Wednesday, July 30, 2014

Raselpharmacy


গর্ভধারণ কারে কয়েকটি সাধারণ পরিবর্তন দেখা যায়।
সাধারণত গর্ভ গুরু হয় পরিপক্ব ডিম্ব ও একটি শুক্রের মিলনের ফলে। এ প্রক্রিয়াকে নিষিক্তকরণ বলে। সহবাসের সময় শুক্রকীট স্ত্রীর যোনিতে পতিত হয় এবং তা জরায়ুর ভিতর দিয়ে ডিম্ববাহী নালীর মধ্যে প্রবেশ করে পরিপক্ ডিম্বের সাথে মিলিত হয়ে ডিম্বকে নিষিক্ত করে এবং তা নিষিক্ত ডিম্ব ধীরে ধীরে নালী দিয়ে ৫-৭ দিন পর জরায়ুতে ফিরে আসে এবং গর্ভ সঞ্চার করে।



একটি মহিলার ১২-১৫ বছর বছরের মধ্যেই তার মাসিক বা ঋতুচক্র শুরু হয় এবং৪৫-৪৯ বছর পর্যন্ত চলতে থাকে। প্রতি ২৮-৩১ দিন পর পর চক্রাকারে এ ঋতুচক্র চলে। প্রতিমাসে ডিম্বাশয় হতে একটি ডিম্ব পরিপক্ব হয়ে বের হয়ে আসে। দাপ্তত্য জীবন শুরু হওয়ার সাথে সাথেই সহবাসের ফলে পুরুষের শুক্রকীট জরায়ুর ভিতর দিয়ে ডিম্ববাহী নালীতে প্রবেশ করে এবং সেখানে ডিম্বের সাথে একত্রিত হয়ে বিম্বের সাথে নিষিক্ত হয়।এ নিষিক্তকরণ হবার ফলে ভ্রণের সৃষ্টি হয় একেই গর্ভধারণ বলে।
 


মনে রাখতে হবে
***********
জরায়ুর  উচ্চতা ১২ সম্পাহে সিমফাইসি পিউবিস পর্যন্ত হয়, তারপর জরায়ুর উচ্চতা প্রতি ১৫ দিনে ১ ইঞ্চি বৃদ্ধি পায়, ২৪ সপ্তাহে নাভির ঠিক উপরে উঠে ৩৬ সপ্তাহে প্রসেস পর্যন্ত চলে যায়। গর্ভের শেষ চার সপ্তাহে বাচ্চা প্রসবের জন্য নিচে নেমে আসাতে জরায়ুর উচ্চতা কিছুটা কমে যায়।



    গর্ভলক্ষণ
       ***********
Raselpharmacy

প্রথম ৩মাস বা ১২ সপ্তাহ
***************

১। মাসিক বন্ধ হওয়া সন্তান গর্ভে আসার পর পরই মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ ২-৪ টি মহিলা পাওয়া যায় যাদের গর্ভধারণের পরও প্রতিমাসে নিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে।
২।বমি বমি ভাব
৩। ঘন ঘন মুত্রবেগ
 



Raselpharmacy৪।স্তনের আকার বৃদ্ধি ও বর্ণ পরিবর্তন। স্তনের ভারবোধ হয় এবং এরিওলাব রঙ গাঢ় হতে থাকে।




Raselpharmacy৫। জরায়ু পরীক্ষা করলে জরায়ুর মুখে ফোলা মতন এবং আকার বৃদ্ধি পাওয়া দেখা যাবে ও চাপ দিলে নরম বুঝা যাবে।



৬। ভালবা ও ভেজাইনার রঙ প্রায় নীলাভ দেখায়।
৭। প্রেগন্যান্সি টেস্ট করলে বুঝা যাবে।
৮। জরায়ুর আন্ট্রসনোগ্রাফী করলে শিশুর ছবি দেখা যায়

দ্বিতীয় ৩ মাস  বা ১২-২৪ সপ্তাহ
*****************************************

১।  মাসিক বন্ধ বা বমিও প্রায়ই বন্ধ হয়ে যায়্
২। গর্ভস্ত শিশুর নড়ানাড়া এবং মাঝে মাঝে নড়াচড়া অনুভব করা যায়।
Raselpharmacy৩। স্তন ( Breast) আরো বেশি পরিবর্তন দেখা যায়। স্তনের সম্মুখ ভাগের আয়তনের বৃদ্ধি ও বোটার নিচে চারিদিকে রং গাঢ় হতে থাকে। তার উপর দিয়ে ছোট ছোট দানার মতন (Montagomary tubercles) এর স্ফীতি দেখা যাবে।

 
৪। জরায়ুর বৃদ্ধি
Raselpharmacy(Enlargement of Utras): চিত্র অনুযায়ী পরীক্ষা করলে দেখা যাবে জরায়ুর সম্মুখভাগ নরম ও ফোলা মতন(Bulked) এবং স্পন্দন পাওয়া যাবে। এ পরীক্ষাটিকে হেগারস সাইন  Hegars sign) বলে।
৫। নিচ পেটের লিনিয়া নাইরা ( কালো লম্ব রেখার মত দাগ) স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
Raselpharmacy৬। গর্ভস্ত শিশুর নড়াচড়া পাওয়া যাবে।
৭। পায়ে পানি আসতে পারে।
৮।  এক্স-রে পরীক্ষা করলে শিশুর ছবি দেখা যাবে।

তৃতীয় ৩ মাস বা ২৪-৪০ সপ্তাহ
*************************** 
১।  পায়ে পানি আসতে পারে
২।  ব্যথাহীন জরায়ুর সংকোচন যা হাত দিয়ে বুঝা যাবে।
Raselpharmacy৩। ভ্রণস্ত শিশুর নড়াচড়া বেশি হবে এবং পেটে উপরিভাগে হাত দিয়ে বুলালে শিশুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বুঝা যাবে।



প্রসব পূর্ব গর্ভবতীর পরিচর্যা
*************
১। খাদ্যের উপর বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে যাতে মায়ে পাশা পাশি শিশুর বৃদ্ধিতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে
 
২। শাক-সবজি , ফলমুল প্রচুর পরিমানে খাওয়া উচিত।

৩। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।

৪। দৈনন্দিন কাজ কর্ম ও বিশ্রাম নিতে হবে আর খেয়াল রাখতে হবে গর্ভের শেষ ৩ মাস যেন কোন ভারি কাজ না করে।

৫। স্বাভাবিক গর্ভধারণের শেষে ১-২ মাস স্বামী-স্ত্রীর মিলন থেকে বিরত থাকা উচিত।

৬। গর্ভবর্ত মায়ের টিটেনাস টকসয়েড ইনজেকশন (টি.টি) নেয়া জরুরি।এতে মা ও শিশু ধনুষ্টংকার রোগ থেকে সুরক্ষা রাখবে।গর্ভবস্থায় ১৬-১৮ সপ্তাতে ১ম ডোজ, ২০-২৪ সপ্তাহে ২য় ডোজ এবং ৩২-৩৬ সপ্তাহে ৩য় ডোজ টি.টি ইনজেকশন নিতে হবে।

৭। সব ধরনের ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।

৮। প্রতিনিয়ত শরীরের ওজন, রক্তের চাপ, মুত্র পরীক্ষা প্রতি সপ্তাহে করতে হবে।

৯।  গর্ভবতীর যে কোনো রকম অসুবিধায় অত্যন্ত গরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।




গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে বিভিন্ন ব্যথা ও তার প্রতিকার
 



গর্ভাবস্থায় অধিকাংশ সময়েই নারীদের কাছে বিভিন্ন ধরনের ব্যাথার কথা শোনা যায়এসকল ব্যাথা মাতৃত্বকালীন সময়কে আরও কঠিন করে তোলেকিন্তু এই সময় না বুঝে কখনোই কোন প্রকার পেইন কিলার খাওয়া উচিত নয়আর ফলে মা ও শিশুর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে

কোমরে ব্যথাঃ শিশুর বৃদ্ধির সাথে সাথে মায়ের পেটেরও যখন বৃদ্ধি ঘটে, তখন একজন মায়ের হাঁটা চলা ও বিভিন্ন কাজের জন্য কোমরে ব্যাথা অনুভুত হয়এসময় হাড়ের জয়েন্টের সমস্যাও কোমরে ব্যাথার কারন হিসেবে গণ্য হতে পারে

উপায়ঃ নিজের শরীরের প্রতি বাড়তি যত্ন নেয়া শুরু করুনকাজের সময় পেটের উপর কোন চাপ প্রদান করা যাবে নামেরুদন্ড সোজা রেখে হাঁটার চেষ্টা করতে হবে। নিচে কিছু ঔষধের নাম দেওয়া আছে সেগুলো খেতে পারেন।

পায়ের ব্যথাঃ গর্ভাবস্থায় লিগামেন্ট হালকা হয়ে যাবার কারনে পায়ের ব্যাথা অনুভুত হয় গর্ভকালীন সময়ের কিছু হরমোন আর জন্য দায়ীতাছাড়াও অতিরিক্ত ওজনের কারনেও এমনটা হতে পারে

উপায়ঃ এসময় একটি বিশেষ ধরনের জুতা আছে, যা ব্যাথা কমাতে কার্যকরীদিনের বিভিন্ন সময়ে কাজের ফাঁকে পায়ের বিশ্রাম দিনকিছুক্ষন পর পর পায়ের উপর চাপ কমাতে, পা ঝুলিয়ে বসুনতবে কখনোই খুব বেশী শুয়ে বসে থাকা যাবে না, এতে করে পায়ে পানি চলে আসতে পারে

স্তনের আকৃতিতে অস্বাভাবিকতাঃ গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক কারনেই স্তনের আকৃতিগত পরিবর্তন দেখা দেয়এসময় শিশুকে দুধ খাওয়ানোর উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য স্তনের আকৃতি পরিবর্তন হয়মায়ের স্তনের দুধে কলোস্ট্রাম  নামক উপাদান তৈরি হয় বলে এই পরিবর্তন দেখা দেয় এসময় মা বেশ অস্বস্তিবোধ করে

উপায়ঃ আরামদায়ক সাইজের অন্তর্বাস (ব্রা) কিছুটা স্বস্তি প্রদান করতে পারে

পেটে গ্যাসঃ শিশুর বেড়ে উঠার কারনেই, গর্ভাবস্থার শেষের পর্যায়ে, মায়ের পেটে গ্যাস উৎপন্ন হয়এই এসিডিটির কারনেই এসময় মা পেটের ব্যথায় ভুগে থাকে

উপায়ঃ চিকিৎসকরা এমন সময় চুষে খাওয়া যায় এমন এন্টাসিড, কিংবা তরল এসিডিটির ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেনআর ব্যথা যদি শিশুর নড়াচড়ার কারনে হয়, তবে মা সেটা সময়ের সাথে বুঝে নিতে পারবে

মাথা ব্যথাঃ এসময় হরমোনের কারনে প্রচুর মাথা ব্যাথা হতে পারেযেসব মায়েরা পূর্ব থেকে চা, কফি খেয়ে অভ্যস্ত তাঁদের হঠাৎ ক্যাফেইনের শূন্যতা হলে মাথা ব্যথা বেড়ে যেতে পারে

উপায়ঃ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ নিয়ে ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহন করা যেতে পারেএছাড়াও স্কাল্প ম্যসাজ, বিশ্রাম ও শরীর শান্ত করার বিভিন্ন ব্যায়াম এই সমস্যা থেকে মাকে মুক্তি দিতে পারে

গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের শারীরিক নানান পরিবর্তন দেখা দেয়ার কারনে, বিভিন্ন সমস্যা হতে পারেকিন্তু এতে ভয় পাবার কিছুই নেই, নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন আর সুস্থ থাকুন




গর্ভবর্তীর কয়েকটি উপসর্গ ও চিকিৎসা
**********************
ক) বমি বন্ধের জন্য
Tab- Melatil, 
Tab- Emitab, 
Tab- Stemitil, 
Tab- Vergon, 
Tab-Ametil, 
Tab- Avotil, 
Tab- Promet 
(যে-কোন একটি দেয়া যেতে পারে)
মাত্রা: ১টি ট্যাবলেট দিনে ৩ বার ১০-১৫ দিন সেব্য।

* এর পর যদিও না বমি কমে তবে Dizepam (ডায়জিপাম) জাতীয় ঔষুধ দেয়া যেতে পারে

* % ডেক্সট্রোজ একোয়া জাতীয় স্যালাইন ব্যবহার করা যেতে পারে
যেমন- Inj Dexaqua 1000ml, 
 বা Inj- V-Plex,  
বা  Inj- Hiposul, 
 বা Inj- Vitamin C
এর পর স্যালাইন শেষ হবার পরে নিজে গুলো প্রয়োগ করতে পারেন
Inj- Stemiti 
 বা  Tab- Stemitil  
বা Tab- Vergon

মাত্রা: ১টি ট্যাবলেট দিনে ৩ বার ৪-৫ দিন সেব্য।

খ) বুক জ্বালা, বুক পুড়া ও পুড়া ঢেকুর বা অম্লের ব্যাথা হলে:
tab- Antac 150mg, 
Tab- Neoceptin-R 150mg, 
Tab- Newtack 150mg, 
Tab- Renitid, Tab-Inseac 150mg, 
Tab- Ranidin 150mg ইত্যাদি
(যে-কোন একটি দেয়া যেতে পারে)

মাত্রা: ১টি ট্যাবলেট দৈনিক সকালে -রাতে খাবারের ১ ঘন্টার পরে বা ১ বা আধা ঘন্টা আগে খেতে হবে।

গ) কোষ্ট কাঠিন্য হলে/পায়খানা হলে  :

ইসুবগুলের ভুষি ১ চামচ প্রতিদিন সকালে ১গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে রাতে শোবার সময় খেরে কোষ্ট পরিষ্কার হবে এছাড়ও রাতে শোবার সময় Syp- Milk of magnasia ৪ চামচ খেলে সকালে ভারো ভাবে পাইয়ানা হবে।

ঘ) ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স জাতীয় ঔষধ :
Tab- Stanovit-B  
Tab-Orbex, 
Tab- B50 Fort, 
Tab- V-Plex,
Tab- Aristovit B, 
Tab-Sinaforte B, 
Tab-Nutrivit B ইত্যাদি
 (যে-কোন একটি দেয়া যেতে পারে)
মাত্রা: ১টি ট্যাবলেট ১-২ বার অথবা প্রয়োজনে ৩ বার ১-২ মাস সেব্য।

ঙ) মাল্টিভিটামিন জাতীয় ঔষধ:
Tab- Vitex-M 
Tab-  Nutrivit-M 
tab –Solvit-M, 
tab-Opsovit-MM ইত্যাদি
(যে-কোন একটি দেয়া যেতে পারে)
মাত্রা: ১টি ট্যাবলেট দিনে ১ বার অথবা প্রয়োজনে ২ বার ১-২ মাস সেব্য।
 
চ) তলপেটে ব্যাথ্যা হলে:
Tab- Nospa, 
Tab-Spam, 
Tab-Espa, 
Tab-Dot

(যে-কোন একটি দেয়া যেতে পারে)
মাত্রা: ১টি ট্যাবলেট দিনে ৩
এতেও না কমলে Tab- Gestanin খেতে হবে ১টি ট্যাবলেট সকালে ও রাতে ।
 

 

8 comments:

  1. Replies
    1. পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

      Delete
  2. আমার স্ত্রীর ৪ সপ্তাহ চলছে, ওর স্তন এর আকার পরিবর্তন হচ্ছে। স্তন শক্ত হয়ে আছে এবং ব্যথা অনুভব করছে। এটা কোন সমস্যা কিনা এবং সমাধান কি?
    ধন্যবাদ।

    ReplyDelete
  3. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  4. ঋতুচক্রের আগে কি প্রেগনেন্ট হওয়া সম্ভব

    ReplyDelete

Unordered List

Flag Counter

Admission Open

Visitor

Online


widgeo.net

ফেসবুকে পেজ

প্রয়োজনিয় ঠিকানা

Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

Test

NEW LAUNCHED

Powered by Blogger.

Earn

তাপমাত্রা

Followers

About Me

My Photo
রাসেল ফার্মেসী রাণীহাটি বাজার, মন্ত্রী মার্কেট, শিবগঞ্জ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এই www.raselpharmacy.blogspot.com (রাসেল ফার্মেসী ) ব্লগটি স্বাস্থ্য বিষয় সচেতনতা মুলক টিপস নিয়ে সাজানো হয়েছে । যা আসা করি আপনাদের কাজে আসবে । আপানর যে কোন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা আমদের খুলে বলুন। আমরা চেষ্টা করব এর সমাধান দিতে। এছাড়াও ফেসবুকে পেতে ভিজিট করুন https://www.facebook.com/Raselpharmacy

Featured Posts

Popular Posts

Recent Post

Blogger Tips and TricksLatest Tips For BloggersBlogger Tricks

Just Click To Earn Money

Count Posts & Comments

আপনার এই ব্লগটি কেমন লেগেছে ?

Text Widget

এই ব্লগের লেখা নিজের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বিভিন্ন বই,ওয়েবসাইট ও ব্লগ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।

Rolling Pictures

বিজ্ঞাপন

0

Add