ব্রণ
থেকে মুক্তি
দুষ্ট এ রোগটি সবসময়ই
নিরীহ হোয়াইট হেড বা ব্ল্যাক হেড হিসেবেই থাকে না, মাঝে মধ্যে লালচে হয়, ব্যথাও করে। ব্রণ হতে পারে মুখে, ঘাড়ে, কাঁধে, বুকে, পিঠে ইত্যাদি স্থানে। বয়ঃসন্ধিকাল আর উঠতি তরুণ-তরুণীরাই ব্রণের প্রধান শিকার। ব্রণের দাগ অবশ্য দীর্ঘ সময় ধরে তার স্মৃতিচিহ্ন রেখে যায়। চামড়ার নিচে থাকে তৈলগ্রন্থি আর তৈল নিঃসারক নালী। এই নালী ব্যাকটেরিয়া বা অন্য কোনো কারণে বন্ধ হয়ে গেলে নালীর
মধ্যে নিঃসৃত পদার্থ জমা হয়ে ব্রণ তৈরি করে।
ব্রণের কিছু কারণ হলো-
০ বয়ঃসন্ধিকালে এন্ড্রোজেন
হরমোনের আধিক্য
০ মাসিক বা গর্ভাবস্থায়
হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন
০ ঘন ময়েশ্চারাইজিং
লোশন বা কড়া মেকআপ
০ অধিক আবেগ
০ কেরোসিন বা কয়লা
(যেমন বাসার ফার্নিচারের বার্ণিশ)
০ একদিকে কাত হয়ে ঘুমানো
বা হাতের ওপর মুখ রেখে ঘুমানো
০ জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, স্টেরয়েড, খিঁচুনি বা মানসিক রোগের ওষুধ।
কারণগুলো কঠিন হলেও
অধিকাংশ ব্রণের চিকিৎসা শুধু আত্মসচেতনার মাধ্যমেই সম্ভব।
ব্রণ মূলত টিন এজারদের
শত্রু। নিজেকে ঝকঝকে রাখার এই বয়সে এটা যেন বড় অসহনীয় উৎপাত।
ব্রণের যৌনতা কিন্তু
ব্রণ ঘটায় না।
টিন এজারদের ক্ষেত্রে
ব্রণের প্রধান কারণ অতিরিক্ত এন্ড্রোজেন নিঃসরণ। এর ফলে বেশি তৈল নিঃসৃত হয় যা জমা হয়ে ব্রণ তৈরি হয়। শিশুদের এমনকি নবজাতকেরও মায়ের হরমোনের কারণে ব্রণ হতে পারে। ব্রণের জন্য উদ্বিগ্ন হবেন না, কারণ উদ্বিগ্নতাই ব্রণের প্রধান কারণ।
ব্রণের চিকিৎসায় নিচের সাধারণ ফ্লো চার্টটি অনুসরণ করুন-
ব্রণের কারণে ফোলা
ভাব, ইনফেকশন বা জ্বর আছে?
ফুসকুড়িগুলো খুব বড়
বা বেশি?
নিজের পরিচর্যায় অবস্থার
অবনতি হচ্ছে?
নিজে পরিচর্যার কৌশল-
০ ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখবেন। সাবান সামান্য সময় রেখে পরিষ্কার কাপড়ে ত্বক পরিষ্কার করবেন।
০ ভালো অ্যাসট্রিনজেন্ট
বা গ্রিজ পরিষ্কার কাপড়ে ত্বক পরিষ্কার করবেন।
০ ভালো ত্বকে অত্যাচার
করবেন না। চাপাচাপি, চুলকানো বা খোটাখুটি করা একদম উচিত হয়। এজন্যই ব্রণে ইনফেকশন হয় এবং এমন দাগ পড়ে যা সহজে সারে না।
০ অ্যালার্জি না থাকলে
বেনজাইল পারঅক্সাইড লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
০ মুখে বা অন্য কোথাও
ঘাম হলে দ্রুত পরিষ্কার করুন।
০ সপ্তাহে অন্তত দু’বার চুল ধোবেন এবং চুল মুখ থেকে দূরে রাখবেন।
০ আঠালো, তৈলাক্ত ক্রিম, লোশন বা মেকআপ বাদ দিয়ে শুধু ওয়াটার বেসড মেকআপ ব্যবহার করুন।
কার্যকারিতা:
ব্রণ, ফোঁড়া,ফুসকুড়ি, বিবর্ণতা ,
চুলকানী, খুজলী-পাচড়া ইত্যাদি নিরাময় করে।
সেবন বিধি:
প্রাপ্ত বয়ষ্ক: ২ চা-চামচ সাফি প্রতিদিন সকালে
মোট ২০ দিন সেবন করতে হবে। যারা ব্রণে
সমস্যায় ভোগে তাদের জন্য এটি যথেষ্ট।
সতর্কতা:
এটি ব্যবহারকালে নিয়ন্ত্রিত খাবার খেতে
হবে। খাবার তালিকায় অধিক শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাবার বাদদিতে হবে এবং দুধ ও
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলের রস অধিক মাত্রায় খেতে হবে। তিতা স্বাদের জন্য কারো কারে
বহিভাব অথবা বমি হতে পারে, তবে সমমাত্রার পানি অথবা দুধ খেলে কোন সমস্যা হবে না।
বিধি নিষেধ:
পাতলা পায়খানা, আমাশয় ও ডায়রিয়া
আক্রান্ত রোগীর জন্য এই ওসুধ সেবন নিষেধ।
যেকোন তথ্যের জন্য প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন- +৮৮০১৭৬০০২৩৬০৫
যেকোন তথ্যের জন্য প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন- +৮৮০১৭৬০০২৩৬০৫
অনেক কিছু খেলাম কাজ হলোনা এবার আপনার কথা মতো খেয়ে দেখি কতো টুকু উপকার পায়্(আশিক আহমেদ)
ReplyDeleteSure হবে
ReplyDeleteগর্ভবতী অবস্থায় ছাফী খাওয়া যাবে কি?
ReplyDeleteগর্ভবতী অবস্থায় ছাফী খাওয়া যাবে কি? দয়াকরে জানাবে।
ReplyDeleteখাবার রুচি বাড়ে কি
ReplyDelete