Monday, December 29, 2014

রোগে রাতে ঘুমানোর সময়
কিংবা দুপুরে খাওয়ার পর বুক
জ্বালা পোড়া করে। অনেক
ডাক্তারের দেয়া ওষুধ খেয়েও
হয়তো গ্যাস্ট্রিক থেকে নিস্তার
মেলে নি। অথচ অল্প
কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই
গ্যাস্ট্রিককে দূরে রাখা যায়।
প্রতিবেলায় যেটুকু খাবার খাচ্ছেন
আজ থেকেই
তা অর্ধেকে নামিয়ে আনুন। ভয়
পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
আপনাকে খাওয়া কমিয়ে দিতে বলছি না।
শুধু প্রতিবেলার খাবার
একবারে না খেয়ে দুইবারে খান।
এভাবে তিনবেলার খাবার ছয়বারে।
এতে হজমে সুবিধা হবে।
খাওয়া কখনোই তাড়াহুড়ো করে নয়।
ধীরে সুস্থে সময় নিয়ে চিবিয়ে খান।
প্রতি লোকমা ভাত
বা রুটি ভালো করে চিবোন। খাওয়ার
পর পর শুয়ে পড়া উচিত নয়। বরং একটু
হাঁটাচলা করুন। পেটের খাবার
তাড়াতাড়ি হজম হবে।
দিনে নিয়ম করে কমপক্ষে দুই লিটার
পানি পান করুন।
পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
খাওয়ার আগেই প্যান্ট বা লুঙ্গির
গিঁট ঢিলা করে নিন। শক্ত বাঁধন টক
ঢেকুরের কারণ হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক
কমাতে হাঁটাচলা এবং ব্যায়ামের
কোনো বিকল্প নেই। তাই নিয়ম
করে হাঁটাচলা করুন।
সবচেয়ে ভালো হয়
যদি তিনবেলা খাওয়ার পর একটু
হাঁটতে পারেন। রাতে ঘুমানোর
তিনঘণ্টা আগে রাতের খাবার
খেয়ে নিন।
প্রতিদিনের মেন্যুতে আঁশযুক্ত খাবার
যোগ করুন। আঁশযুক্ত খাবার খুব দ্রুত হজম
হয়। লাল আটার রুটি, লাল চালের
ভাত, যেকোন ধরণের ডাল প্রধান
আঁশযুক্ত খাবার।
গ্যাস্ট্রিকের প্রধান শত্রু ধূমপান।
সিগারেটের নিকোটিন খাবার
হজমে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব
ফেলে। তাই সবার আগে ধূমপান ত্যাগ
করুন।
অনেক সময় মানসিক চাপ থেকেও বুক
জ্বলা শুরু হতে পারে। তাই
নিশ্চিন্তে থাকার চেষ্টা করুন।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। মানসিক
প্রশান্তি এই রোগ
থেকে মুক্তি দিতে পারে আপনাকে।

ঔষধ
..........
Tab- Ranitid, tab- newtac, Tab- newseptinR, cap- seclo, Tab- antac
ইত্যাদি।
এগুলো খেলেও গ্যাস কমাতে পারেন

Saturday, December 20, 2014

পিরিয়ডের সময় বিশেষ
খাবার? খাওয়া দূরে থাক,
শিরোনাম পড়েই
অস্বস্তিতে ভুগতে শুরু করেছেন অনেক
নারী। আমাদের
দেশে মেয়েরা অনেক বড় বড় অসুখও
যেখানে লজ্জায় লুকিয়ে রাখেন,
সেখানে পিরিয়ডের সময়
খাওয়া দাওয়ার দিকে মনযোগ
দেয়ার
ব্যাপারটা তো কারো মাথাতেই
আসবে না। তবে সত্যটা হচ্ছে,
পিরিয়ডের এই ৩-৫ দিন অনেকটা রক্ত
বের হয়ে যায় শরীর থেকে, আর তাই
অবশ্যই শরীরের চাই বিশেষ খাবার।
তা না হলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির
অভাবে দুর্বল হয়ে পড়বেন,
দেখা দেবে নানান শারীরিক
সমস্যা।
আসুন, জেনে নিই পিরিয়ডের সময়
কোন খাবারগুলো নারীর জন্য খুব
জরুরী।
১) পানি
একথা ভুলে গেলে চলবে না যে কেবল
রক্তপাত নয়, সেই সাথে শরীর
হারাচ্ছে অনেক খানি তরল। আর এই
অভাব পূরণ করতে পান করতে হবে প্রচুর
পানি। না, পানীয় নয়। সাধারণ
পানি। চা, কফি, কোলা ইত্যাদির
চাইতে অনেক বেশী স্বাস্থ্যকর
সাধারণ পানি। হালকা কুসুম গরম
পানি পান করতে পারেন, এতে পেট
ব্যথায় আরাম হবে।
২) মাছ
বিশেষ করে সামুদ্রিক
মাছে থাকে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল,
ফ্যাটি এসিড ইত্যাদি।
এবং এগুলো পিরিয়ড চলাকালীন
শরীরের ক্ষয় পূরণ
করে এবং ব্যথা কমাতেও
ভূমিকা রাখে। পিরিয়ডের সময় মাছ
খেতে ভুলবেন না যেন। সামুদ্রিক
মাছ খেলে আরও ভালো।
৩)কলা
হ্যাঁ, কলা। পিরিয়ডের
দিনগুলিতে কলা খেতে ভুলবেন
না একেবারেই। কলা পটাশিয়ামের
ও ভিটামিনের খুব ভালো উৎস,
যা পিরিয়ডের সময় আপনার জন্য
জরুরী। এই কলা পিরিয়ডকালীন
বিষণ্ণতা কমাতেও সহায়ক।
তাছাড়া পিরিয়ডের সময় অনেক
নারীই ডায়রিয়াতে ভুগে থাকেন,
যা দূর করতে সাহায্য করবে এই কলা।
৪) লাল মাংস
শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়
পিরিয়ডের সময়ে, যা পূরণ করবে লাল
মাংস। চর্বি ছাড়া লাল মাংস
অবশ্যই রাখুন খাবারের তালিকায়,
সাথে রাখুন প্রচুর সালাদ। শরীর
থাকবে সুস্থ।
৫) বাদাম ও বীজ জাতীয়
খাবার
বাদাম ভর্তি নানান রকম ভিটামিন
ও মিনারেলে যা পিরিয়ডের সময়
শরীরের জন্য ভালো। তবে খেয়াল
রাখবেন, বাজারের
বাড়তি লবণে ভাজা বা চিনিতে জড়ানো বাদাম
খাবেন না। চীনা বাদাম, কাজু
বাদাম, কাঠ বাদাম, পেস্তা, আখরোট
ইত্যাদি তো খেতে পারেনই।
সাথে বীজ কুমড়ার বীজ সহ
নানা ধরণের বীজ রাখতে পারেন
খাবারের তালিকায়।
৬) ডার্ক চকলেট
পিরিয়ডের সময় প্রতিদিন কয়েক
টুকরো ডার্ক চকলেট
হতে পারে আপনার জন্য দারুণ
উপকারী। ডার্ক চকলেটে চিনি নেই,
ফলে ওজন বাড়বে না। বরং আছে প্রচুর
ম্যাগনেসিয়াম। এই চকলেট পিরিয়ড
চলাকালীন বিষণ্ণতাও দূর করবে।
৭) সবুজ শাক
সবুজ শাক ও সালাদের পাতা জাতীয়
খাদ্য এই মুহূর্তে আপনার
সবচাইতে বেশী প্রয়োজন।
এতে আছে প্রচুর আয়রন, যা শরীরের
ক্ষয় পূরণে সহায়তা করবে। অবশ্যই
প্রতি বেলার খাবারে রাখুন সবুজ
পাতা, যেমন- বিভিন্ন ধরণের শাক ও
সালাদ লিফ।

নারীর
জীবনে দু'তিনটে পর্বে পিরিয়ড
অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে।
মেনার্কি বা মেন্সট্রয়েশন শুরুর
সময়ে। এ সময় ওভারি ততটা পরিপক্ব
হয়ে ওঠে না বলে তার পূর্ণ
কর্মক্ষমতা দেখা যায় না। খেয়াল
করে দেখবেন ডেলিভারির পর ৩-৪
মাস পিরিয়ড একটু অনিয়মিত থাকে।
তবে সন্তানকে ব্রেস্ট
ফিডিং করালে এ পর্ব আরও
দীর্ঘায়িত হতে পারে। এ তো সবারই
জানা যে মধ্য বা শেষ
চল্লিশে ওভারি প্যাক আপ করার জন্য
তৈরি হয়। মেনোপজের আগে তাই
পিরিয়ড অনিয়মিত হয়।
পিরিয়ড ইরেগুলার বা অনিয়মিত
কিনা বুঝবেন কীভাবে?
উপরে উল্লেখ করা সময় ছাড়া যদি দুই
পিরিয়ডের মধ্যে ৫ সপ্তাহের
বেশি ব্যবধান হয় তবেই বুঝবেন
সমস্যা হয়েছে। তবে জীবনে অনেক
ঘটনা আছে যা যৌন হরমোনের
ব্যালান্স নষ্ট করতে পারে। তাতেও
পিরিয়ড বিঘ্নিত হয়।
স্ট্রেস :
মানসিক চাপ রিপ্রোডাকটিভ
সিস্টেমকে সহজেই প্রভাবিত করে।
পরীক্ষার সময় এমন হয়, খেয়াল
করেছেন? পিরিয়ডে একটু গোলমাল।
কখনও নিকটাত্মীয়
মারা গেলে বা দারুণ অসুস্থ হলে।
বাড়ি বদলালে অথবা চাকরি চেঞ্জ
করলেও দেখবেন
প্যাটার্নটা বদলে যায়। স্বাভাবিক
সুস্থ জীবনে ফিরে গেলেই কিন্তু সব
ঠিক হয়ে যায়।
বডি ওয়েট :
ওজন ধুম করে বাড়লে বা কমলে নর্মাল
সাইকল ব্যাহত হয়। আগে যা শরীরের
ওজন ছিল, সেখানে ফিরে গেলেও
পিরিয়ড আবার আগের
মতো স্বাভাবিক হতে একটু সময়
লাগে।
ডায়েট :
হঠাৎ ভেজিটেরিয়ান হয়ে গেলেন
বা ক্র্যাশ ডায়েট প্রোগ্রাম শুরু
করলেন। আপনি অবশ্যই
সমস্যা ডেকে আনলেন। পিরিয়ড ধুম
করে বন্ধ
হতে পারে কিংবা একেবারে অনিয়মিত
হয়ে যেতে পারে।
এক্সারসাইজ :
কথা নেই বার্তা নেই, প্রচুর ব্যায়াম
শুরু করে দিলেন। পিরিয়ডের
যে নিয়মিত চক্র, তা বিঘিœত
হতে পারে। আসলে বডি ফ্যাট হঠাৎ
কমলে হরমোনে বৈষম্যের
ফলে ওভারির ফাংশন পরিবর্তিত হয়।
ক্রনিক অসুখ :
কিছু অসুখ আছে যা লম্বা সময়
ধরে ভোগায়। যেমন ডায়াবেটিস,
থাইরয়েড, অ্যাজমা,
টিবি বা যক্ষ্মা, ক্যান্সার। পিরিয়ড
বন্ধ হয়েও যেতে পারে,
কমতে তো পারেই।
ড্রাগ :
অনেক ওষুধ রয়েছে যা নর্মাল
পিরিয়ডকে ব্যাহত করে। যেমন
অ্যান্টি-ডিপ্রেসান্ট।
লিভারে প্রতিক্রিয়ার জন্য হরমোন
লেভেলে রদবদল হয়। যেসব
কন্ট্রাসেপটিভে প্রজেস্টোরেন
রয়েছে তা থেকেও কিন্তু পিরিয়ড
অনিয়মিত হতে পারে। পিরিয়ড বন্ধও
হয়ে যায় অনেক সময়।
মনে রাখতে হবে হরমোনের
ভারসাম্যের জন্যও কিন্তু ওভ্যুলেশন
ডিসঅর্ডার দেখা দিতে পারে।
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম :
ওভ্যুলেশনের জন্য প্রয়োজনীয়
ডিম্বাণু আদৌ ম্যাচিওর করে না।
আসলে এসব মহিলার একটা নির্দিষ্ট
প্যাটার্নে এগ বা ডিম্বাণু তৈরি হয়
না। পলিসিস্টিক কেন?
একটা আলট্রাসাউন্ড করলেই
দেখা যাবে ওভারিকে ঘিরে রেখেছে অসংখ্য
ফলিকল বা সিস্ট। ঠিক যেন মুক্তোর
মালার মতো। ডিম্বাণুর অনিয়মিত
বৃদ্ধির জন্যই পিরিয়ড বিঘ্নিত হয়।
সময়ের ঠিক থাকে না,
কবে হবে জানাও যায় না।
এরা ওভারওয়েট। ব্রণ থাকবে,
তৈলাক্ত ত্বক, মাথার চুলও কমবে।
শরীর বেশ রোমশ হয়ে যায়।
ওভারিতে হরমোনের ব্যালান্স নষ্ট
হয়, পুরুষ হরমোন অ্যান্ড্রোজনের
মাত্রা বাড়ে। তাই যত বিভ্রাট।
হাইপারপ্রোল্যাকটিনিমিয়া :
চাইল্ডবার্থের পর পিটুইটরি গ্ল্যান্ড
তৈরি করে প্রোল্যাকটিন। উদ্দেশ্য
মিল্ক সিক্রিশন বাড়ানো। ব্রেস্ট
ফিড করান না এমন মহিলার
যদি প্রোল্যাকটিন বেড়ে যায়,
তাহলে পিরিয়ড বিঘ্নিত হবে।
বুকে দুধও
অস্বাভাবিকভাবে তৈরি হয়। এসব
মহিলার পিটুইটারিতে ছোট বিনাইন
টিউমার থাকাও অসম্ভব নয়।
তাতে মাথাব্যথা হবে,
চোখে দেখার সমস্যাও হতে পারে।
প্রি-ম্যাচিওর মেনোপজ :
৪৫ থেকে ৫০, এটাই মেনোপজের গড়
বয়স। ১ থেকে ২% মহিলার
ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অনেক
তাড়াতাড়ি ঘটতে পারে। এরা অসুস্থ,
এমনটা ভাবার কারণ নেই।
এরা আসলে ওভারিতে কম সংখ্যক এগ
নিয়ে জন্মান।
তবে ক্রোমোজমে বৈষম্য, ইনফেকশন,
সিস্ট/টিউমার, সার্জারি,
রেডিয়েশন
অথবা কেমোথেরাপিতে ওভারিয়ান
ফেলিওর ত্বরান্বিত হয়।
হেভি অথবা অনিয়মিত পিরিয়ড
কিন্তু আপনার ওয়েক-আপ কল। দ্রুত
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাহায্য
নিন। সঙ্গে ওবেসিটি, অস্বাভাবিক
হেয়ার গ্রোথ, মিল্ক সিক্রিশন
বা মাথা ব্যথা হলে একদম দেরি না।
ওভ্যুলেশন প্রবলেম
থাকলে যে নারী কনসিভ করার
চেষ্টা করছেন,
তাকে তো অবিলম্বে পরামর্শ নিতেই
হবে।

আমাদের দেশে সাধারণভাবে ১২
বছরের মধ্যে মেয়েদের পিরিয়ড শুরু
হয়ে যায়। যদি কারো খুব ছোটবেলায়
বা বেশি বড় বয়সে পিরিয়ড শুরু হয়
তা হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের
সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। অতিরিক্ত
আগে (প্রিকয়েশিয়াস পিউবার্টি)
মাসিক হয় ডিম্বাশয়ে (ওভারি)
বিশেষ ধরনের টিউমার থাকলে।
সে ক্ষেত্রে আলট্রাসনোগ্রাফি বা অন্য
কয়েকটি পরীক্ষায় কারণ নির্ণয়
সম্ভব। খুব বেশি দেরিতে মাসিক
হলে (ডিলেট মেনার্কি) অন্য
শারীরিক লক্ষণ যেমন
অ্যাকসিলারি হেয়ার, ব্রেস্ট বাড,
পিউবিক হেয়ার এসব
ঠিকমতো হয়েছে কি না দেখা দরকার।
এ ক্ষেত্রেও
আলট্রাসনোগ্রাফি করে দেখে নেয়া হয়
ইউটেরাস, ওভারি সব ঠিকঠাক
আছে কি না। তাছাড়া রক্তের কিছু
পরীক্ষা করে হরমোন স্টেটাস,
টিউবারকুলোসিস
হয়েছে কি না (এমনকি এলাইজা টেস্ট)
এবং দরকার হলে সেক্স ক্রোমাটিন
স্টাডিও করতে হতে পারে।
সুতরাং খুব
আগে বা পরে হলে নিজে থেকেই
তা একটি স্বাভাবিক
ঘটনা বলে বসে থাকা উচিত হবে না।
এক্ষেত্রে বাবা-মার
সচেতনতা জরুরি।
তাড়াতাড়ি ডাক্তারকে জানানো উচিত।
অনেক মেয়ের মাসিক ঠিকমতো শুরু
হলেও ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত
অনিয়মিত পিরিয়ড হয়।
মাসে হয়তো দুবার কিংবা দু'তিন
মাসে হয়তো হলোই না। এই
সমস্যাটিতে বিশে ষ চিন্তিত হওয়ার
কিছু নেই। ছোট মেয়েদের হরমোনাল
ব্যালান্স আসতে অনেক সময় কয়েক
মাস বা বছর সময় লেগে যায়।
কোনো হরমোন বড়ি দিয়ে চিকিৎসার
দরকার পড়ে না। সুষম পুষ্টিকর আহার,
স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্ন জীবন-
যাপনই এ সমস্যার সমাধান করে।
অনেকের অল্প বয়সে অতিরিক্ত
রক্তস্রাব হয়। এক্ষেত্রেও
কোনো হরমোন দেয়া উচিত নয়।
চিকিৎসকের পরামর্শ
অনুযায়ী নিশ্চিত হওয়ার দরকার
যে জরায়ু বা ডিম্বাশয়ে টিউমার
জাতীয় কিছু আছে কি নেই। অবশ্যই
দরকার রক্ত পরীক্ষা, কারণ অনেক সময়
রক্তাল্পতা বা থাইরয়েড
অথবা হরমোনের সমস্যার জন্যও এই
উপসর্গগুলো হতে পারে।
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম
(স্টেন লিভেনথাল সিনড্রম) এই
অসুখটিতে অল্প
বয়সী মেয়েরা বেশিভাবে আক্রান্ত।
সম্ভবত টেনশন, অত্যধিক মানসিক চাপ,
প্রতিযোগিতা, ওভার মেডিকেশন,
অতিরিক্ত কীটনাশক
ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ-
নানা কারণে অন্য সব রোগের
মতো এই রোগও বেড়ে যাচ্ছে। এই
অসুখে মেয়েরা সাধারণভাবে একটু
মোটা হয়ে যায়, মাসিক অনিয়মিত ও
খুব কম হয়। এই রোগে ইউটেরাসের
পাশে যে দুটি ডিম্বাশয়
বা ওভারি থাকে, তাতে ঘামাচির
মতো ছোট ছোট সিস্ট দেখা দেয়।
ফলে ডিম্বাণু
প্রতিমাসে ওভারি থেকে বের
হতে পারে না অর্থাৎ ওভিউলেশন হয়
না। আগে এর সার্জিক্যাল
চিকিৎসা থাকলেও এখন মেডিকেল
চিকিৎসাই করা হয়।
আলট্রাসনোগ্রাফি ও রক্ত পরীক্ষায়
রোগ নির্ণীত হলে মেটফরজিন
জাতীয় ওষুধ ও প্রয়োজনে হরমোন
দেয়া হয়। চিকিৎসা করতে হয় অন্তত ৬
মাস, হাল
না ছেড়ে দিলে চিকিৎসায় সম্পূর্ণ
সেরে যায় এবং ভবিষ্যৎ
দাম্পত্যজীবন ও সন্তান
ধারণে কোনো বাধা থাকে না।
অল্প বয়সে ওবেসিটি বা হঠাৎ
মোটা হওয়া
আজকাল নিউক্লিয়ার
ফ্যামিলিতে একটি বা দুটি সন্তানের
অতিরিক্ত ভালো খাওয়া-দাওয়া ও
কোনো রকম শরীর চর্চা না করাই এর
কারণ। ডায়েটিশিয়ানের
পরামর্শে সঠিক খাবার ও
ব্যায়ামে সুস্থ শরীর
ফিরিয়ে আনা সম্ভব। অতিরিক্ত
মোটার অন্য কারণ পলিসিস্টিক
ওভারি সিনড্রম,

জেনে নিন ঘুমানোর
সময়ে ব্রা পরে ঘুমানোর কিছু
ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।
█ রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত:-
রাতে ঘুমানোর সময়ে ব্রা পড়ার
অভ্যাস থাকলে ঘুমের মধ্যে আপনার
রক্তচলাচলে ব্যাঘাত ঘটার
সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ
করে অতিরিক্ত টাইট ইলাস্টিক
থাকলে স্বাভাবিক রক্ত
চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।
ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।
█ ত্বকে দাগ বসে যায়:-
ঘুমানোর সময়ে নিয়মিত ব্রা পড়ার
অভ্যাস থাকলে আপনার
ত্বকে ধীরে ধীরে ব্রায়ের
ইলাস্টিকের দাগ
বসে যেতে পারে। বিশেষ
করে অতিরিক্ত টাইট ইলাস্টিক
হলে দাগ পড়ার
সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই
রাতে ঘুমানোর সময়ে ব্রা না পরাই
ভালো।
█ ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে:-
অতিরিক্ত টাইট
ব্রা পরে ঘুমাতে গেলে ঘুমে ব্যাঘাত
ঘটে। কারণ অতিরিক্ত টাইট
ব্রা পরে আপনি অস্বস্তিবোধ
করবেন এবং রাতে আপনার গভীর ঘুম
হবে না। ফলে সারাদিন
ক্লান্তি অনুভূত হবে আপনার।
█ ত্বক চুলকাতে পারে:-
টাইট
ফিটিং ব্রা পরে ঘুমালে রাতে ত্বকে চুলকানি অনুভূত
হতে পারে। বিশেষ
করে সুতি কাপরের ব্রা না হলে এই
সমস্যা দেখা দেয়ার
সম্ভাবনা বেশি।
যারা রাতে একেবারেই
ব্রা ছাড়া ঘুমাতে পারেন
না তাদেরকে ডাক্তাররা স্পোর্টস
ব্রা পরে ঘুমানোর পরামর্শ
দিয়ে থাকেন। স্পোর্টস
ব্রা স্বাস্থ্যের
কোনো ক্ষতি করে না।
█ ক্যান্সার:-
ব্রা পরে ঘুমালে ক্যান্সার হয়
নাকি হয় না এটা নিয়ে অনেকদিন
ধরেই তর্ক-বিতর্ক চলছে। কেউ
বলছেন নিয়মিত
ব্রা পরে ঘুমালে ব্রেস্ট ক্যান্সার
হতে পারে আবার কেউ বলছেন
হয়না। তবে বেশ কিছু গবেষণায়
জানানো হয়েছে যে নিয়মিত টাইট
ফিটিং ব্রা পরে ঘুমালে ব্রেস্ট
ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই
বেড়ে যায়।
█ নন ক্যান্সারাস লাম্প:-
সিস্ট এবং লাম্প হলো নন
ক্যান্সারাস টিস্যু। অতিরিক্ত টাইট
ফিটিং এর ব্রা পরে নিয়মিত
রাতে ঘুমানোর অভ্যাস
থাকলে ব্রেস্টে সিস্ট এবং নন
ক্যান্সারাস লাম্প এর
সৃষ্টি হতে পারে যা পরবর্তিতে নানান
রকম সমস্যা করে।'

Sunday, December 7, 2014

জলপাই খোসাসহ খেতে হয়।
খোসায় রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে আঁশ। এই আঁশ নিয়মিত
খাবার হজমে সাহায্য করে। আর
পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদান্ত,
কোলনের ক্যানসারের
ঝুঁকি কমায়এই মৌসুমের ফল জলপাই।
এটি টকজাতীয় ফল। শুধু ফল
হিসেবে নয়, এর তেল খুব স্বাস্থ্যকর।
রান্না ও আচারের
কাঁচা জলপাইয়ে পুষ্টি বেশি থাকে।'১০০
গ্রাম
জলপাইয়ে থাকে ৭০ ক্যালরি।
এতে শর্করা ১৬.২ গ্রাম, খনিজ ৩.১
মিলিগ্রাম ও ভিটামিন
সি থাকে ৩৯ মিলিগ্রাম।
যেকোনো বয়সের জন্য বিশেষ
করে হৃদরোগী ও অস্ত্রোপচারের
পর জলপাই খেলে উপকার
পাওয়া যায়।'জলপাইয়ের
ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ ত্বক,
চুল, দাঁতের উজ্জ্বলতা ও
পুষ্টি জোগায়। সংক্রামক ও
ছোঁয়াচে রোগগুলোকে রাখে
অনেক
দূরে। এ ছাড়া জীবাণুর আক্রমণ,
চোখ ওঠা, চোখের পাতায়
লালচে ফোড়া এই সমস্যাগুলোর
বিরুদ্ধে কাজ করে।জলপাই
খোসাসহ খেতে হয়। খোসায়
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ।
এই আঁশ
নিয়মিত খাবার হজমে সাহায্য
করে। আর পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত,
বৃহদান্ত, কোলনের ক্যানসারের
ঝুঁকি কমায়।রক্ত চলাচল ঠিক
রেখে হৃৎপিণ্ডকে সঠিকভাবে কাজ
করতে অবদান রাখে জলপাই।
পরিণামে কমে যায়
লাইপোপ্রোটিন। এই
ফলে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল
এজেন্ট আছে, যা দেহের ক্ষতিকর
জীবাণুকে ধ্বংস করে। নিয়মিত
জলপাই খেলে পিত্তথলির
পিত্তরসের কাজ করতে সুবিধা হয়।
পরিণামে পিত্তথলিতে পাথরের
প্রবণতা কমে যায়।জলপাইয়ের তেল
রান্না করে খাওয়া এবং ত্বক
দুটোর জন্যই খুব উপযোগী। এই
তেলে চর্বি বা কোলেস্টেরল
থাকে না। তাই ওজন
কমাতে কার্যকর।
যেকোনো কাটা-ছেঁড়া,
যা ভালো করতে অবদান রাখে।
জ্বর, হাঁচিকাশি,
সর্দি ভালো করার জন্য
উপকারী বন্ধু জলপাই।



সূত্র: প্রথম অালো

Saturday, December 6, 2014

আমাদের দেহের সুস্থতায় গাজর
অনেক বেশি কার্যকরী। তাই
প্রতিদিন গাজর
খাওয়া উচতি সকলের। আর যদি গাজর
একেবারেই খেতে না পারেন
তবে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন
১ গ্লাস গাজরের জুস।


ওজন কমায় গাজরের জুস
গাজরের জুসে অন্যান্য সকল জুসের
তুলনায় ক্যালরি কম থাকে। তাই
সকালে নাস্তায়
কিংবা বিকেলে এক গ্লাস গাজরের
জুস পান করেই দেখুন না। ওজন
কতো দ্রুত কমে আসে।
লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
গাজরের জুস দেহের ক্ষতিকর টক্সিন
দূর করে দিতে সক্ষম। প্রতিদিন মাত্র
১ গ্লাস গাজরের জুস পান
করলে লিভারের
কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে
গাজরে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন ই। সেই
হিসেবে প্রতিদিন নিয়ম করে ১ গ্লাস
গাজরের জুস দেহে ভিটামিন ই এর
চাহিদা পূরণ
করে এবং দেহে ক্যান্সারের কোষ
গঠনে বাঁধা প্রদান করে।
দেহের বয়স বৃদ্ধিজনিত
ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়
বয়স বেড়ে গেলে দেহের
নানা অঙ্গে এবং বিশেষ
করে হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা শুধু হয়। এই
ধরণের
ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে গাজরের
জুস। তাই প্রতিদিন ১ গ্লাস গাজরের
জুস অবশ্যই পান করবেন।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
গাজরের জুসে বিদ্যমান ভিটামিন এ
আমাদের চোখের সুরক্ষায় কাজ
করে থাকে ও দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।
এবং দেহে ভিটামিন এ জনিত
নানা সমস্যার সমাধান করে।
দেহের খারাপ কলেস্টোরল কমায়
গাজরের জুসে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে পটাশিয়াম। প্রতিদিন
মাত্র ১ গ্লাস গাজরের জুস আমাদের
দেহের খারাপ কলেস্টোরলের
মাত্রা কমায়
এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
হজমশক্তি বাড়ায়
গাজর আমাদের দেহের টক্সিন দূর
করতে বিশেষভাবে কার্যকরী একটি খাদ্য।
সেই সাথে এটি আমাদের পরিপাক
ক্রিয়া উন্নত করতেও সহায়তা করে।
প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস গাজরের
জুস আমাদের
হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
ত্বকের নানা সমস্যা সমাধান করে
গাজর আমাদের ত্বকের নানা ধরণের
সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
প্রতিদিন ১ গ্লাস গাজরের জুস
আমাদের ত্বককে বয়সের ছাপ
থেকে মুক্ত রাখে, ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ব্রণের
উপদ্রব কমায়।
ত্বকের কোষ ক্ষয় থেকে রক্ষা করে
গাজরে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন নামক
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের
কোষের ক্ষয় রোধ
করে এবং ত্বককে রাখে সুস্থ।
একারণেই প্রতিদিন গাজরের জুস পান
করলে ত্বকে বয়সের ছাপ আসে ধীরে।
ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে
গাজরের বিটা ক্যারোটিন
এবং ভিটামিন এ আমাদের দেহের
ইমিউন সিস্টেম উন্নত
করতে সহায়তা করে।
সেকারণে নানা ধরণের রোগ
থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারি।
সূত্র: নেট

নারীর
জীবনে দু'তিনটে পর্বে পিরিয়ড
অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে।
মেনার্কি বা মেন্সট্রয়েশন শুরুর
সময়ে। এ সময় ওভারি ততটা পরিপক্ব
হয়ে ওঠে না বলে তার পূর্ণ
কর্মক্ষমতা দেখা যায় না। খেয়াল
করে দেখবেন ডেলিভারির পর ৩-৪
মাস পিরিয়ড একটু অনিয়মিত থাকে।
তবে সন্তানকে ব্রেস্ট
ফিডিং করালে এ পর্ব আরও
দীর্ঘায়িত হতে পারে। এ তো সবারই
জানা যে মধ্য বা শেষ
চল্লিশে ওভারি প্যাক আপ করার জন্য
তৈরি হয়। মেনোপজের আগে তাই
পিরিয়ড অনিয়মিত হয়।
পিরিয়ড ইরেগুলার বা অনিয়মিত
কিনা বুঝবেন কীভাবে?
উপরে উল্লেখ করা সময় ছাড়া যদি দুই
পিরিয়ডের মধ্যে ৫ সপ্তাহের
বেশি ব্যবধান হয় তবেই বুঝবেন
সমস্যা হয়েছে। তবে জীবনে অনেক
ঘটনা আছে যা যৌন হরমোনের
ব্যালান্স নষ্ট করতে পারে। তাতেও
পিরিয়ড বিঘ্নিত হয়।
স্ট্রেস :
মানসিক চাপ রিপ্রোডাকটিভ
সিস্টেমকে সহজেই প্রভাবিত করে।
পরীক্ষার সময় এমন হয়, খেয়াল
করেছেন? পিরিয়ডে একটু গোলমাল।
কখনও নিকটাত্মীয়
মারা গেলে বা দারুণ অসুস্থ হলে।
বাড়ি বদলালে অথবা চাকরি চেঞ্জ
করলেও দেখবেন
প্যাটার্নটা বদলে যায়। স্বাভাবিক
সুস্থ জীবনে ফিরে গেলেই কিন্তু সব
ঠিক হয়ে যায়।
বডি ওয়েট :
ওজন ধুম করে বাড়লে বা কমলে নর্মাল
সাইকল ব্যাহত হয়। আগে যা শরীরের
ওজন ছিল, সেখানে ফিরে গেলেও
পিরিয়ড আবার আগের
মতো স্বাভাবিক হতে একটু সময়
লাগে।
ডায়েট :
হঠাৎ ভেজিটেরিয়ান হয়ে গেলেন
বা ক্র্যাশ ডায়েট প্রোগ্রাম শুরু
করলেন। আপনি অবশ্যই
সমস্যা ডেকে আনলেন। পিরিয়ড ধুম
করে বন্ধ
হতে পারে কিংবা একেবারে অনিয়মিত
হয়ে যেতে পারে।
এক্সারসাইজ :
কথা নেই বার্তা নেই, প্রচুর ব্যায়াম
শুরু করে দিলেন। পিরিয়ডের
যে নিয়মিত চক্র, তা বিঘিœত
হতে পারে। আসলে বডি ফ্যাট হঠাৎ
কমলে হরমোনে বৈষম্যের
ফলে ওভারির ফাংশন পরিবর্তিত হয়।
ক্রনিক অসুখ :
কিছু অসুখ আছে যা লম্বা সময়
ধরে ভোগায়। যেমন ডায়াবেটিস,
থাইরয়েড, অ্যাজমা,
টিবি বা যক্ষ্মা, ক্যান্সার। পিরিয়ড
বন্ধ হয়েও যেতে পারে,
কমতে তো পারেই।
ড্রাগ :
অনেক ওষুধ রয়েছে যা নর্মাল
পিরিয়ডকে ব্যাহত করে। যেমন
অ্যান্টি-ডিপ্রেসান্ট।
লিভারে প্রতিক্রিয়ার জন্য হরমোন
লেভেলে রদবদল হয়। যেসব
কন্ট্রাসেপটিভে প্রজেস্টোরেন
রয়েছে তা থেকেও কিন্তু পিরিয়ড
অনিয়মিত হতে পারে। পিরিয়ড বন্ধও
হয়ে যায় অনেক সময়।
মনে রাখতে হবে হরমোনের
ভারসাম্যের জন্যও কিন্তু ওভ্যুলেশন
ডিসঅর্ডার দেখা দিতে পারে।
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান
সিনড্রোম :
ওভ্যুলেশনের জন্য প্রয়োজনীয়
ডিম্বাণু আদৌ ম্যাচিওর করে না।
আসলে এসব মহিলার একটা নির্দিষ্ট
প্যাটার্নে এগ বা ডিম্বাণু তৈরি হয়
না। পলিসিস্টিক কেন?
একটা আলট্রাসাউন্ড করলেই
দেখা যাবে ওভারিকে ঘিরে রেখেছে অসংখ্য
ফলিকল বা সিস্ট। ঠিক যেন মুক্তোর
মালার মতো। ডিম্বাণুর অনিয়মিত
বৃদ্ধির জন্যই পিরিয়ড বিঘ্নিত হয়।
সময়ের ঠিক থাকে না,
কবে হবে জানাও যায় না।
এরা ওভারওয়েট। ব্রণ থাকবে,
তৈলাক্ত ত্বক, মাথার চুলও কমবে।
শরীর বেশ রোমশ হয়ে যায়।
ওভারিতে হরমোনের ব্যালান্স নষ্ট
হয়, পুরুষ হরমোন অ্যান্ড্রোজনের
মাত্রা বাড়ে। তাই যত বিভ্রাট।
হাইপারপ্রোল্যাকটিনিমিয়া :
চাইল্ডবার্থের পর পিটুইটরি গ্ল্যান্ড
তৈরি করে প্রোল্যাকটিন। উদ্দেশ্য
মিল্ক সিক্রিশন বাড়ানো। ব্রেস্ট
ফিড করান না এমন মহিলার
যদি প্রোল্যাকটিন বেড়ে যায়,
তাহলে পিরিয়ড বিঘ্নিত হবে।
বুকে দুধও
অস্বাভাবিকভাবে তৈরি হয়। এসব
মহিলার পিটুইটারিতে ছোট বিনাইন
টিউমার থাকাও অসম্ভব নয়।
তাতে মাথাব্যথা হবে,
চোখে দেখার সমস্যাও হতে পারে।
প্রি-ম্যাচিওর মেনোপজ :
৪৫ থেকে ৫০, এটাই মেনোপজের গড়
বয়স। ১ থেকে ২% মহিলার
ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অনেক
তাড়াতাড়ি ঘটতে পারে। এরা অসুস্থ,
এমনটা ভাবার কারণ নেই।
এরা আসলে ওভারিতে কম সংখ্যক এগ
নিয়ে জন্মান।
তবে ক্রোমোজমে বৈষম্য, ইনফেকশন,
সিস্ট/টিউমার, সার্জারি,
রেডিয়েশন
অথবা কেমোথেরাপিতে ওভারিয়ান
ফেলিওর ত্বরান্বিত হয়।
হেভি অথবা অনিয়মিত পিরিয়ড
কিন্তু আপনার ওয়েক-আপ কল। দ্রুত
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাহায্য
নিন। সঙ্গে ওবেসিটি, অস্বাভাবিক
হেয়ার গ্রোথ, মিল্ক সিক্রিশন
বা মাথা ব্যথা হলে একদম দেরি না।
ওভ্যুলেশন প্রবলেম
থাকলে যে নারী কনসিভ করার
চেষ্টা করছেন,
তাকে তো অবিলম্বে পরামর্শ নিতেই
হবে।
লেখক পরিচিতি
প্রখ্যাত প্রজনন বিশেষজ্ঞ ও
গাইনোকোলজিক্যাল
এন্ডোস্কোপিক সার্জন।
ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্টে দক্ষতা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।
লিখেছেন-
ডা. গৌতম খাস্তগীর
চেম্বার : বার্থ, ৩৬ বি, এলগিন রোড,
কলকাতা

Wednesday, December 3, 2014

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) মতে , যে ব্যক্তির মধ্যে ইবোলা ভাইরাস রয়েছে,
তাঁকে হস্তমৈথুন ও সহবাসে বিরত থাকা অবশ্যই উচিত। এই সংস্থা আরও উপদেশ দিয়েছে,
এই ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে অন্তত তিন মাস সহবাস থেকে এড়িয়ে চলুন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটের প্রকাশ, তিন ব্যক্তির শুক্রাণুর মধ্যে ইবোলা ভাইরাস পাওয়া গেছে।
যার মধ্যে প্রথম ব্যক্তির ৪০ দিনে, দ্বিতীয় ব্যক্তির ৬১ দিনে ও তৃতীয় ব্যক্তির ৮২ দিনের পর শুক্রাণু থেকে ভাইরাস মুক্ত হয়েছে।
তাই বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সহবাস ও হস্তমৈথুনের মধ্যে ইবোলা ভাইরাস সংক্রামণ ছড়াতে পারে। তাই সহবাসের সময় কন্ডোম ব্যবহার করা উপদেশ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এখনও পর্যন্ত ভাইরাস ছড়ানোর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সীমিত হলেও তাঁরা একটি কথায় সহমত, শুক্রাণুর মধ্য দিয়ে ইবোলা ভাইরাস ছড়াতে পারে।

Unordered List

Flag Counter

Admission Open

Visitor

Online


widgeo.net

ফেসবুকে পেজ

প্রয়োজনিয় ঠিকানা

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Test

NEW LAUNCHED

Powered by Blogger.

Earn

তাপমাত্রা

Followers

About Me

My Photo
রাসেল ফার্মেসী রাণীহাটি বাজার, মন্ত্রী মার্কেট, শিবগঞ্জ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এই www.raselpharmacy.blogspot.com (রাসেল ফার্মেসী ) ব্লগটি স্বাস্থ্য বিষয় সচেতনতা মুলক টিপস নিয়ে সাজানো হয়েছে । যা আসা করি আপনাদের কাজে আসবে । আপানর যে কোন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা আমদের খুলে বলুন। আমরা চেষ্টা করব এর সমাধান দিতে। এছাড়াও ফেসবুকে পেতে ভিজিট করুন https://www.facebook.com/Raselpharmacy

Featured Posts

Popular Posts

Recent Post

Blogger Tips and TricksLatest Tips For BloggersBlogger Tricks

Just Click To Earn Money

Count Posts & Comments

আপনার এই ব্লগটি কেমন লেগেছে ?

Text Widget

এই ব্লগের লেখা নিজের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বিভিন্ন বই,ওয়েবসাইট ও ব্লগ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।

Rolling Pictures

বিজ্ঞাপন

0

Add