একটা সুখের এবং কষ্টের কাজ । আমরা
ছেলেরা এই বিষয়টা বাহির থেকে
দেখি । আনন্দ পাই , কিন্তু মেয়েরা যে
পরিমান কষ্ট সহ্য করে একটা বাচ্চা এই
পৃথিবীতে আনে যা কখনই বুঝতে পারবো
না । আমার বন্ধু তালিকার সবাই প্রায়
তরুণ । অনেকেই নতুন বিয়ে করছে , সামনেই
তাদের ঘর আলো করে বাচ্চা আসবে ।
আমাদের সবার এই কথাটা মনে রাখা
উচিৎ যে আমাদের অর্ধাঙ্গিনীরা এই
৯টা মাস অনেক কষ্ট করে পার করবে ।
আমরা হয়ত শরীরের কষ্ট কমাইতে পারবো
না কিন্তু তাদের মন আনন্দে ভরিয়ে
দিতে পারবো । একই সাথে আমাদের
ভবিষ্যৎকরনীয় বিষয়গুলো নিয়েও সচেতন
থাকতে হবে । বাংলাদেশ যেহেতু , সবার
প্রথম যথেষ্ট পরিমান টাকা জমিয়ে
রাখতে হবে হাতে । নিয়মিত ডাক্তার এর
চেকআপ করাতে হবে । ঠিক মত
খাওয়াদাওয়া করাতে হবে । কোন রকম
ভারী কাজ করতে দেয়া যাবে না ।
কোথায় ডেলিভারি করাবেন, সেখানে
কিভাবে নিয়ে যাবেন সেগুলো আগে
থেকেই ঠিক করিয়ে রাখতে হবে ।
অপদার্থের মত সব কিছু ডাক্তার এর হাতে
ছেড়ে দিবেন না । কি হচ্ছে না হচ্ছে এই
বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে । আমাদের
প্রথম বাচ্চার জন্মের সময় আমরা অনেক
কেয়ারফুল ছিলাম । কিন্তু তারপরও অনেক
ভুল করে ফেলেছিলাম যার জন্য আমরা
তাকে হারিয়েছি । এই কষ্ট
সারাজীবনের । আপনারা ভুল করবেন না ।
বাংলাদেশ অনেক খারাপ একটা জায়গা
। এখানে স্বাস্থ্য সেবা নয় ব্যবসা ।
এখানকার ক্লিনিক + ডাক্তারদের একটা
বড় চেষ্টা থাকে প্রিম্যাচিউর বেবি
জন্ম দেয়ার । এখানকার ডাক্তাররা কখনই
আপনাকে নরমাল ডেলিভারির কথা
বলবে না । নানা রকম ভয় দেখাবে যাতে
সিজার করতে রাজি হন । কারন নরমাল
ডেলিভারিতে তাদের ইনকাম কম ।
সিজার করলে ইনকাম বেশি হওয়ার একটা
বিশাল সুযোগ থাকে ।
আমার টাকার অভাব ছিল না , অভাব
ছিল জ্ঞানের । বাসার কাছেই বলে
নিয়ে গিয়েছিলাম সিদ্ধেশ্বরীর
"মনোয়ারা হাসপাতাল" এ । ওখানকার
ডিউটি ডাক্তার ( যতদূর সম্ভব ইন্টার্ন )
ঠিক ভাবে চেকআপ না করেই বলেছিল
যে আমার স্ত্রীর ডেলিভারি পেইন
উঠেছে । অথচ আমার স্ত্রীর সেই রকম
ব্যাথাও ছিল না , পানিও ভেঙ্গে যায়
নাই । সিজার করার জন্য ডাক্তার শায়লা
শামিম ( MBBS, FCPS (Obs & Gynae) Assitant
Professor, Gynae & Obs. Bangabandhu Sheikh
Mujib Medical University ) যে কোন রাস্তা
দিয়ে অপারেশন থিয়েটার এ গেলো তা
আমি জানিই না । একবার আমার সাথে
কথাও বলে নাই অপারেশন শুরুর আগে ।
অতীতে চেকাপের সময় উনাকে একবার
জিজ্ঞাসা করেছিলাম ম্যাডাম নরমাল
ডেলিভারি ভালো নাকি সি-সেকশন
ভালো । উনার ভদ্রতার মুখোশ খুলে উনি
আমাকে বিশাল একটা ঝাড়ি
দিয়েছিলেন যে আর কিছু বলি নাই ।
যাই হোক আমার অজ্ঞতা আর উনাদের
লোভ একটা বাচ্চার জীবন অনিশ্চিত
করেই এই পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিল ।
ইবাদত ( আমার প্রথম ছেলের নাম ) এর
জন্মের পর যখন আমাকে দেখানো হল তখন
নার্সরা বললো বাচ্চা ভালো আছে , সব
ঠিক আছে । আমিও আনন্দে খুশিতে
উনাদের বখশিশ দিলাম । একটু পড়ে শিশু
ডাক্তার যিনি অপারেশন এর সময়
উপস্থিত ছিলেন , উনি বের হচ্ছিলেন ।
আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে
বাচ্চা আর মাকে কখন বাসায় নিতে
পারবো । উনি অনেক রুডলি আমাকে
বললেন , বাসায় নিবেন ? আপনার বাচ্চা
বাঁচে কিনা সেইটা আগে দেখেন । উনার
কথায় আমি হতভম্ব । মনে হলো সেকেন্ড
এর মধ্যে জান্নাত থেকে জাহান্নামে
এসে পড়লাম । উনি নিজে গজর গজর করতে
করতে বের হয়ে গেলেন । একজন
ডাক্তারকে মনে হয় শিক্ষা দেয়া হয় যে
কিভাবে রোগীর স্বজনদের সাথে কথা
বলা উচিৎ । বাংলাদেশ জন্য উনারা এই
শিক্ষাটা ভুলে গেছেন ।
বাচ্চাকে নিয়ে গেলো এনআইসিইউ তে ।
যেখানে আমাদের যেতে দেয়া হয় না ,
কথা বলার মত , কিছু জিজ্ঞাসা করার
মতও কেউ নাই । আমি একবার এনআইসিইউ
এর সামনে দৌড়াই আরেকবার পোস্ট
অপারেটিভ রুমের সামনে । একই সাথে
কেবিন পাওয়ার জন্য এডমিনিস্ট্রেসন এ ।
বাচ্চার কি সমস্যা হইছে কিছুই জানি না
। পুরো দিনটা এভাবে গেলো । রাতে
শিশু ডাক্তার আবার আসলেন । জানা
গেলো আমার বাচ্চা সময়ের আগেই জন্ম
নেয়ার কারনে তার ফুসফুস কাজ করছে না
। তাকে আপাতত ইনকিউবেটর এ রাখা
হয়েছে অক্সিজেন দিয়ে । তার অবস্থা
ভালো না । কি বলবো মনের ভিতর যে
কি যাচ্ছিল । কেবিন এ ফিরে জেরিনকে
বললাম বাবু ভালো আছে । সব ঠিক আছে ।
এনআইসিইউ এর ঠিক সামনের কেবিনটা
নিয়েছি যাতে বাচ্চার খোজখবর নেয়া
যায় । রাতে চোখটা একটু বন্ধ করেছি ঠিক
এই সময় নার্সরা ডাক দিল । এনআইসিইউ
এর ভিতরে গিয়ে ডিউটি ডক্টর এর কাছে
জানতে পারলাম, আমার বাচ্চার অবস্থা
ভালো না , তাকে ইমিডিয়েট লাইফ
সাপোর্ট এ দিতে হবে যে মেশিন তাদের
এখানে নাই । জিজ্ঞাসা করলাম
কোথায় আছে । বললো ধানমন্ডির
পেডিহোপ হাসপাতাল এ । ( পরবর্তিতে
জানতে পেরেছিলাম যে পেডিহোপ এর
সাথে তাদের একটা লিয়াজো আছে ) ।
বললাম বাচ্চাটাকে একটু দেখতে পারি ।
ছোট্ট একটা বাচ্চা , বুকটা উঠানামা
করছে, মনে হচ্ছে একেবারে ভেঙ্গে
যাবে । ওদেরকে বললাম এম্বুলেন্স রেডি
করতে । আম্মুকে ফোন দিয়ে বললাম
হাসপাতাল এ আসতে । বন্ধু শাওন
আনোয়ারকেও ফোন দিয়ে আসতে বললাম
। জেরিনকে বললাম শক্ত হইতে তোমার
বাবুকে আমি অন্য হাসপাতাল এ নিয়ে
যাচ্ছি । ১০ মিনিট এর মধ্যেই বাচ্চাকে
নিয়ে রওনা দিলাম । রাস্তা ফাকা ছিল
অনেক দ্রুতই পৌঁছে গেলাম পেডিহোপ
নামের জঘন্য হাসপাতাল এ। ওরা ওরাই
সবকিছু করে বাচ্চাকে লাইফ সাপোর্ট
মেশিন এ দিয়ে দিল । আমাকে অফিস এ
নিয়ে জানানো হইলো তাদের এইখানে
প্রতিদিনের খরচ কি রকম এই সেই ।
হাসপাতাল এর অবস্থা দেখেই আমার মন
চুপসায় গেছে । হাসপাতাল কম বস্তি
বলাই বেটার ।
সকাল বিকাল ডাক্তার আসে । একটা
কথাই শুধু শুনি আপনার বাচ্চার অবস্থা
ভালো না । কাচের জানালা দিয়ে
দেখি আমার বাবুর বুক উঠানামা করছে ।
যতক্ষণ পারি তাকিয়ে থাকি । একটু
গবেষণা করে জানা গেলো এই সমস্যার
নাম RDS ( Respiratory Distress Syndrome )
এবং প্রথম চিকিৎসাই হল Surfactant therapy
। দৌড়ে যাই ডিউটি ডাক্তার এর কাছে ।
তাকে বলি আমার বাচ্চাকে কি এইটা
দেয়া হয়েছে কিনা । তার কাছ থেকে
নাম্বার নিয়ে কথা বলি মেইন ডক্টর এর
সাথে । সে বলে জন্মের ছয় থেকে বারো
ঘণ্টার মধ্যেই দিতে হয় । এইটা দেয়ার
দায়িত্ব মনোয়ারা হসপিটাল এর শিশু
ডাক্তার এর ছিল । শিশু ডাক্তারকে ফোন
দিলে সে বলে মনোয়ারা হাসপাতালে
নাকি সেই সুযোগ সুবিধা ছিল না ।
মনোয়ারা হাসপাতালে ব্যবস্থা না
থাকলে জন্মের প্রথম ১২ ঘণ্টা
বাচ্চাটাকে শুধু ইনকিউবেটর এ রেখে
ওরা টেস্ট করতেছিল । তারপর
ডাক্তারকে বলি বাচ্চার অবস্থা যখন
এতোই খারাপ এখনও আমি
সারফ্যাক্টান্ট থেরাপি দিতে চাই ।
যদি কিছু উন্নতি হয় । ডিউটি ডক্টর একটা
ছোট কাগজের টুকরায় ওষুধের নাম লিখে
দেয় । বলে ওষুধের দাম ২০-২৫ হাজার
টাকা । এইজন্য তারা নাকি সবাইকে বলে
না । তার কথা আর কাগজের হাতের
লেখা দেখে আমি হতভম্ব । আর যাই হোক
কোন প্রফেশনাল ডাক্তার এর হাতের
লেখা সেইটা ছিল না ।
ধানমন্ডির রাস্তায় রাস্তায় দৌড়াই
ওষুধের খজে আমি আর মাসুদ । অনেক
খোজাখুজির পর পেয়ে যাই । বুকের মধ্যে
একটু আশা বাড়ে , হয়ত আমার বাচ্চাটা
সুস্থ হয়ে যাবে । ওষুধ নিয়ে এসে
ডাক্তারকে বলি যে ওষুধ দেয়ার সময়
আমি থাকতে চাই । এদের স্বভাব চরিত্র
সম্পর্কে ততক্ষণে ধারনা হয়ে গেছে ।
দামি ওষুধ যদি না দিয়েই বলে যে
দিয়েছি । ওষুধ দেয়া হলো , আমার বুকে
আর কোন সাহস অবশিষ্ট নাই । বন্ধু
আনোয়ারকে আগে বারবার বলছিলাম
অন্য কোন ভালো হাসপাতাল এ নেয়ার
ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা দেখতে ।
কিন্তু ওষুধ দেয়ার সময় বুঝতে পারলাম যে
লাইফ সাপোর্ট থেকে খুললে বাচ্চার
শ্বাসপ্রসাস পুরো থেমে যায় । এই
বাচ্চাকে নিয়ে আর কোথাও যাওয়ার
সুযোগ নাই । এক মিনিট নিঃশ্বাস নিতে
না পারলে আমাদের কত কষ্ট হয় । তিনটা
দিন আমার বাচ্চাটা এতো কষ্ট সহ্য
করলো , আমি বাবা হয়ে ওর জন্য কিছু
করতে পারলাম না । অবশেষে ডাক্তার
জানালো তাদের আর কিছু করার নাই ।
আমি চাইলে শেষ বারের মত আমার
ছেলেকে দেখতে পারি । এপ্রোন পড়ে
আইসিইউতে গেলাম । আমার বাবা চোখ
বন্ধ করে ছিল । ওর কপালে একটু হাত
রাখলাম । ও চোখ মেলে তাকালো । ওর
চোখ দিয়ে দুই ফোটা জল গড়িয়ে পড়লো ।
এতোটুকু বাচ্চা ওই কি বুঝতে পেরেছিল
যে বেচে থাকতে ওই কোনদিন ওর মায়ের
বুকের আদর পাবে না । আমি আর কিছু
দেখিনাই চোখে । সব কিছু ঘোলা হয়ে
গেলো । বের হয়ে বললাম জেরিনকে যে
করে হোক রিলিজ করিয়ে নিয়ে আসতে ।
জন্মের পর থেকে ও ওর বাচ্চাটাকে
দেখতে পারে নাই । বন্ধুরা জেরিনকে
এ্যাম্বুলেন্স এ করে নিয়ে আসলো
জানিনা তখন আমার বাবা এই পৃথিবীতে
আর ছিল কিনা । জেরিন আর আম্মু
কাচের ফাক দিয়ে বাবুকে দেখে বাসায়
চলে গেলো । তার কিছুক্ষণ পর সাদা
কাপড়ে মুড়িয়ে আমার সোনামনিটাকে
আমার বুকে দিল । এতো সুন্দর হাসি মুখ
নিয়ে ছিল । মনে হচ্ছিল পৃথিবীর এই সব
কষ্ট থেকে ওই মুক্তি পেয়ে গেছে ।
বাপের কোলে তিনদিনের বাচ্চার দেহ
যে কতটা ভারী হতে পারে তা আমি টের
পাইলাম । বাসায় কেউ জানতো না ।
আমি আমার বাবাকে নিয়ে বাসায়
আসলাম । জেরিন তো সাথে সাথেই
পড়ে গেলো । বাচ্চার জন্য কাদবো না
জেরিনকে সামলাবো বুঝতে পারছিলাম
না । জেরিন এর বুকে ওর এতো কষ্টের ধন
নিথর দেহটা দিলাম । আমি পারি নাই
ওরা বাচ্চাটাকে বাচাইতে । আমি
অনেক কিছুই জানতাম না । জানতাম না
মনোয়ারা হাসপাতাল এতো খারাপ ।
জানতাম না পেডিহোপ হাসপাতাল
এতো খারাপ । পড়ে কাউসার ভাইয়ের
কাছে শুনি প্রায় একই ঘটনা । তিনিও
মনোয়ারা - পেডিহোপ হাসপাতালের এই
চক্রান্তে পড়তে ধরেছিলেন । কিন্তু
তাদের জানা থাকায় তারা পেডিহোপ
এ না নিয়ে নিজ দায়িত্তে স্কয়ার
হাসপাতাল এ নিয়ে গিয়েছিলেন ।
আমাদের এই দেশে মানুষের জীবনের
দাম নাই । ডাক্তাররা রোগীর কথা
চিন্তা করে না । তারা চিন্তা করে
বাচ্চা প্রিম্যাচিউর হলেই ব্যবসা ।
আইসিইউতে ঢুকাইতেই পারলেই লাখ লাখ
টাকা ইনকাম । তাতে বাচ্চা বাচুক আর
মরুক । তাদের মনের ভিতর একটা ফুটফুটে
বাচ্চার জন্য এক ফোটা মায়া হয় না ।
অনেক হাসপাতাল এ তো শুনেছি
ইঞ্জেকশন দিয়ে ডেলিভারী পেইন তুলে
দেয় বাচ্চা প্রিমাচিউর করার জন্য ।
অনেক হয় দেখে শেখে না হইলে নিজের
জীবন দিয়ে শেখে । আমি আমার জীবন
দিয়ে শিখেছি । পুরো লেখাটা লিখতে
আমার চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়েছে
। আমার এই লেখা পড়ে যদি তোমরা কিছু
শিখতে পারো তাহলেই আমার লেখা
সার্থক হবে । নিজের বাচ্চার জন্মের সময়
অনেক সতর্ক থাকা প্রয়োজন, সবকিছুর জন্য
প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন । সবাই পারলে এই
পেডিহোপ হাসপাতাল , মনোয়ারা
হাসপাতাল , ডাক্তার শায়লা শামিম ,
তার সাথের শিশু বিশেষজ্ঞ এবং এদের
মত সব ডাক্তারদের কাছে থেকে দূরে
থাকবেন । এইসব বিষয়ে ইন্টারনেট এ
অনেক লেখা আছে । এই লেখাগুলো
পড়বেন । ডাক্তাররা বেশিরভাগ সময়ই ২
সপ্তাহ আগে অপারেশন করতে চায় । এই
বিষয়েও সতর্ক থাকা দরকার । অনেক সময়
বলে আপনার বাচ্চার ওজন বেশি তাই
তারাতারি অপারেশন করতে হবে ।
জন্মের পর বলবে ওজন কম এইজন্য
লাইফসাপোর্ট এ রাখতে হবে । এতো কিছু
লাগে না । নরমাল ডেলিভারি সবচাইতে
ভালো । বাচ্চা হওয়ার পরপরই মায়ের
বুকে দেয়া উচিৎ এবং শালদুধ খাওয়াতে
হবে । অনেক সময় মায়ের বুকে দুধ আসতে
দেরি হয় । এইসময় দুধ না আসলেও
বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা
করতে হবে , বাচ্চা চুষলেই দুধ আসবে ।
এছাড়াও এই বিষয়ে সাহায্য প্রদান করে
এমন একটি সংস্থা হচ্ছে বাংলাদশ
ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেসন ( http://bbf-
bangladesh.org/ ) যা মহাখালিতে অবস্থিত
। এদের প্রশিক্ষিত নার্সরা খুব সামান্য
ফি এর বিনিময়ে আপনার বাসায় গিয়ে
দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে সাহায্য করবে ।
অনেক সময় দুধ এর শিরায় ব্লক থাকে ,
এইজন্য বাচ্চা দুধ পায় নাই । এইসব বিষয়ে
BBF সবচাইতে ভালো সাহায্য করতে
পারে । ভুলেও বাচ্চাকে ফর্মুলা বা
পাউডার দুধ খাওয়াবেন না । এইটা
বাচ্চার শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর ।
মায়ের বুকের দুধই শ্রেষ্ঠ খাবার । সবাই
ভালো থাকবেন ।
--
Director -
Md. Asaduzzaman RaSeL
Friends Computer Training Center
Ranihati Bazar, Allahr Dan Market ( 2nd Flor) ,
Shibgonj, Chanapnawabgonj
+8801725345677