Monday, December 29, 2014

রোগে রাতে ঘুমানোর সময়
কিংবা দুপুরে খাওয়ার পর বুক
জ্বালা পোড়া করে। অনেক
ডাক্তারের দেয়া ওষুধ খেয়েও
হয়তো গ্যাস্ট্রিক থেকে নিস্তার
মেলে নি। অথচ অল্প
কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই
গ্যাস্ট্রিককে দূরে রাখা যায়।
প্রতিবেলায় যেটুকু খাবার খাচ্ছেন
আজ থেকেই
তা অর্ধেকে নামিয়ে আনুন। ভয়
পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
আপনাকে খাওয়া কমিয়ে দিতে বলছি না।
শুধু প্রতিবেলার খাবার
একবারে না খেয়ে দুইবারে খান।
এভাবে তিনবেলার খাবার ছয়বারে।
এতে হজমে সুবিধা হবে।
খাওয়া কখনোই তাড়াহুড়ো করে নয়।
ধীরে সুস্থে সময় নিয়ে চিবিয়ে খান।
প্রতি লোকমা ভাত
বা রুটি ভালো করে চিবোন। খাওয়ার
পর পর শুয়ে পড়া উচিত নয়। বরং একটু
হাঁটাচলা করুন। পেটের খাবার
তাড়াতাড়ি হজম হবে।
দিনে নিয়ম করে কমপক্ষে দুই লিটার
পানি পান করুন।
পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
খাওয়ার আগেই প্যান্ট বা লুঙ্গির
গিঁট ঢিলা করে নিন। শক্ত বাঁধন টক
ঢেকুরের কারণ হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক
কমাতে হাঁটাচলা এবং ব্যায়ামের
কোনো বিকল্প নেই। তাই নিয়ম
করে হাঁটাচলা করুন।
সবচেয়ে ভালো হয়
যদি তিনবেলা খাওয়ার পর একটু
হাঁটতে পারেন। রাতে ঘুমানোর
তিনঘণ্টা আগে রাতের খাবার
খেয়ে নিন।
প্রতিদিনের মেন্যুতে আঁশযুক্ত খাবার
যোগ করুন। আঁশযুক্ত খাবার খুব দ্রুত হজম
হয়। লাল আটার রুটি, লাল চালের
ভাত, যেকোন ধরণের ডাল প্রধান
আঁশযুক্ত খাবার।
গ্যাস্ট্রিকের প্রধান শত্রু ধূমপান।
সিগারেটের নিকোটিন খাবার
হজমে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব
ফেলে। তাই সবার আগে ধূমপান ত্যাগ
করুন।
অনেক সময় মানসিক চাপ থেকেও বুক
জ্বলা শুরু হতে পারে। তাই
নিশ্চিন্তে থাকার চেষ্টা করুন।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। মানসিক
প্রশান্তি এই রোগ
থেকে মুক্তি দিতে পারে আপনাকে।

ঔষধ
..........
Tab- Ranitid, tab- newtac, Tab- newseptinR, cap- seclo, Tab- antac
ইত্যাদি।
এগুলো খেলেও গ্যাস কমাতে পারেন

Saturday, December 20, 2014

পিরিয়ডের সময় বিশেষ
খাবার? খাওয়া দূরে থাক,
শিরোনাম পড়েই
অস্বস্তিতে ভুগতে শুরু করেছেন অনেক
নারী। আমাদের
দেশে মেয়েরা অনেক বড় বড় অসুখও
যেখানে লজ্জায় লুকিয়ে রাখেন,
সেখানে পিরিয়ডের সময়
খাওয়া দাওয়ার দিকে মনযোগ
দেয়ার
ব্যাপারটা তো কারো মাথাতেই
আসবে না। তবে সত্যটা হচ্ছে,
পিরিয়ডের এই ৩-৫ দিন অনেকটা রক্ত
বের হয়ে যায় শরীর থেকে, আর তাই
অবশ্যই শরীরের চাই বিশেষ খাবার।
তা না হলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির
অভাবে দুর্বল হয়ে পড়বেন,
দেখা দেবে নানান শারীরিক
সমস্যা।
আসুন, জেনে নিই পিরিয়ডের সময়
কোন খাবারগুলো নারীর জন্য খুব
জরুরী।
১) পানি
একথা ভুলে গেলে চলবে না যে কেবল
রক্তপাত নয়, সেই সাথে শরীর
হারাচ্ছে অনেক খানি তরল। আর এই
অভাব পূরণ করতে পান করতে হবে প্রচুর
পানি। না, পানীয় নয়। সাধারণ
পানি। চা, কফি, কোলা ইত্যাদির
চাইতে অনেক বেশী স্বাস্থ্যকর
সাধারণ পানি। হালকা কুসুম গরম
পানি পান করতে পারেন, এতে পেট
ব্যথায় আরাম হবে।
২) মাছ
বিশেষ করে সামুদ্রিক
মাছে থাকে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল,
ফ্যাটি এসিড ইত্যাদি।
এবং এগুলো পিরিয়ড চলাকালীন
শরীরের ক্ষয় পূরণ
করে এবং ব্যথা কমাতেও
ভূমিকা রাখে। পিরিয়ডের সময় মাছ
খেতে ভুলবেন না যেন। সামুদ্রিক
মাছ খেলে আরও ভালো।
৩)কলা
হ্যাঁ, কলা। পিরিয়ডের
দিনগুলিতে কলা খেতে ভুলবেন
না একেবারেই। কলা পটাশিয়ামের
ও ভিটামিনের খুব ভালো উৎস,
যা পিরিয়ডের সময় আপনার জন্য
জরুরী। এই কলা পিরিয়ডকালীন
বিষণ্ণতা কমাতেও সহায়ক।
তাছাড়া পিরিয়ডের সময় অনেক
নারীই ডায়রিয়াতে ভুগে থাকেন,
যা দূর করতে সাহায্য করবে এই কলা।
৪) লাল মাংস
শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়
পিরিয়ডের সময়ে, যা পূরণ করবে লাল
মাংস। চর্বি ছাড়া লাল মাংস
অবশ্যই রাখুন খাবারের তালিকায়,
সাথে রাখুন প্রচুর সালাদ। শরীর
থাকবে সুস্থ।
৫) বাদাম ও বীজ জাতীয়
খাবার
বাদাম ভর্তি নানান রকম ভিটামিন
ও মিনারেলে যা পিরিয়ডের সময়
শরীরের জন্য ভালো। তবে খেয়াল
রাখবেন, বাজারের
বাড়তি লবণে ভাজা বা চিনিতে জড়ানো বাদাম
খাবেন না। চীনা বাদাম, কাজু
বাদাম, কাঠ বাদাম, পেস্তা, আখরোট
ইত্যাদি তো খেতে পারেনই।
সাথে বীজ কুমড়ার বীজ সহ
নানা ধরণের বীজ রাখতে পারেন
খাবারের তালিকায়।
৬) ডার্ক চকলেট
পিরিয়ডের সময় প্রতিদিন কয়েক
টুকরো ডার্ক চকলেট
হতে পারে আপনার জন্য দারুণ
উপকারী। ডার্ক চকলেটে চিনি নেই,
ফলে ওজন বাড়বে না। বরং আছে প্রচুর
ম্যাগনেসিয়াম। এই চকলেট পিরিয়ড
চলাকালীন বিষণ্ণতাও দূর করবে।
৭) সবুজ শাক
সবুজ শাক ও সালাদের পাতা জাতীয়
খাদ্য এই মুহূর্তে আপনার
সবচাইতে বেশী প্রয়োজন।
এতে আছে প্রচুর আয়রন, যা শরীরের
ক্ষয় পূরণে সহায়তা করবে। অবশ্যই
প্রতি বেলার খাবারে রাখুন সবুজ
পাতা, যেমন- বিভিন্ন ধরণের শাক ও
সালাদ লিফ।

নারীর
জীবনে দু'তিনটে পর্বে পিরিয়ড
অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে।
মেনার্কি বা মেন্সট্রয়েশন শুরুর
সময়ে। এ সময় ওভারি ততটা পরিপক্ব
হয়ে ওঠে না বলে তার পূর্ণ
কর্মক্ষমতা দেখা যায় না। খেয়াল
করে দেখবেন ডেলিভারির পর ৩-৪
মাস পিরিয়ড একটু অনিয়মিত থাকে।
তবে সন্তানকে ব্রেস্ট
ফিডিং করালে এ পর্ব আরও
দীর্ঘায়িত হতে পারে। এ তো সবারই
জানা যে মধ্য বা শেষ
চল্লিশে ওভারি প্যাক আপ করার জন্য
তৈরি হয়। মেনোপজের আগে তাই
পিরিয়ড অনিয়মিত হয়।
পিরিয়ড ইরেগুলার বা অনিয়মিত
কিনা বুঝবেন কীভাবে?
উপরে উল্লেখ করা সময় ছাড়া যদি দুই
পিরিয়ডের মধ্যে ৫ সপ্তাহের
বেশি ব্যবধান হয় তবেই বুঝবেন
সমস্যা হয়েছে। তবে জীবনে অনেক
ঘটনা আছে যা যৌন হরমোনের
ব্যালান্স নষ্ট করতে পারে। তাতেও
পিরিয়ড বিঘ্নিত হয়।
স্ট্রেস :
মানসিক চাপ রিপ্রোডাকটিভ
সিস্টেমকে সহজেই প্রভাবিত করে।
পরীক্ষার সময় এমন হয়, খেয়াল
করেছেন? পিরিয়ডে একটু গোলমাল।
কখনও নিকটাত্মীয়
মারা গেলে বা দারুণ অসুস্থ হলে।
বাড়ি বদলালে অথবা চাকরি চেঞ্জ
করলেও দেখবেন
প্যাটার্নটা বদলে যায়। স্বাভাবিক
সুস্থ জীবনে ফিরে গেলেই কিন্তু সব
ঠিক হয়ে যায়।
বডি ওয়েট :
ওজন ধুম করে বাড়লে বা কমলে নর্মাল
সাইকল ব্যাহত হয়। আগে যা শরীরের
ওজন ছিল, সেখানে ফিরে গেলেও
পিরিয়ড আবার আগের
মতো স্বাভাবিক হতে একটু সময়
লাগে।
ডায়েট :
হঠাৎ ভেজিটেরিয়ান হয়ে গেলেন
বা ক্র্যাশ ডায়েট প্রোগ্রাম শুরু
করলেন। আপনি অবশ্যই
সমস্যা ডেকে আনলেন। পিরিয়ড ধুম
করে বন্ধ
হতে পারে কিংবা একেবারে অনিয়মিত
হয়ে যেতে পারে।
এক্সারসাইজ :
কথা নেই বার্তা নেই, প্রচুর ব্যায়াম
শুরু করে দিলেন। পিরিয়ডের
যে নিয়মিত চক্র, তা বিঘিœত
হতে পারে। আসলে বডি ফ্যাট হঠাৎ
কমলে হরমোনে বৈষম্যের
ফলে ওভারির ফাংশন পরিবর্তিত হয়।
ক্রনিক অসুখ :
কিছু অসুখ আছে যা লম্বা সময়
ধরে ভোগায়। যেমন ডায়াবেটিস,
থাইরয়েড, অ্যাজমা,
টিবি বা যক্ষ্মা, ক্যান্সার। পিরিয়ড
বন্ধ হয়েও যেতে পারে,
কমতে তো পারেই।
ড্রাগ :
অনেক ওষুধ রয়েছে যা নর্মাল
পিরিয়ডকে ব্যাহত করে। যেমন
অ্যান্টি-ডিপ্রেসান্ট।
লিভারে প্রতিক্রিয়ার জন্য হরমোন
লেভেলে রদবদল হয়। যেসব
কন্ট্রাসেপটিভে প্রজেস্টোরেন
রয়েছে তা থেকেও কিন্তু পিরিয়ড
অনিয়মিত হতে পারে। পিরিয়ড বন্ধও
হয়ে যায় অনেক সময়।
মনে রাখতে হবে হরমোনের
ভারসাম্যের জন্যও কিন্তু ওভ্যুলেশন
ডিসঅর্ডার দেখা দিতে পারে।
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম :
ওভ্যুলেশনের জন্য প্রয়োজনীয়
ডিম্বাণু আদৌ ম্যাচিওর করে না।
আসলে এসব মহিলার একটা নির্দিষ্ট
প্যাটার্নে এগ বা ডিম্বাণু তৈরি হয়
না। পলিসিস্টিক কেন?
একটা আলট্রাসাউন্ড করলেই
দেখা যাবে ওভারিকে ঘিরে রেখেছে অসংখ্য
ফলিকল বা সিস্ট। ঠিক যেন মুক্তোর
মালার মতো। ডিম্বাণুর অনিয়মিত
বৃদ্ধির জন্যই পিরিয়ড বিঘ্নিত হয়।
সময়ের ঠিক থাকে না,
কবে হবে জানাও যায় না।
এরা ওভারওয়েট। ব্রণ থাকবে,
তৈলাক্ত ত্বক, মাথার চুলও কমবে।
শরীর বেশ রোমশ হয়ে যায়।
ওভারিতে হরমোনের ব্যালান্স নষ্ট
হয়, পুরুষ হরমোন অ্যান্ড্রোজনের
মাত্রা বাড়ে। তাই যত বিভ্রাট।
হাইপারপ্রোল্যাকটিনিমিয়া :
চাইল্ডবার্থের পর পিটুইটরি গ্ল্যান্ড
তৈরি করে প্রোল্যাকটিন। উদ্দেশ্য
মিল্ক সিক্রিশন বাড়ানো। ব্রেস্ট
ফিড করান না এমন মহিলার
যদি প্রোল্যাকটিন বেড়ে যায়,
তাহলে পিরিয়ড বিঘ্নিত হবে।
বুকে দুধও
অস্বাভাবিকভাবে তৈরি হয়। এসব
মহিলার পিটুইটারিতে ছোট বিনাইন
টিউমার থাকাও অসম্ভব নয়।
তাতে মাথাব্যথা হবে,
চোখে দেখার সমস্যাও হতে পারে।
প্রি-ম্যাচিওর মেনোপজ :
৪৫ থেকে ৫০, এটাই মেনোপজের গড়
বয়স। ১ থেকে ২% মহিলার
ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অনেক
তাড়াতাড়ি ঘটতে পারে। এরা অসুস্থ,
এমনটা ভাবার কারণ নেই।
এরা আসলে ওভারিতে কম সংখ্যক এগ
নিয়ে জন্মান।
তবে ক্রোমোজমে বৈষম্য, ইনফেকশন,
সিস্ট/টিউমার, সার্জারি,
রেডিয়েশন
অথবা কেমোথেরাপিতে ওভারিয়ান
ফেলিওর ত্বরান্বিত হয়।
হেভি অথবা অনিয়মিত পিরিয়ড
কিন্তু আপনার ওয়েক-আপ কল। দ্রুত
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাহায্য
নিন। সঙ্গে ওবেসিটি, অস্বাভাবিক
হেয়ার গ্রোথ, মিল্ক সিক্রিশন
বা মাথা ব্যথা হলে একদম দেরি না।
ওভ্যুলেশন প্রবলেম
থাকলে যে নারী কনসিভ করার
চেষ্টা করছেন,
তাকে তো অবিলম্বে পরামর্শ নিতেই
হবে।

আমাদের দেশে সাধারণভাবে ১২
বছরের মধ্যে মেয়েদের পিরিয়ড শুরু
হয়ে যায়। যদি কারো খুব ছোটবেলায়
বা বেশি বড় বয়সে পিরিয়ড শুরু হয়
তা হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের
সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। অতিরিক্ত
আগে (প্রিকয়েশিয়াস পিউবার্টি)
মাসিক হয় ডিম্বাশয়ে (ওভারি)
বিশেষ ধরনের টিউমার থাকলে।
সে ক্ষেত্রে আলট্রাসনোগ্রাফি বা অন্য
কয়েকটি পরীক্ষায় কারণ নির্ণয়
সম্ভব। খুব বেশি দেরিতে মাসিক
হলে (ডিলেট মেনার্কি) অন্য
শারীরিক লক্ষণ যেমন
অ্যাকসিলারি হেয়ার, ব্রেস্ট বাড,
পিউবিক হেয়ার এসব
ঠিকমতো হয়েছে কি না দেখা দরকার।
এ ক্ষেত্রেও
আলট্রাসনোগ্রাফি করে দেখে নেয়া হয়
ইউটেরাস, ওভারি সব ঠিকঠাক
আছে কি না। তাছাড়া রক্তের কিছু
পরীক্ষা করে হরমোন স্টেটাস,
টিউবারকুলোসিস
হয়েছে কি না (এমনকি এলাইজা টেস্ট)
এবং দরকার হলে সেক্স ক্রোমাটিন
স্টাডিও করতে হতে পারে।
সুতরাং খুব
আগে বা পরে হলে নিজে থেকেই
তা একটি স্বাভাবিক
ঘটনা বলে বসে থাকা উচিত হবে না।
এক্ষেত্রে বাবা-মার
সচেতনতা জরুরি।
তাড়াতাড়ি ডাক্তারকে জানানো উচিত।
অনেক মেয়ের মাসিক ঠিকমতো শুরু
হলেও ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত
অনিয়মিত পিরিয়ড হয়।
মাসে হয়তো দুবার কিংবা দু'তিন
মাসে হয়তো হলোই না। এই
সমস্যাটিতে বিশে ষ চিন্তিত হওয়ার
কিছু নেই। ছোট মেয়েদের হরমোনাল
ব্যালান্স আসতে অনেক সময় কয়েক
মাস বা বছর সময় লেগে যায়।
কোনো হরমোন বড়ি দিয়ে চিকিৎসার
দরকার পড়ে না। সুষম পুষ্টিকর আহার,
স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্ন জীবন-
যাপনই এ সমস্যার সমাধান করে।
অনেকের অল্প বয়সে অতিরিক্ত
রক্তস্রাব হয়। এক্ষেত্রেও
কোনো হরমোন দেয়া উচিত নয়।
চিকিৎসকের পরামর্শ
অনুযায়ী নিশ্চিত হওয়ার দরকার
যে জরায়ু বা ডিম্বাশয়ে টিউমার
জাতীয় কিছু আছে কি নেই। অবশ্যই
দরকার রক্ত পরীক্ষা, কারণ অনেক সময়
রক্তাল্পতা বা থাইরয়েড
অথবা হরমোনের সমস্যার জন্যও এই
উপসর্গগুলো হতে পারে।
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম
(স্টেন লিভেনথাল সিনড্রম) এই
অসুখটিতে অল্প
বয়সী মেয়েরা বেশিভাবে আক্রান্ত।
সম্ভবত টেনশন, অত্যধিক মানসিক চাপ,
প্রতিযোগিতা, ওভার মেডিকেশন,
অতিরিক্ত কীটনাশক
ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ-
নানা কারণে অন্য সব রোগের
মতো এই রোগও বেড়ে যাচ্ছে। এই
অসুখে মেয়েরা সাধারণভাবে একটু
মোটা হয়ে যায়, মাসিক অনিয়মিত ও
খুব কম হয়। এই রোগে ইউটেরাসের
পাশে যে দুটি ডিম্বাশয়
বা ওভারি থাকে, তাতে ঘামাচির
মতো ছোট ছোট সিস্ট দেখা দেয়।
ফলে ডিম্বাণু
প্রতিমাসে ওভারি থেকে বের
হতে পারে না অর্থাৎ ওভিউলেশন হয়
না। আগে এর সার্জিক্যাল
চিকিৎসা থাকলেও এখন মেডিকেল
চিকিৎসাই করা হয়।
আলট্রাসনোগ্রাফি ও রক্ত পরীক্ষায়
রোগ নির্ণীত হলে মেটফরজিন
জাতীয় ওষুধ ও প্রয়োজনে হরমোন
দেয়া হয়। চিকিৎসা করতে হয় অন্তত ৬
মাস, হাল
না ছেড়ে দিলে চিকিৎসায় সম্পূর্ণ
সেরে যায় এবং ভবিষ্যৎ
দাম্পত্যজীবন ও সন্তান
ধারণে কোনো বাধা থাকে না।
অল্প বয়সে ওবেসিটি বা হঠাৎ
মোটা হওয়া
আজকাল নিউক্লিয়ার
ফ্যামিলিতে একটি বা দুটি সন্তানের
অতিরিক্ত ভালো খাওয়া-দাওয়া ও
কোনো রকম শরীর চর্চা না করাই এর
কারণ। ডায়েটিশিয়ানের
পরামর্শে সঠিক খাবার ও
ব্যায়ামে সুস্থ শরীর
ফিরিয়ে আনা সম্ভব। অতিরিক্ত
মোটার অন্য কারণ পলিসিস্টিক
ওভারি সিনড্রম,

জেনে নিন ঘুমানোর
সময়ে ব্রা পরে ঘুমানোর কিছু
ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।
█ রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত:-
রাতে ঘুমানোর সময়ে ব্রা পড়ার
অভ্যাস থাকলে ঘুমের মধ্যে আপনার
রক্তচলাচলে ব্যাঘাত ঘটার
সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ
করে অতিরিক্ত টাইট ইলাস্টিক
থাকলে স্বাভাবিক রক্ত
চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।
ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।
█ ত্বকে দাগ বসে যায়:-
ঘুমানোর সময়ে নিয়মিত ব্রা পড়ার
অভ্যাস থাকলে আপনার
ত্বকে ধীরে ধীরে ব্রায়ের
ইলাস্টিকের দাগ
বসে যেতে পারে। বিশেষ
করে অতিরিক্ত টাইট ইলাস্টিক
হলে দাগ পড়ার
সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই
রাতে ঘুমানোর সময়ে ব্রা না পরাই
ভালো।
█ ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে:-
অতিরিক্ত টাইট
ব্রা পরে ঘুমাতে গেলে ঘুমে ব্যাঘাত
ঘটে। কারণ অতিরিক্ত টাইট
ব্রা পরে আপনি অস্বস্তিবোধ
করবেন এবং রাতে আপনার গভীর ঘুম
হবে না। ফলে সারাদিন
ক্লান্তি অনুভূত হবে আপনার।
█ ত্বক চুলকাতে পারে:-
টাইট
ফিটিং ব্রা পরে ঘুমালে রাতে ত্বকে চুলকানি অনুভূত
হতে পারে। বিশেষ
করে সুতি কাপরের ব্রা না হলে এই
সমস্যা দেখা দেয়ার
সম্ভাবনা বেশি।
যারা রাতে একেবারেই
ব্রা ছাড়া ঘুমাতে পারেন
না তাদেরকে ডাক্তাররা স্পোর্টস
ব্রা পরে ঘুমানোর পরামর্শ
দিয়ে থাকেন। স্পোর্টস
ব্রা স্বাস্থ্যের
কোনো ক্ষতি করে না।
█ ক্যান্সার:-
ব্রা পরে ঘুমালে ক্যান্সার হয়
নাকি হয় না এটা নিয়ে অনেকদিন
ধরেই তর্ক-বিতর্ক চলছে। কেউ
বলছেন নিয়মিত
ব্রা পরে ঘুমালে ব্রেস্ট ক্যান্সার
হতে পারে আবার কেউ বলছেন
হয়না। তবে বেশ কিছু গবেষণায়
জানানো হয়েছে যে নিয়মিত টাইট
ফিটিং ব্রা পরে ঘুমালে ব্রেস্ট
ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই
বেড়ে যায়।
█ নন ক্যান্সারাস লাম্প:-
সিস্ট এবং লাম্প হলো নন
ক্যান্সারাস টিস্যু। অতিরিক্ত টাইট
ফিটিং এর ব্রা পরে নিয়মিত
রাতে ঘুমানোর অভ্যাস
থাকলে ব্রেস্টে সিস্ট এবং নন
ক্যান্সারাস লাম্প এর
সৃষ্টি হতে পারে যা পরবর্তিতে নানান
রকম সমস্যা করে।'

Sunday, December 7, 2014

জলপাই খোসাসহ খেতে হয়।
খোসায় রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে আঁশ। এই আঁশ নিয়মিত
খাবার হজমে সাহায্য করে। আর
পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদান্ত,
কোলনের ক্যানসারের
ঝুঁকি কমায়এই মৌসুমের ফল জলপাই।
এটি টকজাতীয় ফল। শুধু ফল
হিসেবে নয়, এর তেল খুব স্বাস্থ্যকর।
রান্না ও আচারের
কাঁচা জলপাইয়ে পুষ্টি বেশি থাকে।'১০০
গ্রাম
জলপাইয়ে থাকে ৭০ ক্যালরি।
এতে শর্করা ১৬.২ গ্রাম, খনিজ ৩.১
মিলিগ্রাম ও ভিটামিন
সি থাকে ৩৯ মিলিগ্রাম।
যেকোনো বয়সের জন্য বিশেষ
করে হৃদরোগী ও অস্ত্রোপচারের
পর জলপাই খেলে উপকার
পাওয়া যায়।'জলপাইয়ের
ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ ত্বক,
চুল, দাঁতের উজ্জ্বলতা ও
পুষ্টি জোগায়। সংক্রামক ও
ছোঁয়াচে রোগগুলোকে রাখে
অনেক
দূরে। এ ছাড়া জীবাণুর আক্রমণ,
চোখ ওঠা, চোখের পাতায়
লালচে ফোড়া এই সমস্যাগুলোর
বিরুদ্ধে কাজ করে।জলপাই
খোসাসহ খেতে হয়। খোসায়
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ।
এই আঁশ
নিয়মিত খাবার হজমে সাহায্য
করে। আর পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত,
বৃহদান্ত, কোলনের ক্যানসারের
ঝুঁকি কমায়।রক্ত চলাচল ঠিক
রেখে হৃৎপিণ্ডকে সঠিকভাবে কাজ
করতে অবদান রাখে জলপাই।
পরিণামে কমে যায়
লাইপোপ্রোটিন। এই
ফলে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল
এজেন্ট আছে, যা দেহের ক্ষতিকর
জীবাণুকে ধ্বংস করে। নিয়মিত
জলপাই খেলে পিত্তথলির
পিত্তরসের কাজ করতে সুবিধা হয়।
পরিণামে পিত্তথলিতে পাথরের
প্রবণতা কমে যায়।জলপাইয়ের তেল
রান্না করে খাওয়া এবং ত্বক
দুটোর জন্যই খুব উপযোগী। এই
তেলে চর্বি বা কোলেস্টেরল
থাকে না। তাই ওজন
কমাতে কার্যকর।
যেকোনো কাটা-ছেঁড়া,
যা ভালো করতে অবদান রাখে।
জ্বর, হাঁচিকাশি,
সর্দি ভালো করার জন্য
উপকারী বন্ধু জলপাই।



সূত্র: প্রথম অালো

Saturday, December 6, 2014

আমাদের দেহের সুস্থতায় গাজর
অনেক বেশি কার্যকরী। তাই
প্রতিদিন গাজর
খাওয়া উচতি সকলের। আর যদি গাজর
একেবারেই খেতে না পারেন
তবে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন
১ গ্লাস গাজরের জুস।


ওজন কমায় গাজরের জুস
গাজরের জুসে অন্যান্য সকল জুসের
তুলনায় ক্যালরি কম থাকে। তাই
সকালে নাস্তায়
কিংবা বিকেলে এক গ্লাস গাজরের
জুস পান করেই দেখুন না। ওজন
কতো দ্রুত কমে আসে।
লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
গাজরের জুস দেহের ক্ষতিকর টক্সিন
দূর করে দিতে সক্ষম। প্রতিদিন মাত্র
১ গ্লাস গাজরের জুস পান
করলে লিভারের
কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে
গাজরে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন ই। সেই
হিসেবে প্রতিদিন নিয়ম করে ১ গ্লাস
গাজরের জুস দেহে ভিটামিন ই এর
চাহিদা পূরণ
করে এবং দেহে ক্যান্সারের কোষ
গঠনে বাঁধা প্রদান করে।
দেহের বয়স বৃদ্ধিজনিত
ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়
বয়স বেড়ে গেলে দেহের
নানা অঙ্গে এবং বিশেষ
করে হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা শুধু হয়। এই
ধরণের
ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে গাজরের
জুস। তাই প্রতিদিন ১ গ্লাস গাজরের
জুস অবশ্যই পান করবেন।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
গাজরের জুসে বিদ্যমান ভিটামিন এ
আমাদের চোখের সুরক্ষায় কাজ
করে থাকে ও দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।
এবং দেহে ভিটামিন এ জনিত
নানা সমস্যার সমাধান করে।
দেহের খারাপ কলেস্টোরল কমায়
গাজরের জুসে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে পটাশিয়াম। প্রতিদিন
মাত্র ১ গ্লাস গাজরের জুস আমাদের
দেহের খারাপ কলেস্টোরলের
মাত্রা কমায়
এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
হজমশক্তি বাড়ায়
গাজর আমাদের দেহের টক্সিন দূর
করতে বিশেষভাবে কার্যকরী একটি খাদ্য।
সেই সাথে এটি আমাদের পরিপাক
ক্রিয়া উন্নত করতেও সহায়তা করে।
প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস গাজরের
জুস আমাদের
হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
ত্বকের নানা সমস্যা সমাধান করে
গাজর আমাদের ত্বকের নানা ধরণের
সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
প্রতিদিন ১ গ্লাস গাজরের জুস
আমাদের ত্বককে বয়সের ছাপ
থেকে মুক্ত রাখে, ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ব্রণের
উপদ্রব কমায়।
ত্বকের কোষ ক্ষয় থেকে রক্ষা করে
গাজরে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন নামক
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের
কোষের ক্ষয় রোধ
করে এবং ত্বককে রাখে সুস্থ।
একারণেই প্রতিদিন গাজরের জুস পান
করলে ত্বকে বয়সের ছাপ আসে ধীরে।
ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে
গাজরের বিটা ক্যারোটিন
এবং ভিটামিন এ আমাদের দেহের
ইমিউন সিস্টেম উন্নত
করতে সহায়তা করে।
সেকারণে নানা ধরণের রোগ
থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারি।
সূত্র: নেট

নারীর
জীবনে দু'তিনটে পর্বে পিরিয়ড
অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে।
মেনার্কি বা মেন্সট্রয়েশন শুরুর
সময়ে। এ সময় ওভারি ততটা পরিপক্ব
হয়ে ওঠে না বলে তার পূর্ণ
কর্মক্ষমতা দেখা যায় না। খেয়াল
করে দেখবেন ডেলিভারির পর ৩-৪
মাস পিরিয়ড একটু অনিয়মিত থাকে।
তবে সন্তানকে ব্রেস্ট
ফিডিং করালে এ পর্ব আরও
দীর্ঘায়িত হতে পারে। এ তো সবারই
জানা যে মধ্য বা শেষ
চল্লিশে ওভারি প্যাক আপ করার জন্য
তৈরি হয়। মেনোপজের আগে তাই
পিরিয়ড অনিয়মিত হয়।
পিরিয়ড ইরেগুলার বা অনিয়মিত
কিনা বুঝবেন কীভাবে?
উপরে উল্লেখ করা সময় ছাড়া যদি দুই
পিরিয়ডের মধ্যে ৫ সপ্তাহের
বেশি ব্যবধান হয় তবেই বুঝবেন
সমস্যা হয়েছে। তবে জীবনে অনেক
ঘটনা আছে যা যৌন হরমোনের
ব্যালান্স নষ্ট করতে পারে। তাতেও
পিরিয়ড বিঘ্নিত হয়।
স্ট্রেস :
মানসিক চাপ রিপ্রোডাকটিভ
সিস্টেমকে সহজেই প্রভাবিত করে।
পরীক্ষার সময় এমন হয়, খেয়াল
করেছেন? পিরিয়ডে একটু গোলমাল।
কখনও নিকটাত্মীয়
মারা গেলে বা দারুণ অসুস্থ হলে।
বাড়ি বদলালে অথবা চাকরি চেঞ্জ
করলেও দেখবেন
প্যাটার্নটা বদলে যায়। স্বাভাবিক
সুস্থ জীবনে ফিরে গেলেই কিন্তু সব
ঠিক হয়ে যায়।
বডি ওয়েট :
ওজন ধুম করে বাড়লে বা কমলে নর্মাল
সাইকল ব্যাহত হয়। আগে যা শরীরের
ওজন ছিল, সেখানে ফিরে গেলেও
পিরিয়ড আবার আগের
মতো স্বাভাবিক হতে একটু সময়
লাগে।
ডায়েট :
হঠাৎ ভেজিটেরিয়ান হয়ে গেলেন
বা ক্র্যাশ ডায়েট প্রোগ্রাম শুরু
করলেন। আপনি অবশ্যই
সমস্যা ডেকে আনলেন। পিরিয়ড ধুম
করে বন্ধ
হতে পারে কিংবা একেবারে অনিয়মিত
হয়ে যেতে পারে।
এক্সারসাইজ :
কথা নেই বার্তা নেই, প্রচুর ব্যায়াম
শুরু করে দিলেন। পিরিয়ডের
যে নিয়মিত চক্র, তা বিঘিœত
হতে পারে। আসলে বডি ফ্যাট হঠাৎ
কমলে হরমোনে বৈষম্যের
ফলে ওভারির ফাংশন পরিবর্তিত হয়।
ক্রনিক অসুখ :
কিছু অসুখ আছে যা লম্বা সময়
ধরে ভোগায়। যেমন ডায়াবেটিস,
থাইরয়েড, অ্যাজমা,
টিবি বা যক্ষ্মা, ক্যান্সার। পিরিয়ড
বন্ধ হয়েও যেতে পারে,
কমতে তো পারেই।
ড্রাগ :
অনেক ওষুধ রয়েছে যা নর্মাল
পিরিয়ডকে ব্যাহত করে। যেমন
অ্যান্টি-ডিপ্রেসান্ট।
লিভারে প্রতিক্রিয়ার জন্য হরমোন
লেভেলে রদবদল হয়। যেসব
কন্ট্রাসেপটিভে প্রজেস্টোরেন
রয়েছে তা থেকেও কিন্তু পিরিয়ড
অনিয়মিত হতে পারে। পিরিয়ড বন্ধও
হয়ে যায় অনেক সময়।
মনে রাখতে হবে হরমোনের
ভারসাম্যের জন্যও কিন্তু ওভ্যুলেশন
ডিসঅর্ডার দেখা দিতে পারে।
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান
সিনড্রোম :
ওভ্যুলেশনের জন্য প্রয়োজনীয়
ডিম্বাণু আদৌ ম্যাচিওর করে না।
আসলে এসব মহিলার একটা নির্দিষ্ট
প্যাটার্নে এগ বা ডিম্বাণু তৈরি হয়
না। পলিসিস্টিক কেন?
একটা আলট্রাসাউন্ড করলেই
দেখা যাবে ওভারিকে ঘিরে রেখেছে অসংখ্য
ফলিকল বা সিস্ট। ঠিক যেন মুক্তোর
মালার মতো। ডিম্বাণুর অনিয়মিত
বৃদ্ধির জন্যই পিরিয়ড বিঘ্নিত হয়।
সময়ের ঠিক থাকে না,
কবে হবে জানাও যায় না।
এরা ওভারওয়েট। ব্রণ থাকবে,
তৈলাক্ত ত্বক, মাথার চুলও কমবে।
শরীর বেশ রোমশ হয়ে যায়।
ওভারিতে হরমোনের ব্যালান্স নষ্ট
হয়, পুরুষ হরমোন অ্যান্ড্রোজনের
মাত্রা বাড়ে। তাই যত বিভ্রাট।
হাইপারপ্রোল্যাকটিনিমিয়া :
চাইল্ডবার্থের পর পিটুইটরি গ্ল্যান্ড
তৈরি করে প্রোল্যাকটিন। উদ্দেশ্য
মিল্ক সিক্রিশন বাড়ানো। ব্রেস্ট
ফিড করান না এমন মহিলার
যদি প্রোল্যাকটিন বেড়ে যায়,
তাহলে পিরিয়ড বিঘ্নিত হবে।
বুকে দুধও
অস্বাভাবিকভাবে তৈরি হয়। এসব
মহিলার পিটুইটারিতে ছোট বিনাইন
টিউমার থাকাও অসম্ভব নয়।
তাতে মাথাব্যথা হবে,
চোখে দেখার সমস্যাও হতে পারে।
প্রি-ম্যাচিওর মেনোপজ :
৪৫ থেকে ৫০, এটাই মেনোপজের গড়
বয়স। ১ থেকে ২% মহিলার
ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অনেক
তাড়াতাড়ি ঘটতে পারে। এরা অসুস্থ,
এমনটা ভাবার কারণ নেই।
এরা আসলে ওভারিতে কম সংখ্যক এগ
নিয়ে জন্মান।
তবে ক্রোমোজমে বৈষম্য, ইনফেকশন,
সিস্ট/টিউমার, সার্জারি,
রেডিয়েশন
অথবা কেমোথেরাপিতে ওভারিয়ান
ফেলিওর ত্বরান্বিত হয়।
হেভি অথবা অনিয়মিত পিরিয়ড
কিন্তু আপনার ওয়েক-আপ কল। দ্রুত
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাহায্য
নিন। সঙ্গে ওবেসিটি, অস্বাভাবিক
হেয়ার গ্রোথ, মিল্ক সিক্রিশন
বা মাথা ব্যথা হলে একদম দেরি না।
ওভ্যুলেশন প্রবলেম
থাকলে যে নারী কনসিভ করার
চেষ্টা করছেন,
তাকে তো অবিলম্বে পরামর্শ নিতেই
হবে।
লেখক পরিচিতি
প্রখ্যাত প্রজনন বিশেষজ্ঞ ও
গাইনোকোলজিক্যাল
এন্ডোস্কোপিক সার্জন।
ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্টে দক্ষতা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।
লিখেছেন-
ডা. গৌতম খাস্তগীর
চেম্বার : বার্থ, ৩৬ বি, এলগিন রোড,
কলকাতা

Wednesday, December 3, 2014

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) মতে , যে ব্যক্তির মধ্যে ইবোলা ভাইরাস রয়েছে,
তাঁকে হস্তমৈথুন ও সহবাসে বিরত থাকা অবশ্যই উচিত। এই সংস্থা আরও উপদেশ দিয়েছে,
এই ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে অন্তত তিন মাস সহবাস থেকে এড়িয়ে চলুন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটের প্রকাশ, তিন ব্যক্তির শুক্রাণুর মধ্যে ইবোলা ভাইরাস পাওয়া গেছে।
যার মধ্যে প্রথম ব্যক্তির ৪০ দিনে, দ্বিতীয় ব্যক্তির ৬১ দিনে ও তৃতীয় ব্যক্তির ৮২ দিনের পর শুক্রাণু থেকে ভাইরাস মুক্ত হয়েছে।
তাই বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সহবাস ও হস্তমৈথুনের মধ্যে ইবোলা ভাইরাস সংক্রামণ ছড়াতে পারে। তাই সহবাসের সময় কন্ডোম ব্যবহার করা উপদেশ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এখনও পর্যন্ত ভাইরাস ছড়ানোর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সীমিত হলেও তাঁরা একটি কথায় সহমত, শুক্রাণুর মধ্য দিয়ে ইবোলা ভাইরাস ছড়াতে পারে।

Friday, November 28, 2014

বিবারণ:

প্যারাসিটামল [ Paracitamol ] অত্যন্ত নিরাপদ এবং দ্রুত কার্যকরী
ব্যাথানাশক ও জ্বরনিবারক ঔষধ। এসপিরিন,ফেনাসিটিন ও মেটামিজলের তুলনায়
লক্ষনীয় পরিমাণে পার্শ্ব- পতিক্রিয়া মুক্ত।

নির্দেশনা :

ইনফ্লুয়েঞ্জা, সর্দিজ্বর,মাথা ব্যাখ্যা, দাত এবং কাণের ব্যাথা, বাত
ব্যাথ্যা, ঋতুস্রাবের সময় ব্যাথ্যাম, আঘাতজনিত ব্যাথ্যা ইত্যাদি কাজে
উপকারিতা।

সেবনবিধি ও মাত্রা:

সাসপেনশন:
১ বছর পর্যন্ত : ১/২ চা চামুচ দিনে ৩ থেকে ৪ বার।
১-৫ বছর পর্যন্ত : ২-৩ চা চামুচ দিনে ৩ থেকে ৪ বার।
৬-১২ বছর পর্যন্ত : ৪-৮ চা চামুচ দিনে ৩ থেকে ৪ বার।
প্রাপ্ত বয়ষ্ক: ৪-৮ চা চামুচ দিনে ৩ থেকে ৪ বার।

ট্যাবলেট :
১-২টি ট্যাবলেট ৪-৬ ঘন্টা পর পর। কিন্তু ২৪

ঘন্টায় ৮টির বেশি সেবন করা ঠিক না।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব,
পেট ফাপা, চামড়ায় এলার্জি দেখা দিতে পারে।


সবাধানতা :
যকৃত [ লিভার ] ো বৃক্ক [ কিডনী ] এর কার্যসম্পাদনে গরমিলের ক্ষেত্রে
সাবধানতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।

ঔষধের নাম :

Tab : Napa [ Beximco ],
Tab- Ace Squre ] ,
Tab- Excel,
Tab- Napa Extra,
Tab- Fast,
Tab – Tempac, ইত্যাদি

এগুলোর আবার সিরাপ এবং সাপোজিটরীও বাড়ারে পাওয়া যায়।

স্তন নিয়ে ভাবছেন ?
আপনার স্তন কি অনেকটা ঝুলে গেছে?
তাহলে আর নেই ভাবনা আপনাদের নিকটস্থ দোকানে গিয়ে খোজ করুন আর নিয়মিত
ব্যবহারে আপনার আপনার স্তনকে আরো আকর্ষন করুন ।

Sunday, August 24, 2014

১। পুরুষাঙ্গের সামনের বা মাথার দিকে যে অতিরিক্ত স্কিন পুরুষাঙ্গের
সংবেদনশীল মাথাকে ঢেকে রাখে, তা কর্তন করাকে খতনা বা মুসলমানি করা
বোঝায়।

২। খতনা বা মুসলমানি করার প্রয়োজনীয়তা :
(ক) ধর্মীয় কারণে মুসলমান ও খ্রিষ্টানেরা খতনা করান।
(খ) ফাইমোসিস বা প্যারাফাইমোসিস রোগ হলে খতনা বা মুসলমানি করাতে হয়।
ফাইমোসিস হলো পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া যদি এমনভাবে মূত্রনালীকে
ঢেকে রাখে যে শিশু বা রোগীর প্রস্রাব ঠিকমতো বের হতে পারে না। এর ফলে
প্রস্রাবের সময় কান্নাকাটি করে এবং প্রস্রাবের সময় মাথাটা ফুলে ওঠে।
এভাবে বেশি দিন চলতে থাকলে প্রস্রাবে ইনফেকশন ও কিডনি ফেইলিউর হতে পারে।
প্যারাফাইমোসিস : পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া উল্টে টাইট হয়ে যায়।
এর ফলে চামড়াকে আর সামনে ও পেছনের দিকে নাড়াচাড়া করা যায় না। এ
ক্ষেত্রে মাথার দিকে ফুলে যায় এবং রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এই উভয়
ক্ষেত্রেই জরুরি ভিত্তিতে খতনা করা প্রয়োজন। আরো নানাবিধ কারণে খতনা
দরকার হয়, যেমনÑ পুরুষাঙ্গের চামড়া অনেক সময় প্যান্টের চেইনের সাথে
আটকে গেলে। রোগী চাইলেও যেকোনো ধর্মাবলম্বী লোকের খতনা করা হয়।

৩। খতনা বা মুসলমানি করালে কী উপকারিতা :
পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার মুসলমান ও খ্রিষ্টানদের মধ্যে নেই বললেই চলে। তার
প্রধান কারণ খতনা। পুরুষাঙ্গের মাথার বাড়তি চামড়ার নিচে সাদা এক ধরনের
পদার্থ (স্মেগমা) জমে এবং এই স্মেগমাই পুরুষাঙ্গের ক্যান্সারের জন্য
দায়ী।

৪। কখন খতনা করা যাবে না : হাইপোসপেভিয়াসিন রোগ। হাইপোসপেভিয়াসিস এটি
পুরুষাঙ্গের জন্মগত ত্রুটি। এখানে মনে হবে শিশু জন্মগতভাবে খতনা হয়ে
এসেছে। এ ক্ষেতে পুুরুষাঙ্গের বাড়তি চামড়া এই জন্মগত ত্রুটি মেরামতের
সময় প্রয়োজন হয়। তাই খতনা করানো নিষেধ।

৫। খতনা করার আগে রক্ত পরীক্ষা করার প্রয়োজন আছে কি? অবশ্যই আছে। খতনার
পর কিছু খতনার রোগীর ব্লিডিং বন্ধ হয় না এবং মরণাপন্ন অবস্থায় আমাদের
কাছে হাজামরা পাঠায়। তাই খতনার আগে শিশুর অবশ্যই রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা
(জন্মগত) আছে কি না, তা দেখে নিতে হবে।

৬। খতনা করার পর কী কী জটিলতা দেখা দিতে পারে : Ñ রক্তক্ষরণ বন্ধ না
হওয়া। Ñ হাজাম বা অনভিজ্ঞতার কারণে অতিরিক্ত বা কম চামড়া কেটে ফেলা। Ñ
পুরুষাঙ্গের সংবেদনশীল মাথা কেটে ফেলা। হাজামরা খতনা করে ব্লাইন্ডলি
অর্থাৎ মাথার অগ্রভাগে চামড়া মাথা থেকে সঠিকমতো না ছাড়িয়ে না দেখে
কেটে ফেলতে গিয়ে এ ধরনের মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। ইংল্যান্ডসহ
পৃথিবীর সব দেশে এই খতনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখা হয়

Tuesday, August 19, 2014

আনারসের উপকারিতা
*************
এসময়ের ফলগুলোর মধ্যে আনারস অন্যতম। আনারসের স্বাদটি একটু ভিন্ন ধরণের
হওয়াতে অনেকেরই এটি একটি পছন্দের ফল। আর গ্রীষ্মের অন্যান্য ফলের মত
আনারসেরও আছে বেশ কিছু পুষ্টিগুণ। গুণগুলো জানা থাকলে আনারস খাওয়াতে আপনি
আরো আগ্রহী হয়ে উঠবেন, এতে কোন সন্দেহ নেই।

১) দাঁতের মাড়ি ভাল রেখে নিঃশ্বাস সতেজ রাখেঃ
আনারসে ভিটামিন সি ও ম্যাংগানিজ রয়েছে। যা দাঁতের মাড়ির জন্যে খুবই
উপকারী। দাঁতের মাড়ির যে টিস্যুগুলো রয়েছে আনারস খাওয়ার কারণে তা ভাল
থাকে। ফলে দাঁত এবং মাড়ির বিভিন্ন রোগ থেকে বেঁচে থাকা যায়, সাথে
নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ কমে আসে। তাই দাঁত নিয়ে যারা বেশি মাত্রায় সচেতন
আনারস তাদের জন্যে অনেক উপকারী।

২) চোখের যত্নেঃ
আনারসে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন 'এ' এবং বিটা ক্যারোটিন। যা Macular
Degeneration নামে চোখের রেটিনার একটি রোগ থেকে চোখকে রক্ষা করে। এই
রোগের কারণে চোখের দৃষ্টি সীমায় নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। আর এই রোগ
প্রতিরোধে আনারস কার্যকর ভুমিকা পালন করে। তাই চোখের রেটিনা সুস্থ রাখতে
আমাদের সকলেরই আনারস খাওয়া দরকার।

৩) হজমে সহায়তাঃ
আনারসে ভিটামিন বি-৬ ছাড়াও রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। এসব
কিছুই হজম শক্তি বাড়াতে দারুণ সাহায্য করে। হজমের নানা সমস্যায় যারা
ভুগছেন তাদের জন্য আনারস বা আনারসের জুস খুবই দরকারি।

৪) কণ্ঠনালির সংক্রমণ রোধঃ
আনারসে রয়েছে Bromelain নামের একটি উপাদান। যা আমাদের কণ্ঠনালীর নানা
সমস্যা থেকে রক্ষা করে। এটির দ্বারা সর্দি, কাশি, কফ ইত্যাদি সমস্যা
থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। চিকিৎসকদের মতে, কণ্ঠনালীর সমস্যায় দ্রুত উপকার
পেতে আনারসের জুস খাওয়াটা অধিক কার্যকর।

৫) হাড় গঠনে ও হাড়ের নানা রোগ প্রতিরোধেঃ
আনারসের এই গুণটিই কিন্তু সবচেয়ে কার্যকরী। আনারস হাড় মজবুত করতে সাহায্য
করে। এর কারণ আনারসে থাকা ম্যাংগানিজ। যা হাড় গঠনে দরকারি। আমাদের শরীরে
যতটুকু ম্যাংগানিজ দরকার এক কাপ আনারসে তার ৭৩% পাওয়া যায়। হাড় মজবুত
করার পাশাপাশি এটি আর্থ্রাইটিস গেঁটে বাত, কব্জির হাড়ের নানা রোগ উপশমে
সাহায্য করে।

ষুত্র- পরামর্শ

পেয়ারা
*****
পেয়ারাকে (guava) ভিটামিনের গুপ্তধন বলা যায়। এতে রয়েছে Anti-oxidant সহ
নানা ধরণের ভিটামিন, যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকার করে থাকে। এজন্যেই
তো পেয়ারাকে 'super food' বলে ডাকা হয়। এই super food-টি কেন আপনাকে
খেতেই হবে জেনে নিন তা।
১) ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে খান পেয়ারা (Guava against diabetes)

পেয়ারাতে পেকটিন নামের দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে যা রক্তে চিনির মাত্রা সঠিক
পর্যায়ে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে
পেয়ারা টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কার্যকর ভুমিকা পালন করে। তাই
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি প্রতিরোধে প্রতিদিন খান একটি করে পেয়ারা।
২) থাইরয়েড কার্যক্ষম রাখুন (Guava keeps your thyroid gland active)

থাইরয়েড আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রন্থি, যা হরমোন
উৎপন্ন করে এবং শরীরের নানা কার্যপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে। পেয়ারা কপারের
একটি অন্যতম উৎস যা থাইরয়েডের মেটাবোলিজম (metabolism) প্রক্রিয়ার জন্যে
জরুরি। এজন্যেই থাইরয়েডকে কার্যক্ষম করে তুলতে আপনার খাদ্যতালিকায় পেয়ারা
রাখতেই হবে।
৩) মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে নিন (Guava can boost your brain activity)

পেয়ারার দুটি অসাধারণ উপাদান হচ্ছে ভিটামিন বি-৩ (niacin) এবং ভিটামিন
বি-৬। এ দুইটি ভিটামিন স্নায়ুতন্ত্রে (nervous system) এবং মস্তিষ্কে
প্রয়োজনীয় পুষ্টি (nutrients) সরবরাহ করে এসবের কার্যক্ষমতা বাড়াতে
সাহায্য করে। তাই খাবারের তালিকায় অবশ্যই রাখুন পেয়ারা।
৪) স্কার্ভি নামক রোগ থেকে বেঁচে থাকুন (Avoid scarvy by eating guava)

পেয়ারাতে কমলার চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি ভিটামিন 'সি' থাকে। আর ভিটামিন 'সি'
স্কার্ভি নামক ভয়াবহ রোগ থেকে রক্ষা করে। এখন পর্যন্ত জানা উপায়গুলোর
মধ্যে স্কার্ভি (scarvy) প্রতিরোধে একমাত্র উপায় ভিটামিন 'সি' আর ভিটামিন
'সি' এর অন্যতম উৎস পেয়ারা। তাই স্কার্ভির মত রোগ থেকে বেঁচে থাকতে
সাহায্য নিন পেয়ারার।
৫) চোখের দৃষ্টি স্বাভাবিক রাখুন (Eat guava for clear eyesight)

চোখের সুস্বাস্থ্যের জন্যে ভিটামিন 'এ' খুবই উপকারী। আর পেয়ারাতে এই
ভিটামিনটি প্রচুর পরিমাণে থাকার কারণে পেয়ারা চোখ ভাল রাখতে এবং চোখের
ছানি, Macular degeneration মত রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।

এছাড়াও পেয়ারার নানা গুণ (health benefits) রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে
না। ত্বক ভাল রাখতে, ঠাণ্ডা সর্দি উপশমে, কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে পেয়ারা
অসাধারণ ভুমিকা পালন করে। তাই আজই এই উপকারী দেশীয় ফলটি যোগ করে নিন
আপনার খাদ্যতালিকায়।



সুত্র:poramorsho.

কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। এটি আমরা সবাই জানি। যেটি জানি না সেটা হচ্ছে
কাঁঠালের আছে বেশ কিছু অসাধারণ উপকার। যা জানলে কাঁঠাল খাওয়াটা আপনার
কাছে আরো বেশি উপভোগ্য হয়ে উঠবে। তবে আসুন একবার চোখ বুলিয়ে ফেলি
কাঁঠালের পুষ্টিগুণের উপর।

১) কর্মশক্তি বাড়ায়ঃ
কাঁঠালে আছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরি। এছাড়াও এতে আছে
সুক্রোজ, ফ্রুক্টজ, যা শরীরে খুব দ্রুত শক্তি যোগায়। কাঁঠালে কোলেস্টেরল
নেই। তাই এটি একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর ফল।

২) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ
কাঁঠালে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়াম সোডিয়াম লেবেল, ফ্লুয়িড লেবেল
নিয়ন্ত্রণ করে থাকে যার মাধ্যমে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের (electrolyte)
ভারসাম্য রক্ষা হয়। যার ফলে এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং স্ট্রোক ও
হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমায়। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা কাঁঠাল খেয়ে
দেখতে পারেন।

৩) চোখ ভাল রাখেঃ
ভিটামিন 'এ' চোখের জন্যে খুবই উপকারী একটি ভিটামিন। আর কাঁঠালে এই
ভিটামিনটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এছাড়া যেহেতু কাঁঠালে প্রচুর
পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তাই এর ফলে চোখের রেটিনাও সুস্থ থাকে।
যারা চোখ সুস্থ রাখতে চান তারা অনায়াসে কাঁঠাল খেতে পারেন।

৪) রক্তস্বল্পতা রোধেঃ
কাঁঠালে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, কে, নিয়াচিন, ফলেট, ভিটামিন বি-৬।
এছাড়াও আছে বিভিন্ন ধরণের মিনারেল যেমনঃ কপার, ম্যাংগানিজ, ম্যাগনেসিয়াম
যা রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। তাই এটি রক্তস্বল্পতা রোধে দারুণ ভুমিকা
রাখে। যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন তাদের জন্যে কাঁঠাল উপকারি হবে এতে কোন
সন্দেহ নেই।

৫) হাড় গঠনেঃ
কাঁঠালে ক্যালসিয়ামের আধিক্যের জন্যে এটি হাড়ের গঠন সুদৃঢ় করে। এটি
অস্টেওপরোসিস (osteoporosis) নামে হাড়ের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
তাই যে কেউ হাড় মজবুত করার জন্যে নিতে পারেন জাতীয় ফলের সাহায্য।

৬) ক্যান্সার রোধে অনন্যঃ
কাঁঠালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সাথে রয়েছে phytonutrients এবং flavonoid
যা ক্যান্সার রোধে কার্যকর ভুমিকা পালন করে। কোলন, ফুসফুস এবং মুখগহ্বরের
ক্যান্সার থেকে রক্ষা করার দারুণ গুণ আছে কাঁঠালের। তাই ক্যান্সার থেকে
যারা বেঁচে থাকতে চান তারা কাঁঠাল খেতে মিস করবেন না।

(৭) গর্ভবতী কিংবা সদ্য মা হওয়া নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায়
চিকিৎৎসা শাস্ত্রমতে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী
মহিলা ও তার গর্ভধারণকৃত শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়। গর্ভবতী
মহিলারা কাঁঠাল খেলে তার স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে এবং গর্ভস্থ সন্তানের
বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়। দুগ্ধদানকারী মা তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের
পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

ষুত্র- poramorsho

Wednesday, August 13, 2014

Papilloma Virus এ আক্রান্ত হবার কারনে এর এমন শরীরে অবস্থা। আসুন আমরা
সচেতন হয় এবং কমেন্ট , লাইক দিয়ে অন্যকে সচেতন করি।
মনে রাখবেন এই ভাইরাসটির নাম হচ্ছে Papilloma Virus।

আরো জানতে ভিজিট করুন
http://raselpharmacy.blogspot.com

Papilloma Virus এ আক্রান্ত হবার কারনে এর এমন শরীরে অবস্থা। আসুন আমরা
সচেতন হয় এবং কমেন্ট , লাইক দিয়ে অন্যকে সচেতন করি।
মনে রাখবেন এই ভাইরাসটির নাম হচ্ছে Papilloma Virus।

আরো জানতে ভিজিট করুন
http://raselpharmacy.blogspot.com

Monday, August 11, 2014

কমলার উপকারিতা
***********

প্রতিদিন একটি করে কমলা খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে রাখবে সুস্থ-সবল ও
প্রাণবন্ত। প্রতিদিন এক গ্লাস করে কমলার জ্যুস বা একটি কমলা খাওয়ার
অভ্যাস করা বেশ কঠিন কাজ নয়। তবে জ্যুসের চেয়ে ফলটিই খাওয়া ভাল। কারণ,
কমলায় রয়েছে আঁশ, যা আমাদের বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে। কমলা কেন
খাবেন, তার ৪টি কারণ এখানে উপস্থাপন করা হলো:


* রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে :
কমলা আপনার প্রতিদিনের ভিটামিন সি'র চাহিদা পূরণ করে। একই সঙ্গে এ ফলটিতে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান। এ পুষ্টি
উপাদানসমূহ রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ছোটবড় নানা ব্যাধি ও সংক্রমণ
থেকে সুরক্ষা দেয়।


* সুন্দর ত্বকের জন্য :
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বকও দ্রুত বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। ভিটামিন
সি ছাড়াও কমলায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমূহ ত্বককে সতেজ ও সজীব রাখতে
সাহায্য করে। বার্ধক্যেও ত্বককে অনেকটাই মসৃণ রাখে, সহজে বলিরেখা পড়ে না।
কারণ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিস সি ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখে বহু বছর।
ফলে, বয়স বাড়লেও, আপনাকে দেখাবে চিরতরুণের ন্যায়।


* চোখের জন্য :
প্রতিদিন একটি করে কমলা খাওয়ার অভ্যাস আপনার দৃষ্টিশক্তিকে ভাল রাখে।
কারণ, কমলায় রয়েছে ভিটামিন এ, সি ও পটাসিয়াম। এ ভিটামিনগুলো আপনার
দৃষ্টিশক্তির জন্য বেশ উপকারী।


* পাকস্থলীর আলসার থেকে সুরক্ষায় :
আঁশের অন্যতম উৎস কমলা পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে। নিয়মিত কমলা খাওয়ার অভ্যাস
পাকস্থলীর আলসার ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সুরক্ষা দেবে। পাকস্থলীকে রাখবে
সবল।


সূত্র_ ইন্টারনেট

গনোরিয়া রোগ
**********

স্বাস্থ্য ডেস্ক: গনোরিয়া এমন একটি রোগ যা কেবল যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে
এক পুরুষ থেকে অন্য নারীতে বা এক নারী থেকে অন্য পুরুষে সংক্রমিত হতে
থাকে। এ রোগের রক্তের সঙ্গে জীবাণু সংস্পর্শ খুবই কম। এটি বংশ পরম্পরায়
সংক্রামিত হয় না। সাধারণ পুরুষ বা নারীর যৌনাঙ্গে এ জীবাণু ক্ষত সৃষ্টি
করে থাকে। এ ক্ষতে পুঁজ সৃষ্টি হয়। এ পুঁজ যদি অন্য নারী বা পুরুষের
যৌনাঙ্গে স্পর্শ করে তাহলে এ জীবাণু তাদের যৌনাঙ্গে প্রবেশ করে। সেখানে
বাসা বাঁধে এবং ক্ষতের সৃষ্টি করে।

লক্ষণ : নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলেই বুঝতে হবে পুরুষ বা নারী এ রোগে
আক্রান্ত। প্রস্রাবের জ্বালা অনুভূত হতে থাকে। প্রস্রাবের পরে চাপ দিলে
সামান্য আঠা আঠা মতো পুঁজ দেখা দেয়। চিকিৎসা না করালে ধীরে ধীরে
প্রস্রাবের জ্বালা ও ব্যথা বৃদ্ধি পায়। পুরুষের ইন্দ্রিয় বাইরে ও নারীর
যোনির চারদিকে ঘা হতে দেখা যায়। এসব ঘায়ে জ্বালা ও তাতে পুঁজ হয়ে থাকে।
ক্রমশ ঘা আরও ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ব্যথা বেড়ে যায়। অনেক সময় প্রস্রাব বন্ধ
হওয়ার উপক্রম হয় এবং প্রস্রবা করতে ভীষণ কষ্ট হয়। অল্প অল্প জ্বর দেখা
দেয়। জ্বরের সঙ্গে মাথাধরা, গা-হাত পা ম্যাজ ম্যাজ করা, শরীরের ভুগলে
ঋতুতে গণ্ডগোল হয়। ঋতুস্রাত বেশি হতে থাকে। কখনো মাসে দুবার হয়। আবার
কখনো ঋতুস্রাব শেষে শ্বেতস্রাব হতে থাকে।

য়াবহ ক্ষতিকর দিকগুলো : এ রোগ হলে পুরুষের চেয়ে নারীদেরই বেশি ক্ষতি হয়।
নারীর সঙ্গে তার সন্তানেরও ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। নিচে সেদিকগুলো তুলে
ধরা হলো। নারীর ডিম্ববাহী ও নারীর ডিম্বকোষ আক্রান্ত হলে তার সন্তান জন্ম
চিরদিনের জন্য বন্ধ্য ও নারী বন্ধ্যত্ববরণ করতে পারে। কখনো কখনো গর্ভবতী
হওয়ার প্রথম অবস্থায় ওই রোগ হলে গর্ভস্থ ভ্রূণ গর্ভপাত হয়ে পড়ে যায়, তার
জরায়ু থেকে প্রচুর রক্তপাত হতে থাকে। গর্ভের শেষ অবস্থায় এ রোগ হলে
সন্তান জন্মের সময় তার চোখে রোগের পুঁজ লেগে শিশু অন্ধ হয়ে যেতে পারে।

চিকিৎসা : এ রোগের খুব ভালো ওষুধ হলো সিপ্রোসিন/ এজিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট
খেলে ধীরে ধীরে রোগ কমে আসবে ও রোগী সুস্থ হবে। তবে অভিজ্ঞ ডাক্তারের
কাছে যাবেন এবং ব্যবস্থাপত্র নেবেন।

অন্যান্য ব্যবস্থা : যদি রোগীর জ্বর থাকে তাহলে জ্বরের জন্য হালকা খাবার
যেমন_ পাউরুটি সেঁকে বা হরলিকস প্রভৃতি হালকা ও তরল খাবার দিতে হবে। এ
রোগ হলে সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত যৌন মিলন করা যাবে না।
স্বামী-স্ত্রীকে পূর্ণ চিকিৎসা দ্বারা সুস্থ হতে হবে আগে। না হলে এর ফল
খুবই খারাপ হবে।

সুত্র : নেট

Friday, August 1, 2014

পেটে খুব গ্যাস হয়। ৮০ শতাংশ মানুষ এমন অভিযোগ করে থাকে অনেক সময়।
অধিকাংশ লোকই জানে না এর মানে কী আর কেনই বা এমন হয়।

অনেকের শাক-সবজি বেশি খেলে পেটে গ্যাস হয়। অন্ত্রের মধ্যে কিছু
ব্যাকটেরিয়া ও রাসায়নিক পদার্থ আছে, যা বিভিন্ন খাদ্য উপাদানের সঙ্গে
বিক্রিয়া করে নানা ধরনের গ্যাস উৎপন্ন করে। যেমন কার্বন ডাই-অক্সাইড,
হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, মিথেন ইত্যাদি। আবার কিছু গ্যাস দেহের রক্ত থেকে
উৎপাদিত হয়ে পেটে আসে। ল্যাকটুলোজ-জাতীয় খাবার ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ
পেটের রাসায়নিক বা অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে বেশি গ্যাস তৈরি করে
থাকে।

স্বাভাবিকভাবে আমাদের শরীরে সাধারণত ২০০ মিলিলিটার বা গড়ে ৪৭৬ মিলিলিটার
থেকে ৬০০ মিলিলিটার পর্যন্ত গ্যাস উৎপন্ন হতে পারে, যা ঊর্ধ্বগামী বা
নিম্নগামী হয়ে ১৮ থেকে ২০ বার পর্যন্ত শরীর থেকে বের হতে পারে।

যাদের পেটে বেশি গ্যাস সৃষ্টি হয়, তাদের কিছু নিয়ম পালন করা দরকার।

খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করে না খেয়ে ধীরস্থিরভাবে খাবার চিবিয়ে খেতে
হবে, যাতে খাবারটা ভালোভাবে পরিপাকরসের সঙ্গে মেশে এবং হজম হয়। ধূমপান
বর্জন করুন। কেন ও কোন খাবারে গ্যাস হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন ও তা থেকে
বিরত থাকুন। বারবার ঢেকুর তুলবেন না। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা
থেকে দূরে থাকুন। এই বিষয়টি নিয়ে বেশি চিন্তা না করে নিজের কাজে বেশি
করে মনোনিবেশ করুন।



খ) বুক জ্বালা, বুক পুড়া ও পুড়া ঢেকুর বা অম্লের ব্যাথা হলে:
tab- Antac 150mg, Tab- Neoceptin-R 150mg, Tab- Newtack 150mg, Tab-
Renitid, Tab-Inseac 150mg, Tab- Ranidin 150mg ইত্যাদি
(যে-কোন একটি দেয়া যেতে পারে)

মাত্রা: ১টি ট্যাবলেট দৈনিক সকালে -রাতে খাবারের ১ ঘন্টার পরে বা ১ বা
আধা ঘন্টা আগে খেতে হবে।

ব্যথার জন্য দোকান থেকে ডাইক্লোফেন, ন্যাপরোক্সেন বা আইবুপ্রোফেন-জাতীয়
শক্তিশালী ব্যথানাশক বড়ি দু-একটা খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই।
বিশেষ করে বাত, আথ্রাইটিস বা মাইগ্রেনের রোগীরা এ ধরনের অভ্যাসে
আক্রান্ত।কিন্তু আপনি কি জানেন, না জেনে, না বুঝে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ
ছাড়া ব্যথানাশক বড়ি খেলে কিডনি বিকলের মতো মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে যেতে
পারে যখন-তখন? দীর্ঘদিনের ব্যথার রোগী, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের
রোগী, ধূমপায়ী, যারা ঘুমের বড়ি খেয়ে অভ্যস্ত ও বয়স্ক রোগীদের মধ্যে
এই ঝুঁকি আরও বেশি।বাজারে প্রচলিত ব্যথানাশক বড়িকে চিকিৎসকেরা এনএসএআইডি
বা নন-স্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধ বলে থাকেন। এর সব কটিই
কিডনির রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দিয়ে ক্ষতি করতে পারে। দীর্ঘদিন এসব ওষুধ খেলে
প্রস্রাবের সঙ্গে আমিষ ও রক্ত বের হওয়াসহ ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে
পারে। এ ছাড়া কিডনির কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে, যা বোঝা যাবে
রক্তশূন্যতা, পায়ে-মুখে পানি আসা বা প্রস্রাব কমে যাওয়ার লক্ষণের
মাধ্যমে। অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর ক্ষেত্রে মাত্র কয়েকটি বড়ি খেলেই
কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার মতো বিপদ হতে পারে। এসব সমস্যাকে অ্যানালজেসিক
নেফ্রোপ্যাথি বা ব্যথানাশক বড়িজনিত কিডনি সমস্যা বলে চিহ্নিত করা হয়।
তাই কথায় কথায় বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে কখনো ব্যথার ওষুধ
সেবন করবেন না। ব্যথা সারাতে রোগের কারণ চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী
চিকিৎসা নিন। দিনের পর দিন ব্যথার ওষুধ কোনো সমাধান হতে পারে না। -

দুর্ঘটনাসহ নানান কারণেই অনেকেই দাঁত হারাতে পারেন। কিন্তু দাঁত পড়ে
গেলে শূন্য স্থানটিতে কৃত্রিম দাঁত না লাগালে কিছু সমস্যা হতে পারে।
যেমন:
১. শূন্য স্থানটিতে পরবর্তী দাঁতগুলো হেলে পড়তে পারে। এ ছাড়া ওপরের
পাটির একটি দাঁত অনুপস্থিত থাকলে নিচের পাটির দাঁত বেড়ে ওপরের দিকে চলে
আসতে পারে। একইভাবে নিচের দাঁত না থাকলে ওপরের দাঁতও নেমে আসতে পারে।
২. খেতে অসুবিধা হতে পারে। এতে অপুষ্টিজনিত সমস্যা হতে পারে।
৩. চোয়ালের সন্ধির সমস্যা হতে পারে।
৪. সম্পূর্ণ দাঁতের গঠন বিন্যাস নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৫. শব্দ উচ্চারণে বা কথা বলতে অসুবিধা হতে পারে।
কৃত্রিম দাঁত প্রাথমিক অবস্থায় সাময়িক অসুবিধা সৃষ্টি করলেও ধীরে ধীরে
তা দূর হয়ে যায়। নানা পদ্ধতিতে আজকাল কৃত্রিম দাঁত প্রতিস্থাপন করা
হয়।
খোলার যোগ্য কৃত্রিম দাঁত বা রিমোভেবল ডেনচার রাতে ঘুমানোর আগে খুলে
রাখতে হয়। সকালে আবার ধুয়ে ব্রাশ করে তা মুখে লাগানো হয়। ইদানীং এতে
ফ্লেক্সিবল ডেনচার ব্যবহার করা হয়, যাতে কৃত্রিম তার ব্যবহারের প্রয়োজন
হয় না বা তার দেখাও যায় না।
ফিক্সড পোরসেলিন ক্রাউন পদ্ধতিও ইদানীং জনপ্রিয় হচ্ছে। এটি একটি বা দুটি
দাঁতের সাহায্য নিয়ে স্থায়ীভাবে বসানো হয়। যেমন একটি প্রথম মলার দাঁত
অনুপস্থিত থাকলে তার এক পাশের প্রিমলারের এবং অপর পাশের দ্বিতীয় মলারের
সাহায্য নিতে হয়। অর্থাৎ একটি অনুপস্থিত দাঁতের জন্য দুটি ক্রাউন বা
মুকুট তৈরি করা হয় এবং মাঝখানে কৃত্রিম স্থায়ী দাঁত তা ধরে রাখে।
স্থায়ী দাঁত প্রতিস্থাপনের পদ্ধতিও রয়েছে। এই পদ্ধতিতে অনুপস্থিত
দাঁতের স্থানের মাড়ি সরিয়ে হাড়ের ভেতরে অস্ত্রোপচার করে ইমপ্ল্যান্টের
ওপর একটি কৃত্রিম দাঁত স্থায়ীভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। এটি অনুপস্থিত
দাঁতের জন্য সর্বাধুনিক বিজ্ঞাসম্মত পদ্ধতি।

অধ্যাপক অরূপ রতন চৌধুরী
দন্ত বিভাগ, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ ও বারডেম হাসপাতাল
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ১৮, ২০১৩
- See more at: http://www.ebanglahealth.com/4703#sthash.o7nsN6Wk.dpuf

দাঁতের ফাঁকে বা ওপরে কালো কালো দাগ সুন্দর চেহারার বারোটা বাজিয়ে দেয়
অনেক সময়। অনেকে এই কালো দাগের জন্য প্রাণভরে হাসতেও ভয় পান। দাঁতের
ফাঁকে কালো দাগ নানা কারণে হতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো দন্তমল।
খাওয়ার পর বিভিন্ন খাদ্যকণা দাঁতের ফাঁকে বা মাড়িতে আটকে থাকে। দীর্ঘদিন
আটকে থাকার কারণে এর ওপর শক্ত আবরণ পড়ে, যা দন্তমলে পরিণত হয়। এ ছাড়া
ধূমপান, জর্দা, পান ও তামাক ব্যবহারে দাঁতে দাগ পড়ে।

দন্তমল কেবল দেখতে খারাপ নয়, এর ভেতরে জন্ম নেয় ও বেড়ে ওঠে অসংখ্য
জীবাণু। অনেক সময় এই জীবাণু রক্তে মিশে গিয়ে নানা বিপত্তির সৃষ্টি করতে
পারে, এমনিক গর্ভস্থ শিশুর ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে। এ ছাড়া মুখে
দুর্গন্ধ এবং বারবার মাড়ির প্রদাহের জন্যও এটি দায়ী।

দাঁত সুন্দর ও সাদা রাখতে কিছু বিষয়ে সচেতনতা দরকার।
 দিনে অন্তত দুবার ভালো করে বেশ কিছুক্ষণ ধরে দাঁত ব্রাশ করুন।
 ব্রাশ করার আগে ডেন্টাল ফ্লস বা সুতা দিয়ে দাঁতের ফাঁকগুলো পরিষ্কার ও
জীবাণুমুক্ত করুন।
 জীবাণু দূর করে এমন মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ কুলকুচি করুন রাতে।
 রোজ কোনো শক্ত ফল যেমন পেয়ারা, আমড়া, আপেল ইত্যাদি দাঁত দিয়ে কামড়ে
খান। তাজা শাক-সবজি যেমন গাজর, শসা, টমেটো, লেবু ইত্যাদিও দাঁত সুরক্ষার
জন্য ভালো।
 বছরে অন্তত দুবার দন্তমল দূর করার জন্য ডেন্টাল স্কেলিং করা উচিত।

২৮ অক্টোবর স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস। দিবসটি সামনে রেখে নারীরা তাঁদের
নানা রকম সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সেই সমস্যাগুলোর পরামর্শদিয়েছেন—পারভীন
শাহিদা আখতার, অধ্যাপক, মেডিকেল অনকোলজি, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা
ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মহাখালী, ঢাকা।

সমস্যা: আমার বয়স ৪২ বছর। আমেরিকাপ্রবাসী ছোট বোনের স্তনে টিউমার হয়েছিল।
তাই সব সময় ভয়ে থাকি। আমার নিজের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু শুনেছি,
পরিবারের কারও থাকলে এটি হতে পারে। আমার কি প্রতিবছর ম্যামোগ্রাফি করা
উচিত?
শায়লা, ধানমন্ডি, ঢাকা।
পরামর্শ: আপনার এত আশঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। পরিবারে কারও থাকলে যে স্তন
ক্যানসার হবেই, এমন কোনো কথা নেই। মাত্র ৭ শতাংশ রোগীর পারিবারিক ইতিহাস
থাকে, বাকিদের পরিবারে না থাকলেও হচ্ছে। তবে এটা ঠিক যে স্তন ক্যানসারের
কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর বা ঝুঁকি চিহ্নিত হয়েছে। এতে পরিবারে মা-খালা-বোনদের
ক্যানসারের ইতিহাস ছাড়াও আরও অনেক কিছু রয়েছে। যেমন—অল্প বয়সে মাসিক হওয়া
এবং দেরিতে বন্ধ হওয়া, বন্ধ্যত্ব, স্থূলতা, হরমোন ট্যাবলেট খাবার ইতিহাস
ইত্যাদি। এক বা একাধিক ঝুঁকি থেকে থাকলে একটু বাড়তি সচেতনতা দরকার বৈকি।
তবে আমাদের দেশে পাশ্চাত্যের মতো স্ক্রিনিং সিস্টেম এতটা উন্নত হয়নি।
পশ্চিমা দেশে ৪০ বছরের অধিক নারীদের এবং অস্ট্রেলিয়ায় ৫০ বছরের অধিক
নারীদের বার্ষিক ম্যামোগ্রাফি করার বন্দোবস্ত আছে। আমাদের পরিপ্রেক্ষিতে
বলব, আপনি প্রতি মাসে একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে পরীক্ষা করার
অভ্যাস করুন। বছরে একবার একজন চিকিৎসকের হাতে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা
সম্পন্ন করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনে ম্যামোগ্রাফি বা
অন্য কোনো ইমেজিংয়ের সাহায্য নিন। মনে রাখবেন, ম্যামোগ্রাফি স্তন
ক্যানসারের একমাত্র ও সন্দেহাতীত পরীক্ষা নয়। আর সে জন্যই হাত দিয়ে
পরীক্ষা করার কোনো বিকল্প নেই।

সমস্যা: আমার বয়স ২৪ বছর। আমি অবিবাহিত। মাসিকের আগে-পরে স্তনে ব্যথা
অনুভূত হয় এবং ভার ভার লাগে। এটা কি কোনো খারাপ লক্ষণ?
কুইনি, মুন্সিগঞ্জ।
পরামর্শ: শুধু স্তনে ব্যথা স্তন ক্যানসারের কোনো গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ নয়।
ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রোগ শনাক্তকরণের সময় মাত্র ১ দশমিক
২ থেকে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ রোগীর স্তনে ব্যথা থাকে। অপরদিকে ৫০ থেকে ৭০
শতাংশ নারী জীবনে কোনো না কোনো সময় নানা কারণে স্তনে ব্যথা অনুভব করতে
পারেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এর কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। ঋতুবতী নারীর
সাইক্লিক্যাল ব্যথা হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। হরমোনের প্রভাবে
স্তন এই সময় স্ফীত হয়, দুই স্তনেই ব্যথা করে এবং ব্যথার স্থানটি
নির্দিষ্ট করা যায় না। এইচআরটি বা জন্মনিয়ন্ত্র্রণ বড়ির কারণেও এ রকম
ব্যথা হতে পারে। মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরে হরমোনের তারতম্য হয়
এবং এ ধরনের ব্যথা হয়। কাজেই সাইক্লিক্যাল এই স্তন ব্যথা নিয়ে আদতে খুব
দুশ্চিন্তার কিছু নেই যদি না অন্য কোনো উপসর্গ, যেমন—চাকা, পিণ্ড,
বৃন্তের কোনো অস্বাভাবিকতা, ক্ষত বা তরল নিঃসৃত হওয়া ইত্যাদি সঙ্গে থাকে।

সমস্যা: আমার মেয়ে কলেজে পড়ার সময় তার বাঁ স্তনে একটা ছোট্ট দানা হয়।
চিকিৎসক বলেন, এটি ফাইব্রোএডিনোমা এবং এর চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। এমনিতেই
চলে যাবে। তিন বছর পর বর্তমানে এটি ছাড়াও ডান দিকে আরও দুটি ছোট্ট দানা
হয়েছে। এ নিয়ে আমরা খুবই শঙ্কিত। আমরা কী করতে পারি?
তাহমিনা বেগম, ঝিকাতলা, ঢাকা।
পরামর্শ: ফাইব্রোএডিনোমা দুই দিকেই হতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদিও হতে পারে।
এটি স্তনে এমন একটি সলিড টিউমার, যা থেকে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা প্রায়
নেই বললেই চলে। তা ছাড়া আপনার মেয়ের বয়সটাও তো স্তন ক্যানসারের উপযোগী
নয়, যদিও অল্প বয়সে যে এটি একেবারেই হয় না তা নয়। দানাগুলো যদি অনেক বড়
হয় এবং অসুবিধার সৃষ্টি করে, তবে সার্জারির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
অন্যথায় তিন বছর পর পর আলট্রাসনোগ্রাফি করে বা পরীক্ষা চালিয়ে যেতে হবে।
তবে মনে রাখবেন, ৪০ বছরের আগে অকারণে ম্যামোগ্রাফি করা উচিত নয়।

সমস্যা: স্তনে টিউমার হাতে ধরা পড়ার আগেই নাকি অনেকখানি ছড়িয়ে যায়। আগে
থেকেই বোঝার কি কোনো উপায় নেই যে আমরা সুস্থ আছি এবং ক্যানসারের কোনো
আশঙ্কা নেই?
জিনিয়া, চট্টগ্রাম।
পরামর্শ: ক্যানসার কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে তা নির্ভর করে তার স্বভাবের ওপর।
যেমন, ইনভেসিভ ডাকটাল কারসিনোমা যত দ্রুত ছড়ায়, অন্যরা তত দ্রুত না-ও
ছড়াতে পারে। তবে চাকা হাতে ধরার আগেই শনাক্ত করার জন্য খুব কার্যকর ও
দক্ষ স্ক্রিনিং সিস্টেম দরকার। এ জন্য টেকনোগ্রাফার থেকে শুরু করে
রেডিওলজিস্ট ও ক্লিনিসিয়ান—সবাইকেই যথাযথভাবে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত হতে হবে।
স্ক্রিনিংয়ের জন্য প্রতি মাসে নিজেকে নিজে পরীক্ষা করা, বছরে একবার
চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা করানো এবং প্রয়োজনবোধে ৪০ বছরের ঊর্ধ্ব নারীদের
বছরে একবার ইমেজিং, যেমন—ম্যামোগ্রাফি, আলট্রাসাউন্ড, এমআরআই, এমআর
ম্যামোগ্রাফি ইত্যাদির সাহায্য নেওয়া যায়।

সমস্যা: স্তন ক্যানসারের সম্পূর্ণ চিকিৎসা বাংলাদেশে কি সম্ভব?
সাহানা হক, খিলগাঁও, ঢাকা।
পরামর্শ: স্তন ক্যানসার হচ্ছে সব ক্যানসারের মধ্যে এমন একটি ক্যানসার, যা
সঠিক সময়ে ধরা পড়লে এবং সঠিক চিকিৎসা করলে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা
সম্ভব। সুখের বিষয় যে রোগ শনাক্তকরণ থেকে শুরু করে এর চিকিৎসা ও যথাযথ
মনিটরিং বা ফলোআপ—সবই বাংলাদেশে সম্ভব এবং সুলভ হয়েছে। রোগনির্ণয়ের জন্য
ম্যামোগ্রাফি, এমআর ম্যামোগ্রাফি, বিশেষ আলট্রাসাউন্ড, এমআরআই এমনকি পেট
সিটি স্ক্যান পর্যন্ত—সবই বাংলাদেশে হচ্ছে। শুধু স্তন টিউমার সার্জারি
করেন এমন বিশেষজ্ঞ সার্জনরাও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ শেষে বিভিন্ন হাসপাতালে
সেবা দিচ্ছেন। আর সার্জারি-পরবর্তী চিকিৎসা, যেমন—কেমো ও রেডিওথেরাপিও
সুলভ। দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মহাখালী জাতীয় ক্যানসার
গবেষণা ইনস্টিটিউট সব শ্রেণীর রোগীর জন্য সুলভে এসব চিকিৎসাসেবা দিয়ে
যাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালও এ বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছে।


সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো,

ফোড়া হলো ত্বক এবং এর নিচের অংশে সংক্রমণের কারণে তৈরি জমা পুঁজ। শরীরে
এখানে-ওখানে অনেকের ফোড়া হতে দেখা যায়, বিশেষ করে শিশুদের।

ত্বকের নিচে প্রথমে সংক্রমণ হয়, চারপাশের ত্বক লালচে বা গোলাপি হয়ে
ওঠে, ব্যথা হয় এবং স্পর্শেই ব্যথা বাড়ে। পরে এই ফুলে ওঠা লালচে বা
বাদামি বিষফোড়ার মধ্যে হলদে বা সাদাটে রঙের পুঁজ জমে, তখন একে চিকিৎসার
ভাষায় অ্যাবসেস বলে।

ফোড়া যদি হয়…

১ : জীবাণুনাশক সাবান দিয়ে আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার করুন।
২: একটা পরিষ্কার কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে, চিপে নিয়ে হালকাভাবে ফোড়ার
ওপর চেপে ধরলে ফোড়াটি গলে যেতে পারে।

৩: জীবাণুনাশক মলম ফোড়ার ওপর এবং চারপাশে লাগিয়ে নিন।

৪ : জোর করে নিজেই ফোড়া গলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। কেননা সে
ক্ষেত্রে সংক্রমণ আশপাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। একটা সাধারণ বিষফোড়া
সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিনের মাথায় নিজেই গলে যায়। গলে যাওয়ার পর একটা
উষ্ণ, পরিষ্কার কাপড়ের খণ্ড বা তুলা বা গজ দিয়ে চেপে ধরে পুঁজ বের করে
আনুন। এবার অ্যান্টিবায়োটিক মলম হালকাভাবে লাগিয়ে শিথিল ব্যান্ডেজ
দিয়ে ঢেকে দিন।

৫: ফোড়া ধরার পর হাত ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নেবেন।
ব্যবহার্য টাওয়েল, পোশাক-আশাক, বিছানার চাদর ইত্যাদি গরম পানিতে ধুয়ে
ইস্ত্রি করে নেবেন, যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়।

৬: যদি প্রায়ই মুখে-গালে ফোড়া হয়, তবে দাড়ি কামানোর পর
অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ব্যবহার করুন।

কখন চিকিৎসককে দেখাবেন?

বারবার এবং একসঙ্গে অনেক ফোড়া হলে বা জ্বর থাকলে এবং ডায়াবেটিস বা জটিল
কোনো রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফোড়া হলে অ্যান্টিবায়োটিক
সেবনের আগে পুঁজ বের করে নিতে হয়।

আমাদের দিন শুরু ও শেষ হয় দাঁত ব্রাশ করা দিয়ে। অথচ অনেকেই হয়তো জানেন না
দাঁত ব্রাশ করার সঠিক নিয়মকানুন; বিশেষ করে আপনি নিজেই যদি না জেনে
থাকেন, তবে বাড়ির শিশুটিকে শেখাতেও পারবেন না। আর সঠিক নিয়মে ব্রাশ না
করলে লেগে থাকবে দাঁত ও মুখের নানা সমস্যা। তাই জেনে নিন কীভাবে দাঁত
ব্রাশ করা উচিত।

১: প্রথম কথা হচ্ছে টুথব্রাশ বাছাই করা। ভালো মানের টুথব্রাশ ব্যবহার
করুন, যার শলাকাগুলো বেশি শক্ত বা বেশি নরম নয়। ছোটদের জন্য ছোট আকারের
ব্রাশ দরকার, যা ওদের মুখে সহজে আঁটে।
২: পরিমিত মাত্রায় পেস্ট নিয়ে সকালে নাশতার পরে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে
দাঁত ব্রাশ করুন। সম্ভব হলে ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।
শিশুদের জন্য কম ঝাঁজাল টুথপেস্ট বেছে নিন।
৩: ব্রাশের শলাকাগুলো দাঁতের সঙ্গে ৪৫ ডিগ্রি কোনাকুনিভাবে ধরে ওপর পাটির
দাঁত ওপর থেকে নিচে এবং নিচের পাটির দাঁত নিচ থেকে ওপরে ব্রাশ করুন।
৪: দাঁতের ভেতরে ও বাইরের অংশে সমান সময় নিয়ে ব্রাশ করুন। তাড়াহুড়া করবেন
না। কমপক্ষে দুই মিনিট সময় নিয়ে ব্রাশ করুন।
৫: তিন মাস অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত। দীর্ঘদিন ব্যবহারে ব্রাশের
শলাকাগুলো বাঁকা হয়ে গেলে তা পরিবর্তন করতে হবে।
৬ : দিনে কম পক্ষে দুবার ব্রাশ করার পাশাপাশি অন্য সময় চকলেট কিংবা
মিষ্টিজাতীয় আঠালো খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দাঁত ব্রাশ করুন।
যা করা উচিত নয়
৭: অতিরিক্ত দীর্ঘ সময় নিয়ে দাঁত ব্রাশ করার প্রয়োজন নেই। বেশি জোরে ও
দ্রুত ব্রাশ করা থেকেও বিরত থাকুন। ব্রাশের আঘাতে যেন মুখগহ্বরের ভেতের
ঝিল্লির পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
৮:সামনে-পিছে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের গোড়া ক্ষয়ে যেতে পারে। ওপর-নিচে ব্রাশ করুন।
৯: টকজাতীয় খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাঁত ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকুন।

কীভাবে দাঁত ব্রাশ করবেন?
১: ওপরের পাটি
মাড়ির নিচের অংশ পর্যন্ত পরিষ্কার করতে প্রতিটি দাঁতের আশপাশে ব্রাশ পৌঁছে দিন।
২: নিচের পাটি
মাড়ির নিচের অংশ পর্যন্ত পরিষ্কার করতে প্রতিটি দাঁতের আশপাশে ব্রাশ করুন।
৩: দাঁতের ওপরের অংশ
পেছনের দাঁতের ওপর-নিচ সবখানে ব্রাশ করুন।
৪: দাঁতের বাইরের অংশ
এক প্রান্ত থেকে শুরু করে অপর প্রান্ত পর্যন্ত অথবা ওপর থেকে নিচের দিকে
ব্রাশ করুন।
ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করতে এক থেকে দুই মিনিট সময় নিন।
অল্প পরিমাণে ফ্লুরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করুন এবং একটি ছোট ও নরম ব্রাশ বেছে নিন।

শিশুদের ছোটবেলা থেকেই সঠিক নিয়মে ব্রাশ করা শেখানো অভিভাবকের দায়িত্ব।
দাঁতের সুস্বাস্থ্যের জন্য শিশুদের মাছের কাঁটা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে
তুলুন।

সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো,

অনেক মহিলা গর্ভধারণ এড়াতে অধিকাংশ নারী জন্মবিরতিকরণ পিল ব্যবহার করেন।
কিন্তু কিছু নিয়ম-কানুন সঠিক ভাবে না মানার কারণে গর্ভধারণ করে।
নিম্নে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো তুরে ধরা হলো :

১. নিয়মিত পিল না খাওয়া : নিয়মমতো পিল না খেলে এটি কাজ করবে না। অন্যান্য
হরমোন কন্ট্রাসেপ্টিভের মতোই এসব পিল নারী দেহের সংশ্লিষ্ট হরমোনের
মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অধিকংশ পিল এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টিন হরমোনের সমন্বয়ে
কাজ করে। পিল নিয়মিত না খেলে এসব হরমোনের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে নারীর
ডিম্বাশয় আগের মতোই উর্বর হয়ে ওঠে বলে জানান ইউনিভার্সিটি অব
ক্যালিফোর্নিয়ার গাইনেকোলজির প্রফেসর ফিলিপ ডার্নে।

২. সময়মতো পিল না খাওয়া : বিজ্ঞানীরা ওরাল হরমোন ডোজকে নিরাপদ করতে
গবেষণা চালিয়েছেন। প্রোজেস্টরেন-এস্ট্রোজেন পিলের কার্যকারিতা পেতে হলে ৬
ঘণ্টা থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবহার করতে হবে। প্রোজেস্টরেন পিল ব্যবহার
করতে হবে প্রতিদিনের ভিত্তিতে। একদিন বাদ পড়লে দেহে হরমোনের মাত্রা কমে
যেতে পারে বলে জানান প্ল্যান্ড প্যারেন্টহুড অব আমেরিকার ভাইস
প্রেসিডেন্ট ভেনেসা কুলিনস।

৩. বিশেষ চিকিৎসা অবস্থায় : কিছু বিশেষ চিকিৎসাপদ্ধতির জন্য এসব পিল কাজ করে না।
যেমন- টিউবারকুলোসিসের জন্য রিফাডিন চিকিৎসা, গ্রিসেওফালভিনের জন্য
অ্যান্টি-ফানগাল ড্রাগ ইত্যাদির ক্ষেত্রে পিল কার্যকারিতা দেখাতে পারে
না। তাই চিকিৎসকদের এসব ওষুধ নেওয়ার ক্ষেত্রে পিলের বিষয়ে পরামর্শ দিতে
হবে।

৪. হার্বাল সাপ্লিমেন্ট : যেকোনো হার্বাল সাপ্লিমেন্টের কারণে গর্ভনিরোধক
পিলের কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে। এ জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিশেষ ওষুধ ও হার্বাল সাপ্লিমেন্টের কারণে গর্ভনিরোধনে ব্যাকআপ ব্যবস্থার
কথাও বলেন বিশেষজ্ঞরা।

Thursday, July 31, 2014

পুরুষের যৌনবিষয়ক নানা প্রশ্ন মনে আসে, সেসবের কিছু প্রশ্ন ও
উত্তর নিচে তুলে ধরা হলো।

প্রশ্নঃ কি করে প্রথম হস্তমৈথুন বিষয়ে ধারণা পায়?

উত্তরঃ শিশু বয়সে লিঙ্গ নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু হয়। তখন সে দেখতে পায়
নাড়াচাড়া করলে লিঙ্গ শক্ত হয়। বয়ঃসন্ধিকালে নাড়াচাড়া করার সময় হঠাৎ
বীর্যপাত হয়। এটা বিস্ময়ের জন্ম দেয়। বীর্যপাতে সুখানুভূতি হয়। পরবর্তীতে
হঠাৎ পাওয়া জিনিসটাকে সে নিজের ইচ্ছাধীন করে ফেলে এবং ইচ্ছামতো বীর্যপাত
ঘটায়।

প্রশ্নঃ আমি যখন হস্তমৈথুন করি তখন বীর্য গড়িয়ে গড়িয়ে বের হয়। ৪-৫ ফোঁটা
বের হয়। এটা কি কোনো সমস্যা?

উত্তরঃ এভাবে বীর্যপাত অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে যদি মনে হয় লিঙ্গে কোথাও
বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে সে ক্ষেত্রে ডাক্তার দেখানো ভালো। বীর্যের পরিমাণ
বিভিন্ন রকম হয়, সাধারণত এটা ১ চা চামচের মতো। তবে কারো কারো এর বেশি বা
কম থাকতে পারে।

প্রশ্নঃ লিঙ্গের গোড়ার চুল শেভ করে ফেলে দিলে আবার গজাতে কতদিন লাগে? আমি
লক্ষ্য করছি হস্তমৈথুন শুরু করার পর থেকে আমার লিঙ্গের গোড়ায় চুল কমে
যাচ্ছে।

উত্তরঃ চুল আবার গজাতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যায়। হস্তমৈথুন করলে ওই চুল পড়ে
যায় না। একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো। অন্য কোনো রোগের কারণে চুল
পড়ে যাচ্ছে কি না তিনি নির্ণয় করতে সাহায্য করবেন।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ২২ বছর। আমি যৌনসঙ্গম করিনি এর আগে। তবে বর্তমানে সঙ্গম
করার পর আমার লিঙ্গ খুব ছোট হয়ে যায়। লিঙ্গ বড় ও দীর্ঘ করার জন্য কোনো
রকম ব্যায়াম আছে কি না। আমি কোনো ওষুধ বা পিল ব্যবহার করতে চাই না।

উত্তরঃ ভয় পাবেন না। এটাই স্বাভাবিক। এর জন্য কোনো ওষুধ, পিল বা
ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই।

প্রশ্নঃ লিঙ্গ কতটা চওড়া হওয়া উচিত?

উত্তরঃ এ বিষয়টি নিয়ে বিশেষ কোনো গবেষণা হয়নি। ফলে লিঙ্গের পরিধি কতটা
হলে স্বাভাবিক তা বলা হয়নি কোথাও। যেহেতু লিঙ্গের পরিধির মাপ সঠিক হয় না
এবং লিঙ্গের বিভিন্ন স্থানে এর মাপ বিভিন্ন রকম তাই এ নিয়ে যা কিছু বলা
হয়েছে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়।

প্রশ্নঃ আমার মুসলমানি করা হয়নি। লিঙ্গ যখন শক্ত হয় তখন লিঙ্গ মুণ্ডের
চামড়া আমি টেনে পেছনে আনতে পারি না, এটা কি কোনো সমস্যা?

উত্তরঃ চিন্তা করার মতো কিছু নয়। চামড়াটা ধীরে ধীরে গোড়ার দিকে টানতে
টানতে একসময় পুরোপুরি পেছনে চলে আসবে। তবে খুব জোরাজুরি করলে রক্ত পড়বে
এবং ব্যথা করবে। সুতরাং জোরাজুরি না করাই ভালো। তবে Phimosis নামে একটা
অসুখ আছে যে ক্ষেত্রে ওই চামড়া পেছনে আসে না। তখন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ
করা ভালো।

প্রশ্নঃ যখনই আমি রোমান্টিক অনুভূতি পাই তখনই আমার লিঙ্গ শক্ত হয়। আমি
যৌনসঙ্গম করিনি এখনো, তাহলে এর অর্থ কি?

উত্তরঃ কোনো রোমান্টিক কিছু চিন্তা করলে লিঙ্গ শক্ত হবে এটাই স্বাভাবিক।
সুস্থ স্বাভাবিক পুরুষ হলে এটাই স্বাভাবিকভাবে হয়।

প্রশ্নঃ মানুষের সামনে হস্তমৈথুন করলে আমি চরম উত্তেজনা অনুভব করি। আমার
মধ্যে পরপর ওই স্বভাবটা খুব বেড়ে যাচ্ছে। আমার কেন এরকম হচ্ছে। আমি কোনো
সমস্যায় ভুগছি?

উত্তরঃ Exibitionism নামে একটা অসুখ আছে যে অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তি তার
নিজের গোপন অঙ্গ অন্য মানুষকে দেখানোর মধ্যে তীব্র আনন্দ খুঁজে পায়। এটি
Paraphilia নামেও অভিহিত। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো।

প্রশ্নঃ আমি পুরুষ সমকামী। কিন্তু আমি স্বাভাবিক হতে চাই, কিভাবে হতে পারি?

উত্তরঃ মনের বর্ধন অভিজ্ঞতা, অপরের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক ইত্যাদির ওপর
নির্ভর করে যৌন স্বভাব গড়ে ওঠে। কার যৌন স্বভাব কী হবে তা ঠিক তাই বলা
যায় না। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভালো।

প্রশ্নঃ আমি আমার বুকে নিয়ে যৌন কল্পনা করি। এটার মানে কি আমি সমকামী?

উত্তরঃ সবসময় তা নয়। চিন্তা করলেই সমকামী হয় না।

প্রশ্নঃ 'ডুশ ব্যাগ' কি জিনিস?

উত্তরঃ যোনিপথের ময়লা পরিষকারের সময় ডুশ দেয়ার পর যে ময়লা পদার্থ বের হয়
তা সংগ্রহ করার জন্য যে ব্যাগ রাখা হয় তাকে ডুশ ব্যাগ বলে। তবে অল্পবয়স্ক
ছেলেরা একে অন্যকে গালি দেয়ার জন্য শব্দটা ব্যবহার করে থাকে।

প্রশ্নঃ যৌনসঙ্গমের সময় আমার বাবী যখন ওপরে থাকে তখন তার যোনি থেকে আধা
কাপ থেকে এক কাপ পরিমাণ রসক্ষরণ হয়। এটার মানে কি সে খুব উপভোগ করছে?
নাকি বীর্যপাত?

উত্তরঃ হ্যাঁ, যৌনসঙ্গমের সময় রসক্ষরণ হয় বা ইজাকুলেশন হয়।

প্রশ্নঃ একটা মেয়ে 'WET' বলতে কী বোঝানো হয়?

উত্তরঃ যৌন উত্তেজনা হলে মেয়েদের যোনিপথে রসক্ষরণ হয়। এটা সঙ্গমকে সহজতর
করে- যোনিপথ পিচ্ছিল করে।

পুরুষ শরীর ও লিঙ্গবিষয়ক প্রশ্ন

প্রশ্নঃ আমি গত ৩ সপ্তাহে হস্তমৈথুন করিনি। আমি যখন বাবীর সাথে সঙ্গম করি
তখন প্রচুর পরিমাণে বীর্য বের হয় এবং আমার খুব ভালো লাগে। দীর্ঘদিন
বীর্যপাত না হলে কি এমন হয়?

উত্তরঃ হ্যাঁ। তবে নির্দিষ্ট সময় পরে অতিরিক্ত বীর্য শরীরের ভেতরেই
নিষিক্রয় ও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এটাই স্বাভাবিক শারীরিক ঘটনা।

প্রশ্নঃ আমি কয়েক সপ্তাহ ধরে হস্তমৈথুন করিনি। আমরা কাল বাচ্চা নেয়ার
চেষ্টা করব। কোন ভঙ্গিতে যৌনসঙ্গম করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বীর্য ধরে রেখে পরে সঙ্গম করলে কি গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে?

উত্তরঃ পূর্ণ মাত্রায় বীর্য তৈরি হতে ২৪-৭২ ঘণ্টা সময় লাগে। যে কোনো
ভঙ্গিতে সঙ্গম করলেই হয়। তবে যদি গর্ভবতী না হন এবং বারে বারে এরকমই হতে
থাকে সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ২১ বছর। সপ্তাহে ১ বার আমি হস্তমৈথুন করি। আমার ডান
দিকের অণ্ডকোষ বেশি নিচে ঝুলে পড়ে ও বেশ বড়। এটা কি স্বাভাবিক?

উত্তরঃ অণ্ডকোষ দুটোর একটি বড় হয়। একটি অণ্ডকোষ অন্যটি থেকে নিচের দিকে
থাকে। এটা স্বাভাবিক।

প্রশ্নঃ আমার সারা শরীরে লোমে ঢাকা। আমার বুদের মধ্যে এমন কারো নেই। এটা
কি কোনো সমস্যা?

উত্তরঃ কার শরীরে কতটা লোম হবে তা বংশগত। লোম বেশি হলে যদি সমস্যা হয়
সেক্ষেত্রে লোম তুলে ফেলার ক্রিম ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

প্রশ্নঃ আমার এক পরিচিত ব্যক্তির Vas deferens (শুক্রনালী) নামের নলটি
নেই, রোগটি ধরা পড়েছে। এ বিষয়ে কিছু জানতে চাই।

উত্তরঃ Vas deferens বা শুক্রনালী থাকে না রোগটা একেবারেই দেখা যায় না-
তবে হতে পারে। কারো কারো হাত হয় না, পা হয় না বা কিডনি ত্রুটিযুক্ত হয়, এ
ব্যাপারটাও সেরকমই।

প্রশ্নঃ ঠাণ্ডা পানির সপর্শে লিঙ্গ কি শক্ত হতে পারে?

উত্তরঃ ধরাবাঁধা তেমন কোনো নিয়ম নেই। তবে লিঙ্গ শক্ত হতে পারে এমন কোনো
চিন্তা সপর্শ ঘটলেই লিঙ্গ শক্ত হয়।

প্রশ্নঃ স্বপ্নদোষ কি আমার জানা নেই। আমার বয়স ৩২। এটা কেমন জানতে ইচ্ছে করে।

উত্তরঃ সাধারণত এ বয়সে পৌঁছানোর আগেই স্বপ্নদোষ শুরু হয়। আপনার হয়তো
স্বপ্নদোষ হয়েছে, আপনি বুঝতে পারেননি। বীর্যপাত হয়তো হয়েছে কিন্তু
বোঝেননি, কাপড়ে শুকিয়ে গেছে। সাধারণত এর জন্য কাপড়ে দাগ হতেও পারে, নাও
হতে পারে।

প্রশ্নঃ আমার একটি অণ্ডকোষ সঠিকভাবে নিচে নামেনি, কী করা উচিত? আমার
বীর্যপাত হচ্ছে।

উত্তরঃ এ বিষয়ে শল্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ ঘটনাটা স্বাভাবিক নয়।
এটিকে উপেক্ষা করা ঠিক না।

প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ মুণ্ডের ওপরে খয়েরি রঙের একটা ছাপ আছে। এটা অনেকদিন
থেকে আছে। জ্বালাপোড়া বা ব্যথা করে না। এটা কি জন্ম দাগ হতে পারে।

উত্তরঃ হ্যাঁ। জন্ম দাগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

প্রশ্নঃ প্রস্টেট মালিশ 'Prostatate massage' এর গুরুত্ব কি? কতবার
কিভাবে এটা করা উচিত।

উত্তরঃ এটা করতেই হবে এমন কোনো বিষয় নয়। অনেকে যৌনসঙ্গমের সময় এটা করে
থাকে। এর কোনো প্রয়োজন নেই। তবে কোনো কোনো অসুখে এটা করা হয় যেমন-
ক্যান্সার বা বড় প্রস্টেটের ক্ষেত্রে। ডাক্তাররা এটা করে থাকেন। খুব অল্প
সময় লাগে এতে।

প্রশ্নঃ আমার মুসলমানি হয়নি। লিঙ্গের চামড়া পেছনে পুরোপুরি টানলে গোড়ার
দিকে সাদা সাদা জমাট বাঁধা দলা দেখতে পাই। ধোয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু
তবুও ওগুলো সরে না। কী করব? আমি হস্তমৈথুন করি।

উত্তরঃ চামড়ার নিচে সাদা সাদা জিনিস স্বাভাবিকভাবে জমে, একে Smegma বলে।
হস্তমৈথুন করলে এটা হয় না। ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।

প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ আছে কিন্তু অণ্ডকোষ নেই। কী করা উচিত?

উত্তরঃ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো।

প্রশ্নঃ আমার বয়স সাড়ে পনেরো বছর। আমার বগলে চুল গজায়নি, লিঙ্গের গোড়ায়
চুল গজায়নি। আমার অণ্ডকোষ নেমে আসেনি। এ অবস্থায় কোনো মেয়ের সাথে সঙ্গম
করলে কি সমস্যা হবে? আমার কী করা উচিত।

উত্তরঃ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ শক্ত হলে উঁচু হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে আমার মুখের দিকে। অনেক
চেষ্টা করেছি নিচে নামানোর- নামে না। অনেকে বলে এরকম হলে সঙ্গম সম্ভব হয়
না। আমার কি অপারেশন দরকার?

উত্তরঃ না। শক্ত হলে লিঙ্গ কখনো ঊর্ধ্বমুখী হয়, কখনো আনুভূমিক
(Horizontal) হয়। কখনো নিম্নমুখী হয়। কখনো ডানে বা বামে বেঁকে যায়। এসবই
স্বাভাবিক অবস্থায়। কোনো রোগ নয় এবং এতে সঙ্গমে কোনো সমস্যা হয় না।
লিঙ্গের অবস্থান ও আকার অনুযায়ী সঙ্গমের পজিশন ঠিক করে নিতে হয়।

প্রশ্নঃ আমার ডান অণ্ডকোষ বামটি থেকে দ্বিগুণ বড়। এটা ছোট করা যায় কিনা।

উত্তরঃ সত্যি সত্যিই দ্বিগুণ বড় হলে ডাক্তার দেখানো উচিত।

প্রশ্নঃ আমার প্রস্টেটাইটিস রোগ ধরা পড়েছে। সিপ্রোফ্লক্সাসিন ও
আইবুপ্রফেন দিয়ে চিকিৎসা করেছি। কিন্তু লক্ষ্য করছি আমার বীর্য খুব আঠালো
এবং দ্রুত স্খলন হয়ে যাচ্ছে। এটা কি শারীরিক না মানসিক সমস্যা?

উত্তরঃ ডাক্তার আপনাকে সাহায্য করতে পারেন এ ক্ষেত্রে। প্রস্টেট
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

প্রশ্নঃ হস্তমৈথুন করলে কি অণ্ডকোষ ঝুলে পড়ে?

উত্তরঃ না।

প্রশ্নঃ দ্রুত স্খলন কি মানসিক সমস্যা না শারীরিক সমস্যা।

উত্তরঃ দুটোই হতে পারে। মানসিক চিকিৎসায় সমাধান না হলে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা
করে দেখা যেতে পারে।

প্রশ্নঃ যৌনসঙ্গমের সময় আমার অদ্ভুত একটা অভিজ্ঞতা হচ্ছে। সঙ্গমের সময়
আমি বীর্যপাতের সুখ অনুভব করি কিন্তু বীর্যপাত হয় না। প্রায় সবসময়ই হয়
না, তবে এখন খুব ঘন ঘন হচ্ছে।

উত্তরঃ যদি বারেবারে এমন হয় ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তবে কেউ কেউ ইচ্ছা
করে লিঙ্গ মুণ্ড বা লিঙ্গের নিচের মূত্রনালী চেপে ধরে রাখে যাতে বীর্য না
বেরিয়ে আসে।

প্রশ্নঃ বারে বারে অত্যধিক হস্তমৈথুন করার পর আমার অণ্ডকোষ ঝুলে পড়েছে
এবং ওইভাবেই ঝুলে আছে। ঘটনাটা কি?

উত্তরঃ অণ্ডকোষ ঝুলেই থাকে কখনো কখনো খুব বেশি। এটা স্বাভাবিক। যত বয়স
বাড়ে ততই তা ঝুলে পড়ে। অল্প বয়সে অণ্ডকোষ উপরে থাকে, খুব কম ঝোলে।

প্রশ্নঃ একবার বীর্যপাতের কতক্ষণ পর লিঙ্গ আবার শক্ত হয় ও সঙ্গমের জন্য তৈরি হয়?

উত্তরঃ যত বার বীর্যপাত হয় তার প্রতিবারেই লিঙ্গ শক্ত হওয়ার সময়টা বাড়তে
থাকে। তবে ১০ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট লাগে আবার শক্ত হতে। কারো কারো ২৪
গণ্টা লাগে।

প্রশ্নঃ আমার স্বামীর বয়স ২৭। ২ বছর ধরে চেষ্টা করছি গর্ভবতী হওয়ার জন্য
কিন্তু পারিনি। তার কি শুক্রাণু সমস্যা আছে?

উত্তরঃ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। শুক্রাণুর সংখ্যা
ঠিক আছে না আপনার সমস্যা আছে এটা জানা যাবে।

প্রশ্নঃ 'Viagra' কি?

উত্তরঃ ভায়াগ্রা একটা ওষুধ। যে লিঙ্গ শক্ত হয় না ভায়াগ্রা দিয়ে তা শক্ত
করা হয়। এটাকে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন বলে। পূর্ণ তৃপ্তিদায়ক সঙ্গম করতে
লিঙ্গ যথেষ্ট দীর্ঘ সময় ধরে শক্ত থাকার প্রয়োজন হয়- যদি তা না হয় তাকে
ইরেক্টাইল ডিসফাংশন বলে।

প্রশ্নঃ 'Levitra' কি?

উত্তরঃ এটিও ভায়াগ্রার মতো অন্য একটা ওষুধ। ইরেক্টাইল ডিসফাংশন চিকিৎসায়
এটি ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্নঃ আমার অণ্ডকোষ ১টি। আমি সন্তানের জন্ম দিতে পারব?

উত্তরঃ হ্যাঁ, একটি অণ্ডকোষ থাকলেও সন্তান জন্ম দেয়া যায়।

প্রশ্নঃ কতদিন হস্তমৈথুন না করলে 'blue balls' বা অণ্ডকোষ ব্যথা হয়।

উত্তরঃ ব্লু বল হলো অণ্ডকোষ ও তলপেটের ব্যথা যা হস্তমৈথুন না করলে হয়।
এটার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। বিভিন্ন সময়ে এটা হতে পারে। তবে হলেও
এটা বেশিদিন থাকে না- স্বপ্নদোষের মাধ্যমে শরীর একে ঠিক করে।

প্রশ্নঃ আমার মুসলমানি হয়নি। লিঙ্গ শক্ত হলে লিঙ্গ মুণ্ডের চামড়া পেছনে
গুটিয়ে আনা যায় না কিন্তু নরম হলে আগে কী করে আমি আনব?

উত্তরঃ শক্ত থাকা অবস্থায় ধীরে ধীরে গোড়ার দিকে টানুন, আস্তে পুরো
চামড়াটা গুটিয়ে আসবে।

প্রশ্নঃ হস্তমৈথুনের সময় আমার ডান অণ্ডকোষ ব্যথা করে। ডান কোষটি বেশ নিচে
ঝুলে থাকে, এটা কি কোনো অসুখ।

উত্তরঃ অণ্ডকোষ একটা একটু নিচে থাকে। ব্যথার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

প্রশ্নঃ জেগে থাকা অবস্থায় কোনো রকম যৌন উত্তেজনাকর জিনিসের কথা চিন্তা
না করলে কি বীর্যপাত হয়?

উত্তরঃ হতে পারে একে Spontaneous ejaculation বলে। খুব বড় গাড়ি দুর্ঘটনার
পর অনেকদিন বীর্যপাত না হলে সবঃযধসঢ়যবঃধসরহব খেলে মাদকসেবীদের চিকিৎসার
সময় এরকম হতে পারে।

প্রশ্নঃ আমার স্বামীর লিঙ্গ শক্ত হয় কিন্তু বীর্যপাত হয় না। কারণ কি?

উত্তরঃ মানসিক কারণ বা শারীরিক কারণ হতে পারে। তবে চেষ্টা ও মনোনিবেশ
করলে বীর্যপাত হয়।

প্রশ্নঃ আমার কপালের দুপাশ থেকে চুল পড়ে যাচ্ছে। ঠিক টাক যাকে বলে তা
হচ্ছে না। আমার মনে হয় মেয়েরা আমাকে অপছন্দ করবে, প্রতিকার কি?

উত্তরঃ নানা কারণে চুল পড়ে। স্কিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অনেক মেয়ে টাক
পছন্দ করে-তারা মনে করে বুদ্ধিমান, জ্ঞানী ও সৌভাগ্যবানদের টাক হয়।
চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই।

প্রশ্নঃ হস্তমৈথুনের সময় কি বীর্য নতুন করে তৈরি হতে থাকে?

উত্তরঃ হস্তমৈথুনের সময় বিশেষ আয়োজন করে শরীর বীর্যরস বা বীর্য তৈরি করে না।

প্রশ্নঃ হস্তমৈথুন কি প্রস্টেট গ্রন্থির জন্য ভালো? বীর্যপাত ঘটলে কি
এইচআইভি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়? বীর্যপাতে অধিক বীর্যক্ষয় হলে কি
ক্ষতির কারণ। বীর্য খেলে কী হয়?

উত্তরঃ বীর্যপাত প্রস্টেট গ্রন্থির জন্য ভালো। বীর্যক্ষয় করা যায় না কারণ
শরীরে সবসময় বীর্য তৈরি হয়। বীর্য ও এইচআইভি জীবাণুর মধ্যে কোনো সম্পর্ক
নেই। দৈনিক হস্তমৈথুনে ক্ষতি হয় না। বীর্য খেলে শরীরে কোনো পরিবর্তন হয়
না।

প্রশ্নঃ আঠালো বীর্য ও পাতলা বীর্যের পার্থক্য কি?

উত্তরঃ শুক্রাণুকে বহন করে সিমেন নামে এক তরল পদার্থ। কারো সিমেন বেশি হয়
কারো সিমেন কম হয়। সিমেন শুক্রাণুকে রক্ষা করে ও বহন করে। পার্থক্য শুধু
সিমেনের পরিমাণ কম হলে আঠালো বেশি হলে পাতলা।

প্রশ্নঃ আমার অণ্ডকোষ দুটো প্রায়ই ব্যথা থাকে। ও দুটো হাত দিয়ে নাড়াচাড়া
করলেও ব্যথা করে। এটা কি কোনো অসুখ?

উত্তরঃ কেউ কেউ বেশি সেনসিটিভ বা সপর্শকাতর থাকে। তাদের এরকম হতে পারে।
তবে যদি তেমন না হয় এবং ব্যথা থেকেই যায় সবসময় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ
নিন।

প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ কাঠের মতো শক্ত হয় না। কোনো সমস্যা আছে নাকি? থাকলে কী করব।

উত্তরঃ লিঙ্গ কখনো কাঠের মতো শক্ত হয় না। যারা এমন বলে তারা অতিরিক্ত
বলে। উত্তেজনা আশার পর লিঙ্গ শক্ত হয় এবং লম্বা হয়। এরকম লিঙ্গ দিয়ে
যৌনসঙ্গম করতে কোনো সমস্যা হয়নি। আপনার যদি এ কাজে সমস্যা না হয় তাহলে
মনে হয় ঠিকই আছে।

প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গের গোড়ায় কিছু উঁচু গুটি আছে। এগুলো বড়ও হয় না ঘাও হয়
না, এগুলো কি?

উত্তরঃ সম্ভবত লোমকূপ। ভবিষ্যতে নতুন চুল গজাতে পারে।

প্রশ্নঃ আমার অণ্ডকোষ দুটো হস্তমৈথুন বা যৌনসঙ্গম করার সময় উপরে উঠে আসে।
নামাতে পারি না। ওখানে লাগলে ব্যথা করে, কী করে ওদের নিচে নামানো যায়?

উত্তরঃ উপরে উঠে আসা স্বাভাবিক। ঠাণ্ডাতে এটা বেশি হয়। গরমে ঝুলে পড়ে,
নিজের পদ্ধতিটা ঠিক করে নিন যাতে অণ্ডকোষে আঘাত না লাগে।

প্রশ্নঃ আমার বয়স প্রায় ১৮। লিঙ্গ কি এখনো বাড়বে? আমার তলপেটে ব্রণ আছে,
লিঙ্গের গোড়ায় চুলের মধ্যেও। কী করব?

উত্তরঃ হ্যাঁ লিঙ্গ এখনো বাড়তে পারে। ব্রণ একসময় চলে যাবে। সঙ্গমের সময়
পিচ্ছিলকারক ব্যবহার করলে সেগুলো ধুয়ে ফেলা ভালো, নইলে চামড়ায় দাগ পড়তে
পারে।

প্রশ্নঃ কী করে দ্রুত স্খলন থামানো যায়?

উত্তরঃ দ্রুত স্খলন থামানো যায়। সঙ্গমের সময় মাঝে মাঝে থামতে হবে। তাহলে
বীর্যপাত পিছিয়ে যাবে। এছাড়া সে সময় অন্য চিন্তা করতে হবে তাহলে যৌন
উত্তেজনা কমে যাবে। এভাবে দ্রুত স্খলন থামানো যায়। আর এতেও সম্ভব না হলে
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

প্রশ্নঃ অণ্ডকোষের থলিতে লোম হওয়া কি স্বাভাবিক?

উত্তরঃ হ্যাঁ! তবে কারো কারো থাকে না। এটাই স্বাভাবিক।

প্রশ্নঃ আমি ৫ বছর ধরে হস্তমৈথুন করি। আমার লিঙ্গ আগার দিকে হাতের তালুর
মতো ছড়িয়ে গেছে। একটু বেঁকেও গেছে। এরকম কেন হলো?

উত্তরঃ আপনার বর্ণনা থেকে আপনার লিঙ্গ দেখতে কেমন বোঝা কঠিন। তবে লিঙ্গ
কেমন হবে তা জন্মগত ব্যাপার। হস্তমৈথুন করে আকৃত বা আকার বদলায় না।

প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গের আগা মোটা গোড়া চিকন। এটা কি স্বাভাবিক?

উত্তরঃ লিঙ্গ বিভিন্ন রকম হয় এবং ওই লিঙ্গ দিয়ে সব করা যায়। হস্তমৈথুন
আকৃতি বদলে দিতে পারে না।

প্রশ্নঃ আমি ল্যাকটোজ সমৃদ্ধ খাবার সহ্য করতে পারি না। তাই Soymilk খাই।
শুনেছি Soymilk-এ সামান্য মাত্রায় ইস্ট্রোজেন (Oestrogen) থাকে। এতে আমি
চিন্তিত আমার পুরুষ শক্তি কমে যাবে কি না।

উত্তরঃ মানুষের শরীরে স্বাভাবিকভাবেই কিছু ইস্ট্রোজেন তৈরি হয় আর নারী
শরীরে টেস্টোস্টেরন, তাহলে অতি সামান্য মাত্রায় (Oestrogen) শরীরে গেলে
ক্ষতি হবে না। এ নিয়ে এখন বিজ্ঞানীরা কাজ করবেন, ভবিষ্যতে যদি সমস্যা
দেখা দেয়।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৬ বছর। কী করে বলা যায় বীর্যরসে শুক্রাণু আছে? আমার
মনে হয় আমার শুক্রাণু বের হয় না। কী করে তা বের করতে পারি?

উত্তরঃ শুক্রাণু খালি চোখে দেখা যায় না। তা দেখতে অণুবীক্ষণ যন্ত্র লাগে।
তবে ১৬ বছর বয়সীদের অনেক শুক্রাণু থাকে। দুশ্চিন্তা হলে ডাক্তারের
পরামর্শ নিয়ে শুক্রাণু সংখ্যা জেনে নিতে পারেন।

প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ বাম দিকে বাঁকা, এতে যৌনসঙ্গমে কি সমস্যা হবে?

উত্তরঃ ৩১% লোকের লিঙ্গ ডানে অথবা বামে বাঁকা থাকে। এতে স্বাভাবিক
যৌনসঙ্গমে কোনো সমস্যা হয় না।

প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গের গোড়ায় আঁচিলের মতো দুটো গুটি হয়েছে, কনডম থেকে কি
এরকম হতে পারে?

উত্তরঃ কনডম থেকে কারো কারো এলার্জি হয়। তবে আঁচিল হয়েছে কি না নিশ্চিত
করতে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

প্রশ্নঃ মুসলমানি না করলে কি লিঙ্গ বাড়ে না?

উত্তরঃ না, বয়সের সাথে সাথে লিঙ্গের স্বাভাবিক বর্ধন হয়।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ২০ বছর। আমি ১৫ বছর বয়স থেকে হস্তমৈথুন করি। কিন্তু
তারপর আমার উচ্চতা আর বাড়েনি। আমি ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। হস্তমৈথুন ব করলে কি
আমি আরো লম্বা হব?

উত্তরঃ লম্বা হওয়ার সাথে হস্তমৈথুনের সম্পর্ক নেই। কে কতটা লম্বা হবে তা
বংশগত ব্যাপার।

প্রশ্নঃ কিছুদিন হলো আমার অণ্ডকোষ দুটো ব্যথা করছে, কী করা যায়?

উত্তরঃ প্রথমে কী কারণে ব্যথা হচ্ছে সেটা দূর করলে ব্যথা কমে যাবে।
ঢিলেঢালা পোশাক পরুন, ধীরে ধীরে হস্তমৈথুন বা যৌনসঙ্গম করুন।

প্রশ্নঃ নিগ্রোদের লিঙ্গ কি খুব লম্বা হয়?

উত্তরঃ লিঙ্গ কী রকম হবে তা বংশগত ব্যাপার।

প্রশ্নঃ হঠাৎ লিঙ্গ শক্ত হওয়া কিভাবে কমানো যায়?

উত্তরঃ তখন এমন কিছু চিন্তা করুন যা যৌনচিন্তা কমায়। তাহলে হঠাৎ লিঙ্গ
শক্ত হলেও কমে যাবে।

প্রশ্নঃ আমি শরীরকে মাংসল করতে চাই। আমি কি Steroid ব্যবহার করব?

উত্তরঃ Steroid শরীরকে ধ্বংস করে দেয়। অনেক সময় অণ্ডকোষ ছোট হয়ে যায় এতে।
Steroid ব্যবহার করবেন না, ব্যায়াম করুন।

প্রশ্নঃ হার্নিয়া কি? কিভাবে এটা হয়?

উত্তরঃ যখন পেটের নাড়ি নিচের দিকে নেমে এসে অণ্ডকোষের থলিতে ঢুকে যায়
তাকে হার্নিয়া বলে। দীর্ঘদিন কাশি থাকলে অথবা ভারী ওজন নিয়ে ব্যায়াম করলে
এটা হতে পারে।

প্রশ্নঃ আমার চামড়ায় শ্বেতী আছে কী করব?

উত্তরঃ চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

প্রশ্নঃ আমার শক্ত লিঙ্গকে জোর করে বাঁকা করলে ব্যথা পাই। এটা কি কোনো অসুখ?

উত্তরঃ জোর করে শক্ত লিঙ্গকে মোচড়ালে ব্যথা করবে এটাই স্বাভাবিক। লিঙ্গ
শক্ত হলে একে জোর করে বাঁকা না করা ভালো।

প্রশ্নঃ হস্তমৈথুনের পর আমার লিঙ্গ একদম ছোট হয়ে যায়। কি করতে পারি এ ব্যাপারে।

উত্তরঃ বীর্যপাতের পর লিঙ্গ ছোট হবে এটাই স্বাভাবিক। এটা নিয়ে চিন্তিত
হওয়ার মতো কোনো কারণ নেই।

প্রশ্নঃ বীর্যপাতের সময় লিঙ্গ চেপে ধরে বীর্যপাত ব করলে কী খুব ক্ষতি হয়?

উত্তরঃ পদ্ধতিটা ভালো নয়। একে ইজাকুলেশন বলে। তাৎক্ষণিক কোনো বিপদ না
হলেও পরবর্তীতে বীর্যস্খলনজনিত সমস্যা হতে পারে।

প্রশ্নঃ ৩ বছর বয়সে কুকুর আমার লিঙ্গে কামড় দেয়। আমার লিঙ্গ কি এতে বাড়বে
না? বয়ঃপ্রাপ্তির অন্য লক্ষণগুলো আমার স্বাভাবিক আছে।

উত্তরঃ এত ছোটকালে লিঙ্গের ওপর কামড়ে লিঙ্গ বাড়ার ব্যাপারে কোনো সমস্যা
হবে। বয়ঃপ্রাপ্তির অন্য লক্ষণগুলো ঠিক আছে যখন তখন লিঙ্গ স্বাভাবিকভাবেই
বাড়বে।

প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গের ওপরে লাল দাগ আছে এবং উপরের দিকটা অনেক উঁচু-নিচু।
আমি কি ডাক্তার দেখাব?

উত্তরঃ যদি না চুলকায়, ব্যথা না হয় এবং রঙের পরিবর্তন না হয় তাহলে কোনো
সমস্যা হবে না। তবে ডাক্তার দেখালে নিশ্চিত হতে পারবেন।

প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ বাঁকা। কী করে সোজা করা যায়?

উত্তরঃ বাঁকা লিঙ্গ দিয়ে সব কাজ করা যায়। সোজা করার দরকার হয় না। তবে
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। জেনে নিতে পারেন নতুন আধুনিক কোনো অপারেশন
আবিষকার হয়েছে কি না সোজা করার জন্য।

প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গের গোড়ার লোম যদি শেভ করি এটা কি ঠিক হবে?

উত্তরঃ কেউ কেউ শেভ করে থাকে। কেউ কেউ করে না। তবে লোমগুলো পরিষকার রাখা
ভালো। শেভ করলেও সমস্যা হবে না।

প্রশ্নঃ অণ্ডকোষের আকার কি কোনো প্রভাব ফেলে?

উত্তরঃ না। তবে খুব ছোট হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

প্রশ্নঃ কতটা বীর্য থাকা উচিত হস্তমৈথুন না করলে? আমার মনে হয় আমার
বীর্যের পরিমাণ কম।

উত্তরঃ সাধারণত বীর্য ১ চা চামচ পরিমাণ হয়। কম হলেও চিন্তিত হওয়ার কিছু
নেই। সন্তান ধারণ ক্ষমতা ঠিক থাকে।

প্রশ্নঃ আমার স্বামীর বীর্যপাত হয় না। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে সে ক্ষেপে
যায়। কী করে স্বাভাবিক করা যায়?

উত্তরঃ অনেক সময় কিছু কিছু ওষুধ খেলে বীর্যপাত হয় না। আবার বীর্যপাত না
হওয়াটা কখনো মানসিক সমস্যাও। যদিও বীর্যপাত হোক সবাই চায় কিন্তু বীর্যপাত
ছাড়াই অনেকে চরমপুলক অনুভব করে। ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

প্রশ্নঃ আমার বীর্যপাতের সময় রক্ত বের হয়। আমি খুব চিন্তিত।

উত্তরঃ প্রস্টেট অপারেশনের পর অনেক সময় এ রকম দেখা যায়। তবে যদি ব্যথা
করে এবং বারে বারে রক্ত যায় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো।

প্রশ্নঃ আমার মুসলমানি করানো হয়নি। না করলে কী হবে?

উত্তরঃ পুরুষ মুসলমানি না নিয়েই জন্মায়। করিয়ে নিতে পারেন। ডাক্তারের
সাহায্য নিতে হবে। না করালে কোনো সমস্যা হয় না।

প্রশ্নঃ আমার বীর্য গাঢ় বাদামি রঙের। আমার বয়স ৩৫ বছর, আমি খুব চিন্তিত।

উত্তরঃ বীর্যের রঙ হলুদাভ-বাদামি। যদি খুব চিন্তিত হন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

প্রশ্নঃ আগে আমার বীর্য দূরে ছিটকে যেত, এখন তা হয় না। গড়িয়ে গড়িয়ে বের
হয়। কী করে আবার আগের মতো বীর্যপাত করাতে পারি?

উত্তরঃ বীর্যপাত গড়িয়ে গড়িয়েও হয়। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। গবেষণায় দেখা
গেছে অধিকাংশে বীর্য গড়িয়ে গড়িয়ে বের হয়।

প্রশ্নঃ আমি একজনের সাথে যৌনসঙ্গম করেছি। কনডম ব্যবহার করিনি। এরপর থেকে
একটু চুলকানি, শুকনাভাব শুরু হয়েছে লিঙ্গে। আমার কি কোনো অসুখ হলো?

উত্তরঃ তেমন মনে হলে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিয়ে
দেখুন কোনো জীবাণু এর জন্য দায়ী কি না। সন্দেহমুক্ত হওয়া ভালো।

প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গটা শুকনো শুকনো। সঙ্গমের পর জ্বালা করে। কিভাবে
স্বাভাবিক করা যায়।

উত্তরঃ দেখতে হবে কোনো অসুখ আছে কি না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গের গোড়ার যৌনকেশ শেভ করলে তা কি কনডমকে ছিদ্র করতে পারে?

উত্তরঃ লেটেক্স কনডম শেভ করা চুল দ্বারা সাধারণত ছিদ্র হয় না।

প্রশ্নঃ বীর্যরস ও বীর্যপাতের আগে যে রসক্ষরণ হয় তার পার্থক্য কি?

উত্তরঃ বীর্যপাতের আগে যে রসক্ষরণ হয় তা কপারস গ্ল্যান্ড নামক গ্রন্থি
থেকে বের হয়। এটি মূত্রনালীকে পিচ্ছিল করে। বীর্যরস বলতে বোঝানো হয়
শুক্রাণু ও প্রস্টেট গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রস।

প্রশ্নঃ বীর্য রেখে দিলে পানির মতো হয়ে যায় কেন? বীর্য কি বাতাসে উড়ে যায়?

উত্তরঃ বীর্য রেখে দিলে ঘণ্টা খানেক পরে বাতাসের সংসপর্শে এর পরিবর্তন
ঘটে। তখন পানির মতো তরল হয়ে যায়। এতে তখন মৃত শুক্রাণু থাকে। বীর্যরসে
প্রচুর পানি থাকে- যেটা বাতাসে উড়ে যেতে পারে।

প্রশ্নঃ লিঙ্গের চামড়ার নিচে কি লোম হতে পারে?

উত্তরঃ হ্যাঁ হতে পারে। শেভ করলে এগুলো বেড়ে যায়।

প্রশ্নঃ আমার অণ্ডকোষ থলি বেশ লাল হয়ে গেছে এবং এর চামড়া বেশ শুকনো, এটা
কি স্বাভাবিক?

উত্তরঃ এটা র‌্যাশ হতে পারে। সাবান ও ডিটারজেন্ট থেকে এটা হতে পারে।
ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ নিচের দিকে বাঁকা, এতে কি কোনো সমস্যা হবে।

উত্তরঃ না।

প্রশ্নঃ আমার যৌনকেশ শেভ করলে কি আবার বাড়বে?

উত্তরঃ হ্যাঁ। কিছুদিন সময় লাগবে কিন্তু ঠিকই বাড়বে।

প্রশ্নঃ গাঁজা খেলে কি শুক্রাণু সংখ্যা কমে যায়?

উত্তরঃ হ্যাঁ। গাঁজা শুক্রাণু ও সন্তান জন্মদান ক্ষমতা কমায়। তবে অবশ্যই
জন্ম নিরোধ করার এটা ভালো কোনো উপায় না।

প্রশ্নঃ লিঙ্গ শক্ত অবস্থায় কি প্রস্রাব করা যায়? শুনেছি এটা সম্ভব না।

উত্তরঃ লিঙ্গ শক্ত অবস্থায় প্রস্রাব করতে কারো কারো সমস্যা হয়। তবে শক্ত
অবস্থায় প্রস্রাব বের হলে সেটা কোনো সমস্যা নয়।

প্রশ্নঃ প্রথম কোন বয়সে বীর্যপাত হয়? ১১ বছর বয়সে আমার প্রথম বীর্যপাত হয়।

উত্তরঃ ১২-১৩ বছর বয়সের মধ্যে বীর্যপাত হয়। তবে ১১ বছর বয়সেও অনেকের হয়।

প্রশ্নঃ বীর্যপাতের পর প্রস্রাব করলে জ্বালাপোড়া করে আমার, এটা কি কোনো অসুখ।

উত্তরঃ বীর্যপাতের পর প্রস্রাব করলে অনেক সময় জ্বালাপোড়া করে। এটা স্বাভাবিক।

প্রশ্নঃ আমি খুব ধর্মপ্রাণ। আমার যৌন আবেগ কিভাবে কমাতে পারি?

উত্তরঃ ধর্মকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকলে যৌন আবেগ কমে যাবে। তবে পুরোপুরি
কমানো সম্ভব না। যৌন আবেগ কমানোর জন্য তেমন কোনো ওষুধ নেই।

প্রশ্নঃ এমন কোনো ব্যায়াম আছে যা দিয়ে লিঙ্গ বড় করা যায়?

উত্তরঃ না। লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও আকার বংশগত ব্যাপার।

প্রশ্নঃ রুলার দিয়ে কিভাবে আমার লিঙ্গ মাপব?

উত্তরঃ রুলালের যেদিকে ০ সেটিক গোড়ায় ধরে মাপ নিন।

প্রশ্নঃ লিঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য ৬ ইঞ্চি। কারো কারো ১০-১২ ইঞ্চি লম্বা হয় কিভাবে?

উত্তরঃ শ্বেতকায় মানুষের গড় উচ্চতা ৫.৮-৫.১০ ইঞ্চি। কিন্তু কারো কারো ৭
ফুট লম্বা হয়। এটা বংশগত কারণে হয়।

প্রশ্নঃ লিঙ্গের দৈর্ঘ্য কী কী দ্বারা ঠিক হয়?

উত্তর: কার লিঙ্গ কত বড় হবে এটা বংশগত ব্যাপার। পূর্ব পুরুষদের নিকট থেকে
কী কী গুণ পেল তা নির্দিষ্ট করে লিঙ্গের দৈর্ঘ্যকে। কোন গুণাবলী পাবে তা
আগে থেকে বলা যায় না। জেনেটিক্সের ব্যাপারগুলো লটারির মতো- আগে থেকে বলা
যায় না কিন্তু পেলে পরে বলা যায় কী পাওয়া গেল। কোনো একটা সন্তান তার
বাবার দিকের ও মায়ের দিকের গুণাবলী পায়। কোন গুণাবলী পেল তার ওপর নির্ভর
করেই ঠিক হয় চেহারা কেমন হবে, কতটা লম্বা-চওড়া হবে, হাত-পা দেখতে কেমন
হবে। ঠিক তেমনি লিঙ্গ শরীরেরই একটা অংশ। তাই অন্যান্য অংশের মতো বংশগত
গুণাবলী পাওয়ার ওপরই লিঙ্গের মাপ নির্ভর করে।

প্রশ্ন: আমি আমার লিঙ্গের সঠিক মাপ কিভাবে নেব?

উত্তর: লিঙ্গের মাপ নেয়ার ব্যাপারে নানাজনে নানা রকম ধারণা দিয়েছেন। কেউ
বলে ওপরে মাপো, কেউ বলে নিচের দিকে মাপো। কেউ বলে দাঁড়িয়ে মাপো, কেউ বলে
শুয়ে মাপো। কিন্তু মাপলে তো লিঙ্গ বড় বা ছোট হবে না। লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও
আকার নিয়ে চিন্তিত হয়ে কোনো পরিবর্তন আনা যায় না। সুতরাং চিন্তা না করাই
ভালো।

প্রশ্ন: আমার বয়স ১৪ বছর। আমার লিঙ্গ ৫.৪ ইঞ্চি লম্বা। খুব ছোট মনে হয়।
আপনার মতামত কি?

উত্তর: অধিকাংশ পুরুষ জীবনের কোনো না কোনো সময়ে লিঙ্গ নিয়ে এমন চিন্তা
করে। লিঙ্গ ছাড়া জীবনে আরো অনেক কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে সেগুলো নিয়ে
ভাবুন।

প্রশ্ন: আমার বয়স ১৫ বছর। আমার লিঙ্গ শক্ত হলে দৈর্ঘ্য হয় ৪.৫ ইঞ্চি
কিন্তু নরম হলে হয় ২ ইঞ্চি। আমি সন্তানের পিতা হতে পারব?

উত্তর: হ্যাঁ। আপনার লিঙ্গের দৈর্ঘ্য স্বাভাবিকের মধ্যে। এছাড়া সামনে
লিঙ্গ আরো বাড়বে।

প্রশ্ন: অপারেশন করে কি লিঙ্গ বড় করা যায়? চাই না লিঙ্গ ঝুলে পড়ুক।

উত্তর: অপারেশনগুলো বিশ্বাসযোগ্য নয়। এগুলো খুব কষ্টদায়ক।

প্রশ্ন: লিঙ্গ কি ছোট হয়ে যেতে পারে?

উত্তর: সাধারণত হয় না। তবে টাইট কাপড়, খুব ঠাণ্ডা, মানসিক বিষণ্নতাতে
লিঙ্গ ছোট হতে পারে।

প্রশ্ন: আমার বয়স ১৩ বছর। শক্ত অবস্থায় লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ৪ ইঞ্চি। এটা কি ঠিক আছে?

উত্তর: হ্যাঁ।

প্রশ্ন: আমার বয়স ১৮ বছর। শক্ত অবস্থায় আমার লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ৩ ইঞ্চি।
আমার বীর্যের পরিমাণ খুব কম। কোনো সমস্যা হবে কি?

উত্তর: ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

প্রশ্ন: শক্ত হলে আমার লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ৫.৯ ইঞ্চি। কখনো এটি ৩ ইঞ্চি বা ২
ইঞ্চি হয়। কেন এরকম হচ্ছে?

উত্তর: সবারই কমবেশি এরকম হয়। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। কেউ এগুলো লক্ষ্য করে
না, কেউ করে। বেশি মনোযোগ দিয়ে ফেলেছেন আপনি।

প্রশ্ন: ওজন নিয়ে ব্যায়াম করলে কি লিঙ্গ ছোট হয়ে যায়?

উত্তর: না।

প্রশ্ন: নিগ্রোদের লিঙ্গ কি খুব বড় হয়?

উত্তর: সবার হয় না, এটা বংশগত ব্যাপার।

প্রশ্ন: আমার লিঙ্গ ৬.৫ ইঞ্চি লম্বা, ২ ইঞ্চি পুরু। এটা কি ছোট?

উত্তর: না।

প্রশ্ন: খাবারের রঙ কি লিঙ্গ ছোট করে দেয়?

উত্তর: না।

প্রশ্ন: নরম অবস্থায় আমার লিঙ্গ যৌন কেশের মধ্যে ঢুকে যায়। কিন্তু শক্ত
অবস্থায় ৫.৫-৬ ইঞ্চি লম্বা হয়। এটা কি সমস্যা।

উত্তর: না। শক্ত হলে তো যথেষ্ট লম্বা হয়।

প্রশ্ন: জাঙ্গিয়া পরলে কি লিঙ্গ ছোট হয়ে যায়?

উত্তর: না।

প্রশ্ন: মানুষের দৈর্ঘ্য আর লিঙ্গের দৈর্ঘ্য কি এক?

উত্তর: না। কমবেশি হতে পারে।

পুরুষের বয়ঃপ্রাপ্তি ও বর্ধন সংক্রান্ত প্রশ্ন

প্রশ্নঃ বয়ঃপ্রাপ্তি বা বয়ঃসন্ধি কি জিনিস। কেন এমন হয়?

উত্তরঃ একজন শিশু অবস্থা থেকে যখন যৌনসক্ষম ব্যক্তিতে পরিণত হয় তখন তার
শারীরিক কিছু পরিবর্তন ঘটে, একে বয়ঃপ্রাপ্তি বলে। মস্তিষেকর
হাইপোথ্যালামাস ও পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে গ্রোথ হরমোন নামে একটি রাসায়নিক
যৌগ নিঃসরণ হয়। এই হরমোনের প্রভাবে অণ্ডকোষ ও ডিম্বাশয় পরিবর্তন হয় এবং
এরা টেস্টোস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন নামক হরমোন তৈরি করে। এদের প্রভাবে চুল,
ত্বক, হাড়, বিভিন্ন অঙ্গ ও মাংসপেশিতে পরিবর্তন দেখা দেয়। গোঁফ দাড়ি
ছেলেদের, মেয়েদের স্তন ও অন্যান্য শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। এই পুরো
পরিবর্তনের সময়কালই হলো বয়ঃপ্রাপ্তি।

প্রশ্নঃ বয়ঃপ্রাপ্তি কখন আসে?

উত্তরঃ ছেলেদের ১১-১৫ বছরের মধ্যে ও মেয়েদের ৯-১৩ বছরের মধ্যে বয়ঃসন্ধি শুরু হয়।

প্রশ্নঃ বয়ঃপ্রাপ্তির সময় কী কী শারীরিক পরিবর্তন ঘটে?

উত্তরঃ ছেলেদের ক্ষেত্রে: লিঙ্গের গোড়ায় যৌনকেশ, লিঙ্গ বড় ও মোটা হয়,
অণ্ডকোষ ঝুলে যাওয়া ও বড় হয়, বগলে লোম হওয়া, মুখে লোম হওয়া (গোঁফ, দাড়ি),
তলপেটে লোম হওয়া, গলার স্বর ভারী হওয়া, স্বর ভেঙে যায় (অল্প সময়ের জন্য),
বুকে লোম গজায়, উচ্চতা বাড়ে, যৌন কামনা বাড়ে, মুখে তেল বাড়ে, ব্রণ হওয়া,
বীর্যপাত হয়, সন্তান জন্মদান ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়।

মেয়েদের ক্ষেত্রে: স্তন বেড়ে ওঠে, নিতম্ব আকারে বাড়ে ও ভারী হয়, মাসিক
ঋতুস্রাব শুরু হয়, গলার স্বর উঁচু হয়, যোনিপথের চারদিকে যৌনকেশ গজায়,
বগলে লোম গজায়, মুখে সামান্য লোম গজায়, যৌনসঙ্গম করার কাজে সক্ষম হয় ও
গর্ভধারণের ক্ষমতা অর্জন করে।

প্রশ্নঃ আমার বুদের বয়ঃপ্রাপ্তি চলছে কিন্তু আমার মধ্যে তেমন কোনো
পরিবর্তন আসেনি কেন?

উত্তরঃ আপনার বয়স বলেননি। যদি বয়স ১৫-১৬ বছর হয় এবং শারীরিক কোনো
পরিবর্তন না আসে সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। অনেকের অনেক দেরিতে
শুরু হয়। ২০ বছরের সময় অনেকের পরিবর্তন হতে দেখা যায়। আশা করি আপনারও
স্বাভাবিক পরিবর্তন হবে।

প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ আর লম্বা হবে না, কী করব?

উত্তরঃ লিঙ্গের বেড়ে ওঠা প্রতিদিনই বোঝা যায় না। আপনার বযস ১০-১৫ বছরের
মধ্যে হলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কারণ লিঙ্গ অনেক বয়স পর্যন্ত বাড়ে।

প্রশ্নঃ কখন আমার বগলে লোম হবে?

উত্তরঃ ১৩-১৭ বছর বয়সের মধ্যে বগলে লোম হয়। কারো কারো হয়ই না। এটা থাকতেই
হবে এমন কিন্তু না। এটা নিয়ে চিন্তিত হবেন না।

প্রশ্নঃ মনের বয়ঃপ্রাপ্তি কাকে বলে?

উত্তরঃ এটা মনের সেই অবস্থা যা যৌন তাড়না, আকাঙ্ক্ষা সঙ্গমের ইচ্ছার জন্ম
দেয়। ১৫-২০ বছর বয়সের মধ্যে এই পরিবর্তন শুরু হয়। এ সময় মনে যৌন কল্পনা
করার ক্ষমতার জন্ম হয়। এই অবস্থার পরিবর্তনের ওপর মনের নিয়ন্ত্রণ থাকে।
শারীরিক বয়ঃপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। মনের
বয়ঃপ্রাপ্তির সময় নানা রকম যৌনকলা; বীর্যপাত পিছিয়ে দেয়া নানা ধরনের
মজাদার যৌন কল্পনা করার মতো ক্ষমতা জন্মায়।

প্রশ্নঃ আমার যৌনকেশ কি করে বাড়াতে পারি? আমার বুদের অনেক যৌনকেশ আছে।

উত্তরঃ যদি আপনার বয়স ১২-১৩ বছরের মধ্যে হয় তাহলে সময় আছে। যৌনকেশ তৈরি
হবে। কিন্তু যদি বয়স ১৬ বছরের বেশি হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

প্রশ্নঃ বয়ঃপ্রাপ্তির আগে হস্তমৈথুন করলে কি শারীরিক পরিবর্তন থেমে যায়?

উত্তরঃ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বয়ঃপ্রাপ্তির আগে হস্তমৈথুন শুরু হয়। তখন হয়তো
চরমপুলক অনেকেই পায় না। কিন্তু একটা ভালো লাগা তারা খুঁজে পায়।
বয়ঃপ্রাপ্তির সব পরিবর্তন শরীরের ভেতর থেকে চলতে থাকে, বাইরের কোনো
কর্মকাণ্ডের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে না।

প্রশ্নঃ সব সময় আমার সঙ্গম করার ইচ্ছা হয়। কিন্তু আমার বয়স ১১ বছর।

উত্তরঃ এরকম অনেকেরই হয়। তবে এখনই এসব কাজে সময় ও শক্তি নষ্ট না করে
অন্যান্য কাজে মন দেয়া ভালো।

প্রশ্নঃ আমি হস্তমৈথুন করি না। আমার কি কোনো সমস্যা হয়েছে?

উত্তরঃ ৯৯% লোক নিয়মিত হস্তমৈথুন করে। ১% মিথ্যা কথা বলে। ভয়ের কিছু নেই
এটা যে কোনো বয়সে করা যায়- সবাই করে থাকে।

প্রশ্নঃ কখন প্রথম বীর্যপাত হয়?

উত্তরঃ যৌনকেশ ওঠা বা অন্যান্য শারীরিক পরিবর্তনের আগেও বীর্যপাত হতে পারে।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৫ বছর। আমার যথেষ্ট যৌনকেশ আছে এবং লিঙ্গও বেশ বাড়ছে।
কিন্তু বগলে লোম কম আছে, কখন এটা বাড়বে।

উত্তরঃ কয়েক বছরের মধ্যেই এটা বাড়বে।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৪ বছর। আমি খুব পাতলা কিন্তু পেটটা খুব বড়। এটা কি 'বেবি ফ্যাট'।

উত্তরঃ বেবি ফ্যাট ছাড়াও অন্য অনেক কিছু হতে পারে। পরীক্ষা না করে কিছু
বলা যাবে না।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৫ বছর। বগলে আমার যথেষ্ট লোম আছে কিন্তু বুকে ও তলপেটে
কোনো লোম নেই। যৌনকেশ আছে এবং অণ্ডকোষ থলিতেও লোম আছে, আমি কি ডাক্তার
দেখাব?

উত্তরঃ শরীরের যেসব জায়গায় লোম আছে তা বয়ঃপ্রাপ্তির স্বাভাবিক লক্ষণ।
দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য ডাক্তার দেখানো যেতে পারে। টেস্টোস্টেরন মাত্রা
মেপে ডাক্তার বলতে পারবেন কোনো সমস্যা আছে কি না। তবে মাত্র ১৫ বছর, লোম
গজানোর এখনো সময় আছে। এরকম অনেকেরই হয়, এটা চিন্তা করার মতো কিছু নয়।

প্রশ্নঃ আমি জানি না আমার বয়ঃসন্ধি চলছে কি না, তবে কিছুদিন আগে বীর্যপাত
করার সময় আঠালো বীর্য বেরিয়েছে। আগে বীর্য খুব তরল ছিল, এর মানে কি?

উত্তরঃ বীর্যের ঘনত্ব কমে, বাড়ে, বিশেষ করে বয়ঃপ্রাপ্তির সময়। এটা বড়দেরও
হয়। এটা খুব পাতলা থেকে খুব গাঢ় দুরকমই হতে পারে।

প্রশ্নঃ আমার বয়স প্রায় ১৬ বছর। কেউ কেউ বলে ৬ ইঞ্চি লম্বা লিঙ্গ ছোট।
আমার লিঙ্গ ৪.৫ ইঞ্চি লম্বা। প্রচুর যৌনকেশ আছে, আমার লিঙ্গ কি ৬ ইঞ্চি
লম্বা হবে?

উত্তরঃ লিঙ্গের মাপ সঠিকভাবে কেউ নিতে পারে না। কোন অবস্থায় নেয়া হলো-
দাঁড়ানো, বসা না শোয়া অবস্থায় তার ওপর দৈর্ঘ্য নির্ভর করে। আশা করি আপনার
লিঙ্গ আরো বাড়বে।

প্রশ্নঃ আমি ছোট briefs পরি, এতে কি লিঙ্গ ছোট হয়ে যায়?

উত্তরঃ খুব টাইট briefs পরলে রক্ত সঞ্চালন বাধা পায়, খুব টাইট হলে
শুক্রাণু উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়। তবে লিঙ্গ ছোট হয় না। খুব টাইট briefs না
পরা ভালো।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৫ বছর। আমার কতদিন পরপর শারীরিক পরীক্ষা করা ভালো?
পরীক্ষায় কী আশা করতে পারি।

উত্তরঃ ১ বছর পর পর শারীরিক পরীক্ষা করা ভালো। পরীক্ষায় কী পাওয়া যাবে তা
নির্ভর করে ডাক্তারের ওপর। কেউ সামান্য কিছু দেখে, কেউ কেউ অনেক কিছু
পরীক্ষা করে।

প্রশ্নঃ শেভ করলে কি যৌনকেশ আবার হয়? লিঙ্গে যৌনকেশ থাকা কি ভালো?

উত্তরঃ শেভ করলে যৌনকেশ আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। লিঙ্গের ওপর যৌনকেশ
থাকা স্বাভাবিক।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৫ বছর। আমার অণ্ডকোষ কত বড় হওয়া উচিত?

উত্তরঃ আধা ইঞ্চি থেকে দেড় ইঞ্চি। এর চেয়ে বড় বা ছোটও হতে পারে। এই বয়সে
পুরোপুরি বৃদ্ধি হতেও পারে নাও পারে।

প্রশ্নঃ মদ, বিয়ার খেলে বয়ঃপ্রাপ্তিতে কি সমস্যা হয়?

উত্তরঃ মদ, বিয়ার শরীরের সব কিছুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। না খাওয়া ভালো।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৩ বছর। আমি কি এখন হস্তমৈথুন শুরু করতে পারি?

উত্তরঃ হস্তমৈথুন শুরু করার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। চাইলে করতে পারো।

প্রশ্নঃ বয়ঃপ্রাপ্তির আগে হস্তমৈথুন করলে কি লিঙ্গ থেকে কিছু বের হবে?

উত্তরঃ হ্যাঁ, কিছু রস ক্ষরণ হবে।

প্রশ্নঃ প্রতিদিন ভোরে আমার লিঙ্গ শক্ত হয়ে যায় এবং হস্তমৈথুন না করা
পর্যন্ত নরম হয় না, কেন?

উত্তরঃ এ কথাটা অনেকেরই। এটা দেখা গেছে যে, অনেক পুরুষের যৌন উত্তেজনা
ভোরে ঘুম থেকে জাগার পর তীব্র থাকে। এ সময় প্রস্রাব করলে লিঙ্গ নরম হয়ে
আসে।

প্রশ্নঃ আমি আমার স্তনের বোঁটা ডলতে ভালোবাসি। কিন্তু মনে হয় সেখানে
দলামতো কিছু আছে এবং ব্যথা করে।

উত্তরঃ হ্যাঁ বয়ঃপ্রাপ্তিতে পুরুষ স্তনে সামান্য পরিবর্তন হয়। একটু বড়
হয়, রসক্ষরণ হয় ও ব্যথা হয়। খুব বেশি ব্যথা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া
ভালো।

প্রশ্নঃ ভায়াগ্রা খেলে লিঙ্গ কি খুব দ্রুত বাড়ে?

উত্তরঃ না। ভায়াগ্রা যৌন অক্ষম পুরুষের লিঙ্গকে শক্ত ও যৌন সক্ষম করে।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৪ বছর। আমার স্তনের বোঁটা ফুলে গেছে। সেখান থেকে দুধের
মতো রস বের হয়। বয়ঃপ্রাপ্তির সময় এটা কি স্বাভাবিক?

উত্তরঃ হ্যাঁ। তবে সবার এটা হয় না। সামান্য কিছুদিন পর এটা ঠিক হয়ে যায়।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৩ বছর। এখনো স্বপ্নদোষ হয়নি, এটা কি অস্বাভাবিক?

উত্তরঃ হস্তমৈথুন না করলে স্বপ্নদোষ হয়। তবে স্বপ্নদোষ জীবনের জন্য অতীব
প্রয়োজনীয় এমন কিছু না। স্বপ্নদোষ হলেও অনেক সময় কাপড়ে শুকিয়ে যায়, বোঝা
যায় না।

প্রশ্নঃ আমার বয়ঃপ্রাপ্তি সম্পূর্ণ হলো কিভাবে জানব? কোনো লক্ষণ দিয়ে এটা
কি বোঝা যায়?

উত্তরঃ যখন হঠাৎ লম্বা হয় কেউ, যখন শরীরে লোম গজায়, গলার স্বরে পরিবর্তন
হয়, লিঙ্গ বড় হয় এভাবে কৈশোর ছেড়ে যৌবনে পা দেয়ার মধ্য দিয়ে বয়ঃপ্রাপ্তি
সম্পূর্ণ হয়।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৮ বছর। আমি প্রচুর গাঁজা ও মদ খেয়েছি। আমার লিঙ্গ ছোট,
লিঙ্গ কি আরো বড় হবে? হলে কতদিন লাগবে।

উত্তরঃ গাঁজা, মদ শরীরের পরিবর্তনকে বাধা দেয়। ওগুলো ছেড়ে দিলে পরিবর্তন
হবে। তবে ডাক্তার দেখানো ভালো।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ১২-১৩ বছর। আমার লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ৬ ইঞ্চি আর কতদিন লিঙ্গ বড় হবে?

উত্তরঃ বলা যাচ্ছে না, তবে আপনার বয়ঃপ্রাপ্তি খুব দ্রুত হয়েছে।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৪ বছর। আমার লিঙ্গে, অণ্ডকোষথলিতে, উরুতে সাদা সাদা
ক্ষত চিহ্নের মতো দাগ হয়েছে। এটা কি কোনো অসুখ?

উত্তরঃ চিন্তা করার মতো কিছু হয়নি। বয়ঃপ্রাপ্তিতে এমন দাগ হয়- এটা স্বাভাবিক।

প্রশ্নঃ লিঙ্গে বা অণ্ডকোষথলিতে কি ব্রণ হতে পারে?

উত্তরঃ হ্যাঁ হতে পারে।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৩ বছর। আমি যখন হস্তমৈথুন করি তখন সামান্য তরল বের হয়,
বীর্য বের হয় না। কিন্তু স্বপ্নদোষ হয় এমন কি হতে পারে?

উত্তরঃ হ্যাঁ হতে পারে। বয়ঃপ্রাপ্তির শুরুতে এমনই হয়।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৪ বছর। আমি কি ভারোত্তোলন করতে পারব? এটা কি আমার
শরীরের টেস্টোস্টেরন গঠনে সমস্যা করবে? হলে কী ধরনের?

উত্তরঃ ১৪ বছর বয়সে ভারোত্তোলন শুরু করা যায়। ভারোত্তোলন মাংসপেশি গঠনে
সাহায্য করে। তবে এসব ধীরে ধীরে করা ভালো। স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ না নেয়া
ভালো, এর নানা ক্ষতিকারক দিক আছে।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৫ বছর। বয়ঃপ্রাপ্তির আগে হস্তমৈথুন করলে লিঙ্গের
সাইজের ওপর কি প্রভাব পড়ে?

উত্তরঃ না

প্রশ্নঃ বয়ঃপ্রাপ্তির আগে হস্তমৈথুন করলে লিঙ্গ কি বড় হয়?

উত্তরঃ না

প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৫ বছর। আমার লিঙ্গ প্রায়ই আপনা থেকে শক্ত হযে
দঁ্বাড়িয়ে যায়, এর মানে কি লিঙ্গ বড় হচ্ছে?

উত্তরঃ আপনা থেকে লিঙ্গ শক্ত হওয়া বা দাঁড়িয়ে যাওয়াকে Spontaneous
erection বলে। এটা কারো কারো হতে দেখা যায়। এর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে
ভয়ের কিছু না, বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটা কমতে থাকে।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৩ বছর। এখনই আমার সারা শরীরে অনেক লোম জন্মেছে। এত
তাড়াতাড়ি এরকম কি স্বাভাবিক?

উত্তরঃ মনে হয় বয়ঃপ্রাপ্তির লক্ষণগুলো খুব বেশি এবং তাড়াতাড়ি প্রকাশ
পেয়েছে। তবে চিন্তিত হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৬ বছর। সুন্দর মেয়ে দেখলে হস্তমৈথুন করার প্রচণ্ড
ইচ্ছা হয়, আমার এটা কি ঠিক?

উত্তরঃ সুন্দর মেয়ে দেখলে মনে ইচ্ছা জাগে। তাই বলে দেখার সাথে সাথে
হস্তমৈথুন করতে হবে এটা ঠিক না। নিজেকে সংযত করতে শিখতে হবে। নইলে মানসিক
সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

প্রশ্নঃ হস্তমৈথুন করলে শুনেছি উচ্চতা কমে যায়?

উত্তরঃ হস্তমৈথুন করলে শারীরিক কোনো পরিবর্তন হয় না। লম্বা হওয়ার সাথে
ওটা কোনো বাধা নয়।

প্রশ্নঃ খুব বেশি হস্তমৈথুন করলে কি ছেলে সন্তান না হয়ে মেয়ে সন্তান হয়?
কখন হস্তমৈথুন করলে ছেলে বা মেয়ে হবে? কী করে ছেলে বা মেয়ে সন্তান
জন্মদান নিশ্চিত করা যায়?

উত্তরঃ হস্তমৈথুন করে ছেলে বা মেয়ের জন্ম নিশ্চিত করা যায় না। আপনি
সন্তানের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

প্রশ্নঃ আমার স্তনের বোঁটা দুটো বেশ বড় ও ব্যথা করে। আমার বুক চওড়া
হচ্ছে, আমার কি স্তন বড় হবে?

উত্তরঃ ওগুলো প্রকৃত স্তন না। বয়ঃপ্রাপ্তির সময়ে প্রোল্যাকটিন নামে
হরমোনের জন্য এরকম অনেকের হয়। যদি সমস্যা দীর্ঘদিনের হয় তাহলে ডাক্তার
দেখিয়ে প্রোল্যাকটিনের মাত্রা দেখে নিতে পারেন।

প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ সহজেই শক্ত হয়। সেক্সি মেয়ে দেখলেই হয়। খুব সম্প্রতি
আমি একটা মেয়ে দেখেছি খুব সুন্দর। তাকে খুব ভালো লাগে এবং তার জন্য অনেক
কিছু করতে ইচ্ছা করে। সেও আমার প্রতি একই রকম আসক্ত। আমার শরীরের প্রতি
তার টানও খুব বেশি। কিন্তু তাকে কাছে পেলে কিছুতেই আমার লিঙ্গ শক্ত হয়
না। তার জন্য আবেগের কারণে কি এটা হচ্ছে?

উত্তরঃ আপনি নিজেই নিজের উত্তর দিয়েছেন। আপনি এতটাই তার প্রতি আসক্ত হয়ে
পড়েছেন যে সে আপনার কাছে শুধুই 'সেক্সি' নয় অন্য কোনো বিশেষ বস্তুতে
পরিণত হয়েছে। কখনো ভালোবাসার সাথে দুশ্চিন্তা, নার্ভাস লাগা, হতাশা জড়িয়ে
যেতে পারে। এমনও হতে পারে মেয়েটি দেখতে সুন্দর কিন্তু তার আহ্বান গভীর
কিছু নয়। তার দৃষ্টিও যৌন আবেগের জন্ম দেয় না। স্থির হোন, শান্ত হোন, সময়
নিন আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।

প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ চোষানোর পর ৪৫ সেকেন্ডের মধ্যেই বীর্যপাত হয়ে যাচ্ছে।
কী করে সময়টা বাড়াতে পারি? আমার ভয় হচ্ছে মেয়েটাকে হয়তো যৌনতৃপ্তি দিতে
পারব না?

উত্তরঃ কারো কারো দ্রুত বীর্যস্খলন হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটা বদলে
যায়। এতদিন অপেক্ষা না করেও কাজটি সারা যায়। মেয়েটার সাথে মিলে একসাথে
চেষ্টা করতে হবে। যখনই বীর্যপাত হওয়ার সম্ভাবনা তখনই থেমে যান। দেখবেন
বীর্যপাত হচ্ছে না। এভাবে বারেবারে করতে থাকুন দেখবেন বীর্যস্খলন পেছাতে
পারবেন। একে 'Stop and go' পদ্ধতি বলে।

প্রশ্নঃ আমি মেয়েদের চুমু দিতে পারি না। কী করে সঠিকভাবে চুমু দিতে পারব?

উত্তরঃ যদি কেউ বলে আপনি পারেন না এটা ঠিক না। যে কোনো ভালো মেয়েও আপনার
মতোই নার্ভাস হয়ে যাবে। মেয়েটিকে ভালোভাবে বুঝে নিন জড়তা কেটে যাবে,
তাড়াহুড়ার কি আছে?

প্রশ্নঃ আমার শালীকে নিয়ে যৌন চিন্তা হয়। ঠেকাতে পারি না, বিষয়টা বেশ
ক্ষতিকর। সে যৌন বিষয় নিয়ে আমাকে উত্তেজিত করে।

উত্তরঃ এরকম হতে পারে। তবে বাস্তব যৌনসঙ্গম করার পরিকল্পনা না করা ভালো।
নিজেকে সংযত করুন দেখবেন কল্পনা কমে যাবে। তাকে বলুন আমি আমার স্ত্রীকে
ভালোবাসি, কিছুতেই আমাদের সংসারে সমস্যা ডেকে আনব না। তাকেও বোঝানোর
চেষ্টা করুন, সাফল্য আসবে।

প্রশ্নঃ আমার বয়স যখন ৮ বছর তখন আমার বয়সী এক আত্মীয়ার সাথে যৌনসঙ্গম
খেলা খেলতাম। ও সময়ে যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশ করত না। এভাবে এক বছর চলেছিল।
এটা কি স্বাভাবিক ছিল। এতে কি আমার যৌন গুণাবলী বাধা পাবে?

উত্তরঃ এটা স্বাভাবিকভাবে হতে পারে। এতে শারীরিক বা মানসিক যৌন পরিবর্তনে
কোনো সমস্যা হবে না। মনের ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে তা নির্ভর করে যৌন কাজের
অভিজ্ঞতাগুলোর ফল আপনার ওপর কী প্রভাব ফেলল।

প্রশ্নঃ যৌন ইচ্ছা প্রবল কাদের- ছেলেদের না মেয়েদের?

উত্তরঃ যৌন ইচ্ছার জন্য যে হরমোন দায়ী তার নাম টেস্টোস্টেরন। পুরুষদের এই
হরমোন বেশি তৈরি হয়। সুতরাং তাত্ত্বিকভাবে পুরুষের যৌন ইচ্ছা প্রবল হওয়া
উচিত। ব্যক্তিত্ব, অ্যাড্রিনালিন মনের অবস্থা, অতীত অভিজ্ঞতা এসবও যৌন
ইচ্ছাকে প্রভাবিত করে। তাই দেখা যায় কোনো কোনো মেয়ের যৌন ইচ্ছা পুরুষদের
চেয়ে প্রবল।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ২৩ বছর। আমার স্বামীর বয়স ২৭ বছর। আমাদের বিয়ে হয়েছে ১
বছর। সপ্তাহে ২-৩ বার সঙ্গম করি। এটা কি স্বাভাবিক?

উত্তরঃ হ্যাঁ অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে না।

প্রশ্নঃ সপ্তাহে কতদিন যৌনসঙ্গম করা উচিত?

উত্তরঃ এর জন্য ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। সপ্তাহে ১ দিন থেকে মাসে
প্রতিদিন যে কোনো রকমই হতে পারে।

প্রশ্নঃ মাসে ১ বার হস্তমৈথুন কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? যদি যৌনসঙ্গম ব
করা হয় তাহলে কি ক্ষতি হবে?

উত্তরঃ হস্তমৈথুন বা যৌনসঙ্গম শরীরের জন্য ভালো। হস্তমৈথুন বা যৌনসঙ্গম ব
করলে তৈরি হওয়া বীর্য স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে, এভাবেই তার নিজের
ব্যবস্থা করে।

প্রশ্নঃ আমি আমার যৌনসঙ্গিনীর মুখের ভেতরে ও উপরে বীর্যপাত করতে
ভালোবাসি। এটা কি ঠিক?

উত্তরঃ বিষয়টা আপনাদের দুজনের। জোর করলে বিষয়টা ভালো না। আপনার
যৌনসঙ্গিনীর ভালো লাগা, মন্দ লাগা, ইচ্ছার কথা জেনে সেভাবে আচরণ করা
ভালো।

প্রশ্নঃ আমি যৌনসঙ্গম করেছি ৪ বার। প্রথমবার ৪৫ মিনিট পর বীর্যপাত হয়েছে,
পরে ৫ মিনিটের মধ্যেই বীর্যপাত হয়ে গেছে, আমার মনে হচ্ছে সঙ্গিনীর তৃপ্তি
হচ্ছে না।

উত্তরঃ মাত্র ৪ বার সঙ্গম থেকেই বলা যায় না প্রতিবারই খুব তাড়াতাড়ি
বীর্যপাত হয়ে যাবে। ৫ মিনিটের বীর্যপাত হবে এটাই স্বাভাবিক। মনে হয় আপনার
সঙ্গিনী আপনার কাছে খুব যৌন উত্তেজনাময়ী, ফলে তাড়াতাড়ি বীর্যপাত হয়ে
যাচ্ছে। তেমন হলে তাকে বলুন। তবে যখনই বীর্যপাত হওয়ার মতো হয় তখনই লিঙ্গ
বের করে নিন। অপেক্ষা করুন কিছুক্ষণ, তারপর আবার শুরু করুন। এভাবে
বীর্যপাত পিছিয়ে দেয়া যায়।

প্রশ্নঃ যৌন সাহিত্য পড়া কি 'পর্নোগ্রাফি'র মধ্যে পড়ে?

উত্তরঃ পর্নোগ্রাফি বলতে নগ্ন চিত্র বোঝানো হয়। নগ্ন সাহিত্য ও নগ্নচিত্র
এক জিনিস নয়। নগ্ন সাহিত্য যৌন কর্মকাণ্ডের বর্ণনাসমৃদ্ধ আর পর্নোগ্রাফি
নগ্ন যৌনচিত্র ও যৌনসঙ্গমের চিত্র সমৃদ্ধ, দুটো দুই জিনিস।

প্রশ্নঃ আমি চাই আমার সঙ্গিনী আমার বীর্য খেয়ে ফেলুক। কিন্তু অসুখ হওয়ার
ভয়ে সে খায় না।

উত্তরঃ যৌন রোগে আক্রান্ত হলে সঙ্গিনীর অবশ্যই যৌনরোগ হবে। তবে বীর্য
খেয়ে ফেলা বিষয়টা রোগ সৃষ্টি করতে না পারলেও ঠিক নয়।

প্রশ্নঃ আমার ভাইয়ের বয়স ১২। ১০ বছর বয়স যখন তখন থেকেই সে আমাকে জড়িয়ে
ধরে, আমার বাবীরা এলেও তাদের শরীরে হাত দেয়, জড়িয়ে ধরে। অভিভাবকের সাথে
কথা বলেছি, তারা বলে এ বয়সে ওরকম হয়।

উত্তরঃ সে যদি বাবীদের স্তনে, নিতম্বে বা গোপনাঙ্গে হাত দেয় তাহলে তাকে
অবশ্যই থামাতে হবে। কারণ এগুলো যৌন অত্যাচার। কাজটা অবশ্যই সঠিক নয়। এখনই
না থামালে পরে বড় সমস্যা দেখা দেবে।

প্রশ্নঃ লিঙ্গ চুষে চুষে কি বড় করা যায়? এটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, কী করে
ছাড়াতে পারি?

উত্তরঃ না। ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আশা করি ছাড়তে পারবেন।

প্রশ্নঃ লিঙ্গ ৩ ইঞ্চি হওয়ায় আমার সঙ্গিনী তৃপ্তি পায় না। কী করা যাবে?
বড় করার কোনো পদ্ধতি আছে কি না?

উত্তরঃ লিঙ্গ অপারেশন করে বড় করলে নরম থাকে। খুব শক্ত হয় না। এসব না করে
এমন যৌনসঙ্গম পদ্ধতি ব্যবহার করুন যাতে সঙ্গিনী তৃপ্তি পায়।

প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ অনেক লম্বা। এটা কি বাঁকিয়ে আমার মলদ্বারে ঢুকিয়ে
বীর্যপাত করতে পারি?

উত্তরঃ হ্যাঁ। আশ্চর্য শোনাচ্ছে। তবুও অনেকে করে। তবে মলদ্বারের জীবাণু
লিঙ্গে লেগে অসুখ হতে পারে।

প্রশ্নঃ কোন বয়সে যৌনসঙ্গম শুরু করা ভালো?

উত্তরঃ ১৮ বছরের পর হলে ভালো।

প্রশ্নঃ কনডম কেনার জন্য বয়ঃসীমা আছে?

উত্তরঃ তেমন কোনো কিছু শুনিনি।

প্রশ্নঃ কী করে বীর্যপাতের সময় পেছাতে পারি?

উত্তরঃ 'Stop and go' পদ্ধতিতে। এ ব্যাপারে উপরে আলোচনা করা হয়েছে।

প্রশ্নঃ এক জায়গায় বসে একমনে যৌন কল্পনা করা এবং লিঙ্গ শক্ত করা কি স্বাভাবিক কাজ?

উত্তরঃ হ্যাঁ খুবই স্বাভাবিক। এর মানে হলো আপনি বয়ঃপ্রাপ্তি হয়েছেন- যৌন
কল্পনা করতে পারেন এবং প্রকাশ ঘটাতে পারেন।

প্রশ্নঃ আমার সঙ্গিনী যৌনসঙ্গম করতে চায়। আমি কোনোদিন করিনি, কী করে করব বলে দিন।

উত্তরঃ তাড়াহুড়ার কিছু নেই। মেয়েরা ছেলেদের অনেক আগে আগে বোঝে, সময় নিন।
এক সময় আপনার ভেতর থেকেই বেরিয়ে আসবে কী করে যৌনসঙ্গম করবেন।

প্রশ্নঃ যৌনসঙ্গমের সবচেয়ে কম সময় ও সবচেয়ে দীর্ঘ সময় কতটা? কতক্ষণ সঙ্গম করা উচিত?

উত্তরঃ সম্ভবত ৪০ সেঃ এবং ১৮ দিন। সঙ্গমকাল কতটা হবে এ নিয়ে ধরাবাঁধা
কোনো নিয়ম নেই। দুজনের সমমতিক্রমে যৌনসঙ্গমকাল ঠিক করা যায়।

প্রশ্নঃ এইচআইভি ভাইরাস কনডমের আবরণ দিয়ে প্রবেশ করতে পারে কি না?

উত্তরঃ না। প্রবেশ করতে পারে না বলেই যৌনসঙ্গমের সময় কনডমের ব্যবহার করতে
বলা হচ্ছে। যৌনরোগ ঠেকানোর ৩টি উপায়-

(১) অন্যের সাথে যৌনসঙ্গম থেকে বিরত থাকা

(২) একাধিক সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সাথে যৌনসঙ্গম না করা

(৩) কনডম ব্যবহার করা

প্রশ্নঃ যৌনাঙ্গ চুষিয়ে নিলে কি যৌনরোগ হতে পারে? কী কী অসুখ হতে পারে?

উত্তরঃ হ্যাঁ। গনোরিয়া, হারপিস, আঁচিল, ছত্রাক, সিফিলিস, ক্যানডিডিয়াসিস,
শ্যাংক্রয়েড, এলজিভি, এইচআইভি যে কোনো কিছুই হতে পারে।

প্রশ্নঃ ১০ বছরের মেয়ের সাথে যৌনসঙ্গম করা কি ঠিক হবে? আমার বয়স ১৬ বছর।

উত্তরঃ না।

প্রশ্নঃ আমার লিঙ্গ শক্ত হচ্ছে না। ভায়াগ্রা খেয়েও কোনো উপকার হচ্ছে না।
আমার স্ত্রী অসন্তুষ্ট, কি করা উচিত?

উত্তরঃ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ভায়াগ্রাতে উন্নতি না হলে সমস্যাটা
মানসিক। আপনি ও আপনার স্ত্রী দুজনে মিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। মানসিক
সমস্যা থাকলে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে উন্নতি করা যাবে।

প্রশ্নঃ আমি মেয়েদের প্যান্টি পরলে উত্তেজনাবোধ করি। আমি মাঝে মাঝে
প্যান্টি পরে উত্তেজিত হই ও হস্তমৈথুন করি, এটা কি ঠিক?

উত্তরঃ উত্তেজনা নানাভাবে আসে। তবে প্যান্টি ব্যবহার না করে ছোট জাঙ্গিয়া
ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

প্রশ্নঃ আমার বয়স ১৩ বছর। বয়স্ক লোকের সাথে যৌনসঙ্গম করার ইচ্ছা হয়। কি
করে সঙ্গম করতে পারব।

উত্তরঃ এই বয়সে যৌনসঙ্গম ঠিক নয়। ১৮+ হলে সঙ্গম করাটা সঙ্গত। তবে নিজেকে
সংযত করতে পারলে ভালো হয়।

প্রশ্নঃ হস্তমৈথুন করার সময়ে মলদ্বারে আঙ্গুল ঢুকালে বীর্যপাতের আনন্দ
বেড়ে যায় এটা কী ঠিক?

উত্তরঃ বিভিন্ন জনে বিভিন্ন উপায়ে বীর্যপাতের আনন্দ অনুভব করে। মলদ্বারে
আঙ্গুল ঢোকালে আনন্দ বাড়ে কি না সেটা করে দেখতে পারেন। সেক্ষেত্রে
পিচ্ছিলকারক কিছু জেলি ব্যবহার করা ভালো।

প্রশ্নঃ হস্তমৈথুনের সময় কতক্ষণ পর বীর্যস্খলন হওয়া উচিত। নারী সঙ্গমের
সময় কতক্ষণ পর বীর্যস্খলন হওয়া উচিত?

উত্তরঃ এর কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। এক এক জনের এক এক সময় লাগে। তবে 'Stop
and go' পদ্ধতিতে বীর্যপাতের সময় পিছিয়ে দেয়া যায়। নারী সঙ্গমের সময়কাল
কতটা হবে সেক্ষেত্রেও ওই একই কথা প্রযোজ্য।

প্রশ্নঃ আমার এক পুরুষ বুর প্রতি যৌন আকর্ষণ অনুভব করি। আমি কী তার সাথে
যৌন সম্পর্ক স্থাপন করব? মেয়ে দেখলেও উত্তেজনা অনুভব করি।

উত্তরঃ সমকামিতা সুস্থ যৌন আচরণ নয়। নিজেকে সংযত করুন। মেয়েদের সাথে
স্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাটা সুস্থতার লক্ষণ।

প্রশ্নঃ 'Stop and go' পদ্ধতি কি নারী সঙ্গমের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
যৌনসঙ্গমের মাঝে কি সঙ্গম থামিয়ে দেব? দেখেছি সঙ্গমের বিভিন্ন ভঙ্গিমাতে
বীর্যপাত পিছিয়ে যায় এবং বিভিন্ন ভঙ্গিমাতে বিভিন্ন অনুভূতি পাওয়া যায়।

উত্তরঃ হ্যাঁ ঠিক বলেছেন। ওই পদ্ধতিতে যৌনসঙ্গমের মাঝে বারে বারে সঙ্গম
থামাতে হয়। এক্ষেত্রে মেয়েটির সাথে আপনার আলাপ করে নেয়া প্রয়োজন, কারণ
এতে তার সুখানুভূতি ব্যাহত হলে সম্পর্কচ্ছেদ হয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন
ভঙ্গিমা ব্যবহার করেও সঙ্গমকাল দীর্ঘ করা যায়।

প্রশ্নঃ হস্তমৈথুন করার পর ইদানীং আমার তীব্র মাথাব্যথা ও ঘাড় ব্যথা
হচ্ছে। ব্যথা এত তীব্র যে চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা করে, কিভাবে মুক্তি
পাব?

উত্তরঃ সম্ভবত আপনার মাইগ্রেন জাতীয় মাথাব্যথা হচ্ছে। যৌন উত্তেজনা যার
কারণ। এরকম অনেকেরই হয়। আপনার চিকিৎসা প্রয়োজন। ডাক্তারের পরামর্শ নিন,
যে ভঙ্গিতে আপনি হস্তমৈথুন করেন সেই ভঙ্গি পরিবর্তন করে দেখতে পারেন এতে
আপনার মাংসপেশির চাপ কমে কি না। তাহলে মাথাব্যথা হবে না। ডাক্তার জানে,
কমবেশি বেশিরভাগই হস্তমৈথুন করে, সুতরাং লজ্জা পাওয়ার মতো কিছু নেই।

প্রশ্নঃ একটা মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক হয়েছে। সে যৌনসঙ্গম করতে চাচ্ছে।
আমার মনে হচ্ছে আমি পারব না। কী করা উচিত।

উত্তরঃ আপনার যৌনভীতি শুরু হয়েছে। বিষয়টা তাকে খুলে বলুন, সে আপনাকে
সাহায্য করতে পারবে। একবার কাজটা না করলে বোঝা যাবে না আপনি পারবেন কি
না। আগে চেষ্টা করুন, সম্ভব না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

প্রশ্নঃ হস্তমৈথুন করার পর বীর্য মুখে নিয়ে দেখতে ইচ্ছা করে কেমন লাগে
এটা কি নিরাপদ?

উত্তরঃ অনেকেই এ কাজ করে কিন্তু স্বীকার করে না। বীর্য মুখে নেয়াতে অসুখ
হবে না, বীর্যের স্বাদ লোনা পানির মতো।

প্রশ্নঃ একজন খুব Sexy ও Hot মেয়ের সাথে আমার যৌন সম্পর্ক হয়েছে। তবে
বীর্যপাতের সময় আমার পায়ের আঙ্গুল কুঁকড়ে এসেছে, এটা কি স্বাভাবিক?

উত্তরঃ হ্যাঁ। এটা স্বাভাবিক। বীর্যস্খলনের সময়ে অনেক সময় পায়ের
মাংসপেশিতে টান ধরতে পারে, একে Charlie horse বলে।

প্রশ্নঃ কিছুদিন আগে আমার এক বুর বাড়িতে টিভি দেখছিলাম। সে সময় তার
সুন্দরী আত্মীয়া ছাড়া ঘরে কেউ ছিল না। কিছুক্ষণ পরে আমাকে সে চুমু খেল।
আমি তাকে চুমু খেলাম। সে আমার লিঙ্গ নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করল। আমি চরম
উত্তেজনা অনুভব করলাম। তাকে একটানে শুইয়ে দিলাম এবং সঙ্গম করলাম। তখন
আমার শরীরে জিন্স প্যান্ট ও জামা কাপড় সব ছিল। কাপড় পরা অবস্থায় সঙ্গমে
চরম আনন্দ পেলাম। এরকম কি কেউ করে?

উত্তরঃ হ্যাঁ। অনেকেই এরকম করে এবং দারুণ তৃপ্তি অনুভব করে।

প্রশ্নঃ আমরা সন্তান নেব। আমার স্ত্রীর সাথে সঙ্গমের সময়ে তাকে চিৎ করে
শুইয়ে দিলাম, সে তার দুই পা আমার ঘাড়ে তুলে দিল। এরপর আমি আমার লিঙ্গ তার
যোনিপথের যতটা ভেতরে সম্ভব ঢুকিয়ে বীর্য ঢেলে দিলাম। এরপর সে একঘণ্টা
শুয়ে ছিল। শুনেছি এতে শুক্রাণু দ্রুত ভেতরে পৌঁছায় এটা কি ঠিক?

উত্তরঃ সম্ভবত ঠিক।

প্রশ্নঃ সম্প্রতি আমার চুল রঙ করে খয়েরি করেছি। শুনেছি এই রঙে মেয়েরা আকৃষ্ট হয়।

উত্তরঃ কে কোন রঙে আকৃষ্ট হবে তা ব্যক্তিমত না নেয়া পর্যন্ত বোঝা যায় না।
এখন দেখতে পাবেন কেউ আকৃষ্ট হচ্ছে কি না।

প্রশ্নঃ কোন ভঙ্গিতে বীর্যপাত সবচেয়ে আনন্দদায়ক? পেছন থেকে লিঙ্গ ঢুকিয়ে
বীর্যপাত করতে আমার ভালো লাগে।

উত্তরঃ এটা ব্যক্তি পছন্দের ব্যাপার। আপনার যৌনসাথী যেভাবে আনন্দ পায় সে
ভঙ্গি ব্যবহার করা ভালো।

প্রশ্নঃ যৌনসঙ্গমের সময় আমি বিভিন্ন শব্দ করতে পছন্দ করি। অন্যরা কি এরকম করে?

উত্তরঃ এক একজনের অভ্যাস এক এক রকম। তবে যৌনসঙ্গমের সময় অজান্তেই মুখ
থেকে নানা শব্দ বের হয় এটাই স্বাভাবিক।



http://www.ebanglahealth.com/3697

Blog Archive

Unordered List

Flag Counter

Admission Open

Visitor

Online


widgeo.net

ফেসবুকে পেজ

প্রয়োজনিয় ঠিকানা

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Test

NEW LAUNCHED

Powered by Blogger.

Earn

তাপমাত্রা

Followers

About Me

My Photo
রাসেল ফার্মেসী রাণীহাটি বাজার, মন্ত্রী মার্কেট, শিবগঞ্জ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এই www.raselpharmacy.blogspot.com (রাসেল ফার্মেসী ) ব্লগটি স্বাস্থ্য বিষয় সচেতনতা মুলক টিপস নিয়ে সাজানো হয়েছে । যা আসা করি আপনাদের কাজে আসবে । আপানর যে কোন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা আমদের খুলে বলুন। আমরা চেষ্টা করব এর সমাধান দিতে। এছাড়াও ফেসবুকে পেতে ভিজিট করুন https://www.facebook.com/Raselpharmacy

Featured Posts

Popular Posts

Recent Post

Blogger Tips and TricksLatest Tips For BloggersBlogger Tricks

Just Click To Earn Money

Count Posts & Comments

আপনার এই ব্লগটি কেমন লেগেছে ?

Text Widget

এই ব্লগের লেখা নিজের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বিভিন্ন বই,ওয়েবসাইট ও ব্লগ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।

Rolling Pictures

বিজ্ঞাপন

0

Add