নার্সরা ডাক দিল । এনআইসিইউ
এর ভিতরে গিয়ে ডিউটি ডক্টর এর কাছে
জানতে পারলাম, আমার বাচ্চার অবস্থা
ভালো না , তাকে ইমিডিয়েট লাইফ
সাপোর্ট এ দিতে হবে যে মেশিন তাদের
এখানে নাই । জিজ্ঞাসা করলাম
কোথায় আছে । বললো ধানমন্ডির
পেডিহোপ হাসপাতাল এ । ( পরবর্তিতে
জানতে পেরেছিলাম যে পেডিহোপ এর
সাথে তাদের একটা লিয়াজো আছে ) ।
বললাম বাচ্চাটাকে একটু দেখতে পারি ।
ছোট্ট একটা বাচ্চা , বুকটা উঠানামা
করছে, মনে হচ্ছে একেবারে ভেঙ্গে
যাবে । ওদেরকে বললাম এম্বুলেন্স রেডি
করতে । আম্মুকে ফোন দিয়ে বললাম
হাসপাতাল এ আসতে । বন্ধু শাওন
আনোয়ারকেও ফোন দিয়ে আসতে বললাম
। জেরিনকে বললাম শক্ত হইতে তোমার
বাবুকে আমি অন্য হাসপাতাল এ নিয়ে
যাচ্ছি । ১০ মিনিট এর মধ্যেই বাচ্চাকে
নিয়ে রওনা দিলাম । রাস্তা ফাকা ছিল
অনেক দ্রুতই পৌঁছে গেলাম পেডিহোপ
নামের জঘন্য হাসপাতাল এ। ওরা ওরাই
সবকিছু করে বাচ্চাকে লাইফ সাপোর্ট
মেশিন এ দিয়ে দিল । আমাকে অফিস এ
নিয়ে জানানো হইলো তাদের এইখানে
প্রতিদিনের খরচ কি রকম এই সেই ।
হাসপাতাল এর অবস্থা দেখেই আমার মন
চুপসায় গেছে । হাসপাতাল কম বস্তি
বলাই বেটার ।
সকাল বিকাল ডাক্তার আসে । একটা
কথাই শুধু শুনি আপনার বাচ্চার অবস্থা
ভালো না । কাচের জানালা দিয়ে
দেখি আমার বাবুর বুক উঠানামা করছে ।
যতক্ষণ পারি তাকিয়ে থাকি । একটু
গবেষণা করে জানা গেলো এই সমস্যার
নাম RDS ( Respiratory Distress Syndrome )
এবং প্রথম চিকিৎসাই হল Surfactant therapy
। দৌড়ে যাই ডিউটি ডাক্তার এর কাছে ।
তাকে বলি আমার বাচ্চাকে কি এইটা
দেয়া হয়েছে কিনা । তার কাছ থেকে
নাম্বার নিয়ে কথা বলি মেইন ডক্টর এর
সাথে । সে বলে জন্মের ছয় থেকে বারো
ঘণ্টার মধ্যেই দিতে হয় । এইটা দেয়ার
দায়িত্ব মনোয়ারা হসপিটাল এর শিশু
ডাক্তার এর ছিল । শিশু ডাক্তারকে ফোন
দিলে সে বলে মনোয়ারা হাসপাতালে
নাকি সেই সুযোগ সুবিধা ছিল না ।
মনোয়ারা হাসপাতালে ব্যবস্থা না
থাকলে জন্মের প্রথম ১২ ঘণ্টা
বাচ্চাটাকে শুধু ইনকিউবেটর এ রেখে
ওরা টেস্ট করতেছিল । তারপর
ডাক্তারকে বলি বাচ্চার অবস্থা যখন
এতোই খারাপ এখনও আমি
সারফ্যাক্টান্ট থেরাপি দিতে চাই ।
যদি কিছু উন্নতি হয় । ডিউটি ডক্টর একটা
ছোট কাগজের টুকরায় ওষুধের নাম লিখে
দেয় । বলে ওষুধের দাম ২০-২৫ হাজার
টাকা । এইজন্য তারা নাকি সবাইকে বলে
না । তার কথা আর কাগজের হাতের
লেখা দেখে আমি হতভম্ব । আর যাই হোক
কোন প্রফেশনাল ডাক্তার এর হাতের
লেখা সেইটা ছিল না ।
ধানমন্ডির রাস্তায় রাস্তায় দৌড়াই
ওষুধের খজে আমি আর মাসুদ । অনেক
খোজাখুজির পর পেয়ে যাই । বুকের মধ্যে
একটু আশা বাড়ে , হয়ত আমার বাচ্চাটা
সুস্থ হয়ে যাবে । ওষুধ নিয়ে এসে
ডাক্তারকে বলি যে ওষুধ দেয়ার সময়
আমি থাকতে চাই । এদের স্বভাব চরিত্র
সম্পর্কে ততক্ষণে ধারনা হয়ে গেছে ।
দামি ওষুধ যদি না দিয়েই বলে যে
দিয়েছি । ওষুধ দেয়া হলো , আমার বুকে
আর কোন সাহস অবশিষ্ট নাই । বন্ধু
আনোয়ারকে আগে বারবার বলছিলাম
অন্য কোন ভালো হাসপাতাল এ নেয়ার
ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা দেখতে ।
কিন্তু ওষুধ দেয়ার সময় বুঝতে পারলাম যে
লাইফ সাপোর্ট থেকে খুললে বাচ্চার
শ্বাসপ্রসাস পুরো থেমে যায় । এই
বাচ্চাকে নিয়ে আর কোথাও যাওয়ার
সুযোগ নাই । এক মিনিট নিঃশ্বাস নিতে
না পারলে আমাদের কত কষ্ট হয় । তিনটা
দিন আমার বাচ্চাটা এতো কষ্ট সহ্য
করলো , আমি বাবা হয়ে ওর জন্য কিছু
করতে পারলাম না । অবশেষে ডাক্তার
জানালো তাদের আর কিছু করার নাই ।
আমি চাইলে শেষ বারের মত আমার
ছেলেকে দেখতে পারি । এপ্রোন পড়ে
আইসিইউতে গেলাম । আমার বাবা চোখ
বন্ধ করে ছিল । ওর কপালে একটু হাত
রাখলাম । ও চোখ মেলে তাকালো । ওর
চোখ দিয়ে দুই ফোটা জল গড়িয়ে পড়লো ।
এতোটুকু বাচ্চা ওই কি বুঝতে পেরেছিল
যে বেচে থাকতে ওই কোনদিন ওর মায়ের
বুকের আদর পাবে না । আমি আর কিছু
দেখিনাই চোখে । সব কিছু ঘোলা হয়ে
গেলো । বের হয়ে বললাম জেরিনকে যে
করে হোক রিলিজ করিয়ে নিয়ে আসতে ।
জন্মের পর থেকে ও ওর বাচ্চাটাকে
দেখতে পারে নাই । বন্ধুরা জেরিনকে
এ্যাম্বুলেন্স এ করে নিয়ে আসলো
জানিনা তখন আমার বাবা এই পৃথিবীতে
আর ছিল কিনা । জেরিন আর আম্মু
কাচের ফাক দিয়ে বাবুকে দেখে বাসায়
চলে গেলো । তার কিছুক্ষণ পর সাদা
কাপড়ে মুড়িয়ে আমার সোনামনিটাকে
আমার বুকে দিল । এতো সুন্দর হাসি মুখ
নিয়ে ছিল । মনে হচ্ছিল পৃথিবীর এই সব
কষ্ট থেকে ওই মুক্তি পেয়ে গেছে ।
বাপের কোলে তিনদিনের বাচ্চার দেহ
যে কতটা ভারী হতে পারে তা আমি টের
পাইলাম । বাসায় কেউ জানতো না ।
আমি আমার বাবাকে নিয়ে বাসায়
আসলাম । জেরিন তো সাথে সাথেই
পড়ে গেলো । বাচ্চার জন্য কাদবো না
জেরিনকে সামলাবো বুঝতে পারছিলাম
না । জেরিন এর বুকে ওর এতো কষ্টের ধন
নিথর দেহটা দিলাম । আমি পারি নাই
ওরা বাচ্চাটাকে বাচাইতে । আমি
অনেক কিছুই জানতাম না । জানতাম না
মনোয়ারা হাসপাতাল এতো খারাপ ।
জানতাম না পেডিহোপ হাসপাতাল
এতো খারাপ । পড়ে কাউসার ভাইয়ের
কাছে শুনি প্রায় একই ঘটনা । তিনিও
মনোয়ারা - পেডিহোপ হাসপাতালের এই
চক্রান্তে পড়তে ধরেছিলেন । কিন্তু
তাদের জানা থাকায় তারা পেডিহোপ
এ না নিয়ে নিজ দায়িত্তে স্কয়ার
হাসপাতাল এ নিয়ে গিয়েছিলেন ।
আমাদের এই দেশে মানুষের জীবনের
দাম নাই । ডাক্তাররা রোগীর কথা
চিন্তা করে না । তারা চিন্তা করে
বাচ্চা প্রিম্যাচিউর হলেই ব্যবসা ।
আইসিইউতে ঢুকাইতেই পারলেই লাখ লাখ
টাকা ইনকাম । তাতে বাচ্চা বাচুক আর
মরুক । তাদের মনের ভিতর একটা ফুটফুটে
বাচ্চার জন্য এক ফোটা মায়া হয় না ।
অনেক হাসপাতাল এ তো শুনেছি
ইঞ্জেকশন দিয়ে ডেলিভারী পেইন তুলে
দেয় বাচ্চা প্রিমাচিউর করার জন্য ।
অনেক হয় দেখে শেখে না হইলে নিজের
জীবন দিয়ে শেখে । আমি আমার জীবন
দিয়ে শিখেছি । পুরো লেখাটা লিখতে
আমার চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়েছে
। আমার এই লেখা পড়ে যদি তোমরা কিছু
শিখতে পারো তাহলেই আমার লেখা
সার্থক হবে । নিজের বাচ্চার জন্মের সময়
অনেক সতর্ক থাকা প্রয়োজন, সবকিছুর জন্য
প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন । সবাই পারলে এই
পেডিহোপ হাসপাতাল , মনোয়ারা
হাসপাতাল , ডাক্তার শায়লা শামিম ,
তার সাথের শিশু বিশেষজ্ঞ এবং এদের
মত সব ডাক্তারদের কাছে থেকে দূরে
থাকবেন । এইসব বিষয়ে ইন্টারনেট এ
অনেক লেখা আছে । এই লেখাগুলো
পড়বেন । ডাক্তাররা বেশিরভাগ সময়ই ২
সপ্তাহ আগে অপারেশন করতে চায় । এই
বিষয়েও সতর্ক থাকা দরকার । অনেক সময়
বলে আপনার বাচ্চার ওজন বেশি তাই
তারাতারি অপারেশন করতে হবে ।
জন্মের পর বলবে ওজন কম এইজন্য
লাইফসাপোর্ট এ রাখতে হবে । এতো কিছু
লাগে না । নরমাল ডেলিভারি সবচাইতে
ভালো । বাচ্চা হওয়ার পরপরই মায়ের
বুকে দেয়া উচিৎ এবং শালদুধ খাওয়াতে
হবে । অনেক সময় মায়ের বুকে দুধ আসতে
দেরি হয় । এইসময় দুধ না আসলেও
বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা
করতে হবে , বাচ্চা চুষলেই দুধ আসবে ।
এছাড়াও এই বিষয়ে সাহায্য প্রদান করে
এমন একটি সংস্থা হচ্ছে বাংলাদশ
ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেসন ( http://bbf-
bangladesh.org/ ) যা মহাখালিতে অবস্থিত
। এদের প্রশিক্ষিত নার্সরা খুব সামান্য
ফি এর বিনিময়ে আপনার বাসায় গিয়ে
দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে সাহায্য করবে ।
অনেক সময় দুধ এর শিরায় ব্লক থাকে ,
এইজন্য বাচ্চা দুধ পায় নাই । এইসব বিষয়ে
BBF সবচাইতে ভালো সাহায্য করতে
পারে । ভুলেও বাচ্চাকে ফর্মুলা বা
পাউডার দুধ খাওয়াবেন না । এইটা
বাচ্চার শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর ।
মায়ের বুকের দুধই শ্রেষ্ঠ খাবার । সবাই
ভালো থাকবেন ।

--
Director -
Md. Asaduzzaman RaSeL
Friends Computer Training Center

Ranihati Bazar, Allahr Dan Market ( 2nd Flor) ,
Shibgonj, Chanapnawabgonj
+8801725345677

Saturday, May 30, 2015

আমাদের দেশে গ্যাস্টিকের সমস্যা নেই এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়াই যাবে
না। এই সমস্যাটি মূলত ভাজাপোড়া খাবার খেলেই বেশি হয়ে থাকে। অনেকেরই এ সব
খাবার খাওয়ার পরে পেট ব্যথা বা বুকে ব্যথা কিংবা বদ হজম হয়।

অথচ এই সমস্যা দূর করার জন্য ওষুধ না খেয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিচের
যেকোন একটি নিয়ম মানলেই চলবে।
১। আধা ইঞ্চি পরিমাণ কাঁচা আদা নিন। তারপর অল্প একটু লবন মাখিয়ে খেয়ে
ফেলুন। আদা খাওয়ার কিছুক্ষণ পর এক কাপ কুসুম গরম পানি খান। গভীর রাতে আর
গ্যস্ট্রিকের সমস্যা হবে না। অথবা
২। এক গ্লাস পানি একটি হাড়িতে নিয়ে চুলায় বসান। এর আগে এক ইঞ্চি পরিমাণ
কাঁচা হলুদ পানিতে দিয়ে দিন। পানি অন্তত পাঁচ মিনিট ফুটতে দিন। তারপর
নামিয়ে আনুন। পানি ঠাণ্ডা হলে হলুদসহ খেয়ে ফেলুন। গ্যাস্ট্রিক দৌঁড়ে
পালাবে। অথবা
৩। ওপরের সমস্ত পদ্ধতি ঝামেলার মনে হলে শুধুমাত্র এক গ্লাস পানিতে এক চা
চামচ মধু মিশিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করুন। কখনোই রাতে পেট বা বুক
ব্যথা করবে না।

Friday, February 6, 2015

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট খাবার আছে যা একেবারেই খাওয়া উচিৎ নয়।


** ক্যান্ডি
.....!.........

শুধুমাত্র চিনিতে ভরপুর ক্যান্ডিই নয় ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য চিনির তৈরি কুকিস, সিরাপ বা যেকোন ধরণের পানীয় খুব ক্ষতিকর। এগুলো খেলে রক্তের সুগার অনেক বৃদ্ধি পায় এবং স্বাভাবিক ভাবেই ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রনে থাকেনা। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের এই খাবার গুলো এড়িয়ে চলা উচিৎ।

** ফলের জুস
.....................

ফলের জুস থেকে আস্ত ফল খাওয়াটাই অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর কারণ বলে থাকে ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট। কিন্তু সুপারশপ থেকে কেনা যেকোন ফলের জুস কিনে খাওয়াটা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও নানা ধরণের কেমিক্যাল যা ডায়াবেটিক রোগীদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। ফলের জুস খেতে চাইলে বাড়িতেই চিনি ব্যবহার ছাড়া জুস বানিয়ে খেতে পারেন।


** কিশমিশ
....................


কিশমিশ খাওয়া খুব স্বাস্থ্যকর হলেও ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কিশমিশ ভাল নয়। তবে অন্য যে কোন স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার থেকে কিশমিশের মত ড্রাইফ্রুট খাওয়া ভাল। তবে যেকোন ফল যখন ড্রাই করা হয় তখন তাতে চিনির পরিমান দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। তাই তখন তা দেহের জন্য অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায়।

**ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস
.....................
ডুবো তেলে ভাজা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস ডায়াবেটিক রোগীদের স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ এই খাবার দেহের ওজন বৃদ্ধি করে এবং রক্তে প্রয়োজনীয় সুগারের মাত্রা নষ্ট করে দেয়। ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস, আলুর চিপস, ডোনাটস এই খাবার গুলো একজন ডায়াবেটিক রোগীর রক্তের গ্লুকোজের পরিমান কমিয়ে দেয়। তাছাড়া অতিরিক্ত ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস খেলে তা দেহে কোলেস্টোরল এর মাত্রা বেড়ে যায় ও হার্ট এর সমস্যা হয়ে থাকে।

***সাদা ব্রেড
....................

শুধু সাদা ব্রেডই নয় সাদা ভাত, সাদা পাস্তা যেকোন জিনিস যা সাদা ময়দা দিয়ে তৈরি এগুলো সহজে হজম হলেও এই খাবার গুলোতে যেই মাত্রায় সুগার থাকে তা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভাল নয়। এই খাবার গুলো দেহের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রনে বাধা দিয়ে থাকে তাই ডায়াবেটিক রোগীদের এই সাদা ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার না খাওয়াই ভাল।


** ঘন দুধের তৈরি কোন খাবার
.................................................

দুধ খাওয়া ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভাল। কিন্তু কোন খাবার যাতে দুধের পরিমাণ খুব বেশি যেমন – দই, দুধের তৈরি ক্রিম, চিজ এই খাবার গুলো ডায়াবেটিক রোগীদের না খাওয়াই উত্তম।

জেনে রাখুন লক্ষনগুলো সম্পর্কে।
১। অনিদ্রায় ভোগা এই রোগের প্রথম লক্ষণ।
২। দেহের হাত, পা, পায়ের পাতায় পানি এসে ফুলে থাকে এবং চোখের চারপাশেও ফুলে থাকা।
৩। পেশাবের সাথে রক্ত আসা কিংবা পেশাবের রং লাল বর্নের হওয়া।
৪। রাতে খুব ঘন ঘন পেশাব হওয়া ।
৫। দেহ ক্লান্তও উদাসীন লাগা।
৬। ক্ষুধা কমে যাওয়া।
৭। ঘন ঘন মাথা ব্যথা হওয়া।
৮। শরীর ও মাংসপেশি ব্যথা করা।
৯। হাই ব্লাড প্রেশার ও দেহে রক্তশুন্যতা সমস্যা।
১০। শ্বাস কষ্ট হওয়া, হার্টবিট কমে যাওয়া, চেহারা ফ্যকাশে হয়ে যাওয়া, মানসিক বিভ্রান্তি দেখা দেওয়া, কামশক্তি কমে যাওয়া, দাহের চামড়া হলুদ বর্ণের হয়ে যাওয়া

Monday, February 2, 2015

জেনে নিন যে খাবার গুলো ঘুমের ঔষধের মতোই কাজ করে।

১) কাঠবাদাম
কাঠবাদামকে সুপার ফুড বলা হয়। কারণ কাঠবাদামের ভিটামিন ও মিনারেলস আমাদের নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। কাঠবাদামের মিনারেল ম্যাগনেসিয়াম ঘুমের উদ্রেক করে। জার্নাল অফ অর্থমলিকিউলার মেডিসিনের একটি গবেষণায় প্রকাশিত হয়, 'যখন আমাদের দেহে ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা কমে যায় তখন আমাদের অনিদ্রার সমস্যা শুরু হয়, কাঠবাদাম এই ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে দেয়'।


২) মধু
ঘুমুতে যাওয়ার আগে মাত্র ১/২ চা চামচ মধু খাওয়ার অভ্যাস ঘুমাতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা যায় মধুর প্রাকৃতিক চিনি আমাদের দেহের ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায় এবং ট্রাইপ্টোফেন নামক হরমোন খুব সহজে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে। এতে করে ঘুমের উদ্রেক হয়।


৩) কলা
নিউট্রিশনাল বায়োকেমিস্ট শন ট্যালবট বলেন, 'ঘুম না আসলে একটি কলা খেয়ে নিন, কলার পটাশিয়াম মস্তিষ্ককে রিলাক্স করতে সহায়তা করে'। কলার ম্যাগনেসিয়ামও আমাদের মাংসপেশি শিথিল করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট মাইকেল ব্রেউস বলেন, 'ঘুমুতে যাওয়ার আগে কলা খান বা কলার স্মুদি তৈরি করে পান করুন, ঘুমআপনাআপনিই চলে আসবে'।

৪) মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু পটাশিয়ামের অনেক ভালো একটি উৎস যা আমাদের মাংসপেশি, নার্ভ শিথিল করতে কাজ করে। এতে করে আমাদের মস্তিষ্কও অনেকাংশে রিলাক্স হয়। নিউট্রিশনাল বায়োকেমিস্ট শন ট্যালবট বলেন, 'মাত্র অর্ধেকটা পরিমাণে মিষ্টি আলু ঘুমের জন্য অনেক ভালো কারণ এতে গয়েছে পটাশিয়াম এবং কার্বস'।
৫) দুধ
ঘুমের ঔষধের মতো কাজ করতে বিশেষভাবে কার্যকরী যে খাবারটি তা হচ্ছে দুধ। গবেষকগণ বলেন দুধের ক্যালসিয়াম মেলাটোনিন উৎপন্ন করে যা আমাদের দেহের ২৪ ঘণ্টার ঘুম ও জেগে থাকার সাইকেলটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তাই ঘুম না আসলে ১ গ্লাস উষ্ণ গরম দুধ পান করে নিন। দেখবেন খুব সহজেই ঘুম চলে আসবে।


৬) ডিম
ঘুমের জন্য কার্যকরী আরেকটি সুপাদ ফুড হচ্ছে ডিম। গবেষণায় দেখা যায় ডিম উচ্চ মাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যা রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে যা পুরোরাত নিশ্চিন্তে ঘুমুতে সাহায্য করে থাকে। তাই রাতের খাবারে রাখুন সেদ্ধ ডিম অথবা প্রোটিন সমৃদ্ধ কোনো খাবার।

Unordered List

Flag Counter

Admission Open

Visitor

Online


widgeo.net

ফেসবুকে পেজ

প্রয়োজনিয় ঠিকানা

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Test

NEW LAUNCHED

Powered by Blogger.

Earn

তাপমাত্রা

Followers

About Me

My Photo
রাসেল ফার্মেসী রাণীহাটি বাজার, মন্ত্রী মার্কেট, শিবগঞ্জ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এই www.raselpharmacy.blogspot.com (রাসেল ফার্মেসী ) ব্লগটি স্বাস্থ্য বিষয় সচেতনতা মুলক টিপস নিয়ে সাজানো হয়েছে । যা আসা করি আপনাদের কাজে আসবে । আপানর যে কোন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা আমদের খুলে বলুন। আমরা চেষ্টা করব এর সমাধান দিতে। এছাড়াও ফেসবুকে পেতে ভিজিট করুন https://www.facebook.com/Raselpharmacy

Featured Posts

Popular Posts

Recent Post

Blogger Tips and TricksLatest Tips For BloggersBlogger Tricks

Just Click To Earn Money

Count Posts & Comments

আপনার এই ব্লগটি কেমন লেগেছে ?

Text Widget

এই ব্লগের লেখা নিজের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বিভিন্ন বই,ওয়েবসাইট ও ব্লগ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।

Rolling Pictures

বিজ্ঞাপন

0

Add